/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/07/silk-eye-surgery-2025-10-07-11-42-07.jpg)
SILK Eye Surgery: চশমা ছাড়ার উপায়।
SILK Eye Surgery: চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারে অনেকেই বিরক্ত। প্রতিদিন পরা-খোলা, যত্ন নেওয়া, ঘাম বা ধুলোর সমস্যা– সব মিলিয়ে বিরক্তিকর। কিন্তু এখন বিজ্ঞান এনে দিয়েছে এক নতুন সমাধান– সিল্ক আই সার্জারি (SILK Eye Surgery বা Smooth Incision Lenticule Keratomileusis)। এটি এমন এক আধুনিক লেজার পদ্ধতি, যা বিনা চশমায় স্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়।
সিল্ক সার্জারি
স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. ইকেদা লাল এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সিল্ক হল এক লেন্টিকুলার-ভিত্তিক পদ্ধতি। যেখানে কর্নিয়া থেকে সূক্ষ্ম এক টিস্যু (লেন্টিকুল) অপসারণ করা হয়। এই টিস্যু অপসারণের মাধ্যমে চোখের আকৃতির সামঞ্জস্য করা হয়, ফলে চশমা ছাড়াই পরিষ্কার দেখা যায়।' প্রতিটি রোগীর টিস্যু অপসারণের পরিমাণ নির্ভর করে তাঁদের চশমার পাওয়ারের ওপর। যাঁদের মাইনাস পাওয়ার বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে একটু বেশি টিস্যু অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুন- রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, ৯৬তম জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি
LASIK আর SILK – পার্থক্য কোথায়?
আমরা অনেকেই লেসিক সার্জারি (LASIK Surgery)-র নাম শুনেছি। যা বহু বছর ধরে জনপ্রিয়। কিন্তু লেজিক পদ্ধতিতে কর্নিয়ায় একটি ফ্ল্যাপ (Flap) কেটে নেওয়া হয়, যা পরে আবার স্থাপন করা হয়। অন্যদিকে, সিল্ক (SILK) হল সম্পূর্ণ ফ্ল্যাপলেস ও কম কাঁটাছেড়ার পদ্ধতি। ডা. লাল জানান, 'লেসিকে দৃষ্টি পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়। তবে সিল্ক আরও মসৃণ, আরামদায়ক এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ।' তবে এক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশি। ভারতে আনুমানিক ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন- সামান্য এই টিপসেই বাজিমাত, দূর করুন আপনার দুর্ভাগ্য!
কেন সিল্ক বেশি ভালো?
ফ্ল্যাপলেস পদ্ধতি, তাই কাটাছেঁড়া কম। অস্ত্রোপচারের পর কম অস্বস্তি হয়। দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়। আর, চোখে শুকনো ভাবটাও কম থাকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত। প্রযুক্তিগত নির্ভুলতাও বেশি। কম ঝুঁকিপূর্ণ ইনফেকশন বা ফ্ল্যাপ-সম্পর্কিত জটিলতাও কম। এই কারণেই আধুনিক শহরগুলিতে এখন অনেকেই সিল্ক সার্জারি বেছে নিচ্ছেন, বিশেষ করে যাঁরা সক্রিয় জীবনযাপন করেন বা খেলাধুলায় যুক্ত।
আরও পড়ুন- দিঘার পথেই দুর্গ! পশ্চিম মেদিনীপুরের রহস্যঘেরা কুরুম্বেরা ফোর্টের ইতিহাস শুনলে অবাক হয়ে যাবেন
সঠিক পদ্ধতি
তবে সবাই সিল্ক বা লেসিকের জন্য উপযুক্ত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কর্নিয়ার পুরুত্ব, চোখের পাওয়ার ও স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ডা. লাল বলেন, 'আমরা রোগীর চোখের বিস্তারিত রিপোর্ট দেখে ঠিক করি, কোন পদ্ধতি নিরাপদ ও কার্যকর হবে।' গবেষকরা এখন আরও উন্নত পদ্ধতির দিকে এগোচ্ছেন। ৪০ বছর পেরোলেই অনেকের কাছে আসে প্রেসবায়োপিয়া (Presbyopia) বা কাছের জিনিস দেখার সমস্যা। ভবিষ্যতে লেজার সার্জারির মাধ্যমে এই সমস্যারও সমাধান করার চেষ্টা চলছে বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন ঝান্ডি, মোহময়ী দৃশ্য আর কাঞ্চনজঙ্ঘা মন ভরাবেই
সিল্ক সার্জারির পর সাধারণত ১–২ দিনের মধ্যে রোগীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন। কিছুদিন চোখে হালকা শুকনো ভাব থাকতে পারে, তবে তা অস্থায়ী। যথাযথ ড্রপ ব্যবহার ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে চোখ দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। যদি আপনি সত্যিই চশমাকে বিদায় জানাতে চান, তবে সিল্ক আই সার্জারি (SILK Eye Surgery) হতে পারে নিরাপদ এবং কাজের পদ্ধতি। এই আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই আপনি ফিরে পেতে পারেন স্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি এবং আত্মবিশ্বাস।