Sattu sharbat benefits: প্রচণ্ড গরমে শরীর ক্লান্ত এবং জলশূন্য হয়ে পড়ে। এই সময় এমন একটি পানীয় প্রয়োজন, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং প্রাকৃতিকভাবে শক্তি জোগায়। ঠিক এমনই একটি পানীয় হল ছাতুর শরবত। ডায়েটিশিয়ান প্রিয়াঙ্কা জয়সওয়ালের মতে, ছাতু শুধু শরীরকে ঠান্ডা রাখে না, বরং হজমে সাহায্য করে, হাড় মজবুত করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও উপকারী।
গ্রীষ্মে (summer) ছাতু খাওয়ার ৫টি বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
১. হজম শক্তি উন্নত করে:
ছাতুতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
আরও পড়ুন- দুধের সঙ্গে এই ৫ জিনিস ভুলেও খাবেন না, উপকারের বদলে ক্ষতিই হবে!
২. হাড় শক্ত করে:
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় ছাতু হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী।
আরও পড়ুন- এভাবে বানান আম পাতার ফেসপ্যাক, মুখ এত উজ্জ্বল দেখাবে যে লোকে একবার তাকাবেই!
৩. জলাভাব রোধ করে:
ছাতুর শরবত শরীরকে ঠান্ডা রাখে ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, ফলে গ্রীষ্মে ডিহাইড্রেশন রোধে এই শরবত খুবই কার্যকর।
আরও পড়ুন- চুল গজাবে ঠিক জঙ্গলের মত! মাথায় তেলের সঙ্গে এই ভেষজটি মেশালেই দেখবেন ম্যাজিক, দাবি ডা. কার্তিকেয়নের
৪. শক্তি যোগায়:
ছাতু শক্তির প্রাকৃতিক উৎস। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন শরীরকে দ্রুত এনার্জি দেয়। ব্যায়ামের পরে বা ক্লান্তিতে এটি তাৎক্ষণিক আরাম দেয়।
আরও পড়ুন- আপনার কিডনিতে পাথর আছে? ঘরোয়া এই ৫ পানীয়েই মিলবে আরাম, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
৫. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ:
ছাতুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই এটি রক্তে চিনি হঠাৎ বাড়ায় না। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ।
কখন ও কীভাবে ছাতু খাবেন?
-
সকালে খালিপেটে ছাতুর শরবত খাওয়া ভালো।
-
একগ্লাস জলে ২ চামচ ছাতু, এক চিমটে লবণ বা গুড়, লেবুর রস আর ভাজা জিরা মিশিয়ে পান করুন।
-
দিনে একবার বা দু'বার খাওয়া যেতে পারে।
-
যাঁদের পেট সংবেদনশীল, তাঁরা রাতে ছাতু এড়িয়ে চলুন।
গ্রীষ্মে শরীরের জন্য ছাতু শুধু একটি পানীয় নয়, বরং একটি প্রাকৃতিক জীবনরক্ষাকারী উপাদান। এটি শরীরকে ঠান্ডা, হাইড্রেটেড এবং সক্রিয় রাখতে দারুণ সহায়ক। প্রতিদিন ছাতুর শরবত আপনার গ্রীষ্মকালীন ডায়েটে থাকলে, তাই আপনিও থাকবেন সুস্থ।