Snake Free Country: বর্ষাকাল মানেই সাপের উপদ্রব। ভারতের গ্রামাঞ্চল থেকে শহর—প্রায় সর্বত্রই এই সময়ে সাপ দেখা যায়। শুধু দেখাই যায় না। সাপের কামড়ে বহু লোকের মৃত্যুও হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে যেমন অনেকের মৃত্যু হয়। তেমনই, সাপের কামড়ের পর ভয়েও অনেকে হার্টফেল করেন। এসব দেখে, বহু লোকই আছেন যাঁরা সাপের কামড়ের ভয়ে অস্থির। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে আপনি খুঁজলে একটিও সাপ দেখতে পাবেন না।
সাপহীন দেশ
আরও পড়ুন- এই সেই ৫টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে পড়লেই চাকরি নিশ্চিত
হ্যাঁ, সত্যিই এমন দেশ রয়েছে। আর সেই তালিকায় সবচেয়ে পরিচিত নাম হল আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডে একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস আছে—সেন্ট প্যাট্রিক নামের এক সাধু খ্রিস্টধর্ম রক্ষার জন্য সেই দেশের সব সাপকে একত্রিত করে সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছিলেন। যদিও এই বিশ্বাস ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত নয়, কিন্তু আয়ারল্যান্ডের সংস্কৃতিতে গল্পটি কিন্তু আজও জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন- ১৫ না ১৬ আগস্ট, এবার কবে পড়েছে জন্মাষ্টমী? জেনে নিন পূজার সঠিক সময়সূচি
আয়ারল্যান্ডের মতো নিউজিল্যান্ডেও সাপ দেখতে পাওয়া যায় না। তবে পার্থক্য হল—নিউজিল্যান্ডে কিছু সামুদ্রিক সাপ খুব কম সময়ের জন্য উপকূলে ভেসে আসে, কিন্তু তারা স্থলভাগে বাস করে না। এখানকার কড়া বায়োসিকিউরিটি আইনে সাপ-সহ বিপজ্জনক প্রাণীর প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত।
আরও পড়ুন- বর্ষাকালে ঘরে লাগান এই ৫ গাছ, মশা ঝটপটিয়ে উড়ে পালাবে
আর কোন দেশ সাপমুক্ত? সেগুলো হল আইসল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকা। যে দেশে সাপ নেই, সেখানে মানুষের জীবন এবং কৃষিকাজে বিষাক্ত সাপের হুমকি নেই। সাপের কামড়ে মৃত্যুর ভয় না থাকায় বাসিন্দারা অনেক বেশি নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারেন। সাপ উষ্ণ রক্তের প্রাণী নয়, তাই তারা টিকে থাকতে তাপমাত্রা ও পরিবেশের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। অতিরিক্ত ঠান্ডা, ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা এবং প্রাকৃতিক বাধা—সব মিলিয়ে এসব দেশে সাপের বসবাস অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনটাই ধারণা বিজ্ঞানীদের।
আরও পড়ুন- বসার ভঙ্গির ভুলেই কি বাড়ছে ব্যথা? ভুল করেও এভাবে বসে থাকবেন না!
যাঁরা সাপের ভয়ে শিউরে ওঠেন, তাঁদের জন্য আয়ারল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ড যেন স্বর্গ। ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনী এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মিশেলে এই দেশগুলো আজও পৃথিবীর অন্যতম সাপমুক্ত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।