Hindu Kali Temple: কালীতীর্থ বাংলা। এখানে অলিগলিতে লুকিয়ে আছে দেবী কালীর নানা রূপ। সেই রূপ যে সব সময় শাস্ত্রে উল্লিখিত, তা নয়। ভক্তরা এখানে যেন দেবীর সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে তুলেছেন। আর সেই আত্মীয়তার সূত্রেই মহাদেবী এই বাংলার নানা প্রান্তে নানা নামে পরিচিতা। আর, সেই সব নামেই তিনি পুরুষানুক্রমে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করে চলেছেন।
বাঁকুড়ার সোনামুখীতেই যেমন দেবী পরিচিতা সার্ভিস কালী নামে। সোনামুখীর এই দেবীর পরিচিতি এতটাই ছড়িয়েছে যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তই নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে আসছেন, পুজো দিচ্ছেন, মানত করছেন। আর, তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হচ্ছে। এই দেবীর বিশেষত্ব, ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে দেবী তাঁদের কর্মসংস্থান করে দেন।
আরও পড়ুন- কোন্নগরের শকুনতলা রক্ষাকালী পূর্ণ করেন মনস্কামনা, জাগ্রত দেবীর দর্শনে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা
কীভাবে যাবেন?
এখানে দেবীর পুজোর (pujo) সময় সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টো। পুরোহিতের ফোন নম্বর- ৯০৮৩৬১৯৩৩৬। কীভাবে আসবেন এই মন্দিরে? কলকাতা থেকে বাঁকুড়াগামী ট্রেনে পৌঁছে যেতে পারেন। অথবা, দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী যাওয়ার বাসে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন দেবী ষোলোআনা সার্ভিস কালীর মন্দিরে।
আরও পড়ুন- মাত্র একমাস! এই কালীবাড়িতে এসে প্রার্থনা করলে তার মধ্যেই পূর্ণ হয় মনস্কামনা
কথিত আছে একটা সময় সোনামুখীর বাস মালিকরা বাস সার্ভিস চালু করার জন্য সরকারি লাইসেন্স পাচ্ছিলেন না। সেই সময় তাঁরা দেবী সার্ভিস কালীর কাছে মানত করেছিলেন। দেবী পূর্ণ করেছিলেন তাঁদের মনোবাসনা। তারপর থেকেই দেবীর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই মন্দিরে দেবী জাগ্রত, তার প্রমাণ কয়েকবছর আগেই বিশেষভাবে পেয়েছেন স্থানীয় যুবকরা।
আরও পড়ুন- ৬০০ বছরের পুরোনো জাগ্রত মন্দির, যেখানে এলে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীরা সুস্থ হয়ে যান একবছরেই!
মন্দির সেই সময় তালাবন্ধ ছিল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় যুবকরা পরস্পরের সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই উত্তাল সময়ে বন্ধ মন্দিরের ভিতর থেকে ভেসে আসতে শুরু করেছিল ঘুঙুরের শব্দ। যা ক্রমে বাড়তে শুরু করেছিল। শুনে হতচকিত স্থানীয় যুবকরা ভয়ে গন্ডগোল করা ভুলে যান। তাঁদের প্রার্থনার পর শেষ পর্যন্ত দেবীর ঘুঙুরের আওয়াজ থামে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- হাত নয়, মুখ দেখেই বলেন ভূত-বর্তমান, ভবিষ্যৎ! অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিশু বাবা আলোড়ন তুলেছেন মাতৃসাধক কমলাকান্তের গ্রামে
ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী এখানে এতটাই জাগ্রত যে মনভরে ডাকলে স্বপ্নে হলেও রাতারাতি দেখা দেন। আর, ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করার ব্যাপারে এই দেবী যেন উদারহস্তা। কাউকেই বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় না। আর, সেই কারণেই দেবী সার্ভিস কালীর প্রচার ক্রমশই বাড়ছে।