/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/13/shani-saturday-2025-09-13-12-07-04.jpg)
Shani Saturday: শনিবারে কী করণীয় ও বর্জনীয়!
Shani Saturday: হিন্দু ধর্মে শনিবার দিনটি শনি দেবের জন্য বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে সঠিক পূজা ও আরাধনা করলে শনি দেবের কৃপা পাওয়া যায় এবং জীবনে বাধা-বিপত্তি দূর হয়। আবার, কিছু ভুল কাজ করলে শনিদেব রুষ্ট হয়ে জীবনে দুর্ভোগ নামিয়ে আনেন। তাই শনিবারে বিশেষ কিছু কাজ এড়িয়ে চলতে বলেছে শাস্ত্র।
শনিবারে থাকুন সতর্ক
এর মধ্যে অন্যতম হল, শনিবারে মাংস খাওয়া অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে মাংস খেলে শনিদেব রেগে যান। ফলে অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হয়, টাকাপয়সা স্থায়ী হয় না, এমনকী জীবনে অশান্তি বাড়তে থাকে। শনিবারে মদ্যপান করলে কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, মদ্যপান শনিদেবের ক্রোধ বাড়ায়। এতে চাকরি, ব্যবসা বা উন্নতির পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- পিতৃপুরুষের দোষে পরিবারে অশান্তি? শাস্ত্রমতে দোষ কাটান এভাবে সহজেই!
এবং
আরও পড়ুন- দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা, মনস্কামনা হয় পূর্ণ, দেবী নিস্তারিণীর আকর্ষণ অমোঘ
ভুলেও গরিব বা অসহায় মানুষকে অপমান করবেন না। শনিবার এমনটা করলে এর প্রভাব আরও খারাপ হতে পারে। এতে শনিদেব রুষ্ট হন এবং জীবনে মানসিক কষ্ট, পারিবারিক অশান্তি, কলহের পরিবেশ তৈরি হয়। শনিবারে জুয়া বা সাট্টা খেলা অত্যন্ত অশুভ বলে ধরা হয়। এর ফলে জীবনে দারিদ্র্য নেমে আসে, সুখ-শান্তি নষ্ট হয় এবং নেগেটিভ এনার্জি বাড়তে থাকে। যাঁরা শনিবার এই কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁদের জীবনে শনিদেব নেতিবাচক প্রভাব ফেলেন।
আরও পড়ুন- ১৬ না ১৭ সেপ্টেম্বর, কবে ইন্দিরা একাদশী? পালন করলেই বিরাট লাভ
শনিদেবকে লোহা এবং সরষের তেল দান করা শুভ হলেও শনিবার এই সব জিনিস কেনা অশুভ। তাই শাস্ত্র অনুযায়ী শুক্রবারেই এগুলো কিনে রাখতে হয় এবং শনিবার মন্দিরে দান করতে হয়। শনিবারে শনি মন্দিরে গিয়ে তেল-দীপ দান, গরিবদের খাবার দেওয়া এবং ভক্তিভরে পূজা-অর্চনা করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এতে শনিদেব খুশি হন এবং জীবনে উন্নতির পথ খুলে যায়।
আরও পড়ুন- শিকাগোতে স্বামী বিবেকানন্দর নামে রাস্তা, ১৮৯৩-এর বক্তৃতাই বদলে দিয়েছিল ইতিহাস
তবে, এটাও মাথায় রাখবেন যে ওপরের বিষয়গুলি বিশ্বাস এবং শাস্ত্রীয় নিয়ম অনুযায়ী বলা হয়েছে। এগুলো মানতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তাই কারও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই উচিত।