Shakti Peeth: মাত্র একমাস! এই কালীবাড়িতে এসে প্রার্থনা করলে তার মধ্যেই পূর্ণ হয় মনস্কামনা

It is believed to fulfill wishes within a month: দেবী এখানে জয়দুর্গা রূপে পূজিতা হন। শনি, মঙ্গলবারে ভিড় বাড়ে ভক্তদের। দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে দুরারোগ্য ব্যাধিও সেরে যায় অনায়াসে।

It is believed to fulfill wishes within a month: দেবী এখানে জয়দুর্গা রূপে পূজিতা হন। শনি, মঙ্গলবারে ভিড় বাড়ে ভক্তদের। দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে দুরারোগ্য ব্যাধিও সেরে যায় অনায়াসে।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Kali

Devi Kali: দেবী কালী।

The Miraculous Shakti Peeth: এই বাংলাতেই রয়েছে এমন এক সতীপীঠ যেখানে গিয়ে প্রার্থনা করলে একমাসের মধ্যে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায় বলে কথিত আছে। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে এসে প্রার্থনা করলে সেরে যায় যে কোনও দুরারোগ্য ব্যাধি। ৫১ সতীপীঠের মধ্যে এই সতীপীঠ ৪৫তম। দূরত্ব, কলকাতা থেকে ১৬৭ কিলোমিটার। 

Advertisment

কীভাবে যাবেন?

এই সতীপীঠকে সবাই ডাকে জুরানপুর কালীবাড়ি নামে। এখানে পড়েছিল দেবীর মাথা বা করোটি। এখানে যেতে গেলে নামতে হবে কাটোয়া স্টেশনে। সেখান থেকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বাইরে এলেই মিলবে টোটো স্ট্যান্ড। স্টেশন থেকে কাটোয়া বল্লভপাড়া ফেরিঘাটের দূরত্ব ১ কিলোমিটারের একটু বেশি। গঙ্গা পার হওয়ার পর জুরানপুরের দিকে নেমে ঘাট থেকে একটু হেঁটে গেলেই বাসস্ট্যান্ড। ঘাট থেকে জুরানপুরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটারের বেশি। 

আরও পড়ুন- সেরে উঠছে দুরারোগ্য ব্যাধি, পূরণ হচ্ছে মনস্কামনা, বারুইপুরের হনুমান মন্দিরে ঢল নামছে ভক্তদের

Advertisment

ঘাটের পাশে টোটো আছে। তাতেও যাওয়া যেতে পারে। খরচ একটু বেশি পড়বে। আর, বাসে চেপে গেলে খরচা তুলনামূলক কম। না হাঁটতে চাইলে ঘাট থেকে টোটোয় চেপেও বাসস্ট্যান্ডে আসতে পারেন। বাস থামবে নিমতলা ঘাটে। সেখান থেকে টোটোয় চেপে যেতে পারেন মন্দিরে। নিমতলা ঘাট থেকে মন্দিরের দূরত্ব প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার।

আরও পড়ুন- হাত নয়, মুখ দেখেই বলেন ভূত-বর্তমান, ভবিষ্যৎ! অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিশু বাবা আলোড়ন তুলেছেন মাতৃসাধক কমলাকান্তের গ্রামে

এই সতীপীঠের সামনেই রয়েছে বিশাল তোরণ। তার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে মূল মন্দির। এই সতীপীঠের অপর নাম কালীহট্ট। একসময় ভাগীরথী জুরানপুর মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যেত। সেই নদী এখন কালক্রমে অনেক দূরে চলে গিয়েছে। এখানে দেবী জয়দুর্গা রূপে অধিষ্ঠিত। এক সুপ্রাচীন বটবৃক্ষের নীচে তিনি পূজিতা হন। এই সতীপীঠে রামকৃষ্ণ পরমহংস, বামাক্ষ্যাপার মত বহু সাধক এসে সাধনা করে গিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- ৬০০ বছরের পুরোনো জাগ্রত মন্দির, যেখানে এলে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীরা সুস্থ হয়ে যান একবছরেই!

এখানকার বটগাছের নীচে এক জায়গায় ভক্তরা মনস্কামনা জানিয়ে ঢিল বেঁধে যান। মনস্কামনা পূর্ণ হলে খুলে দিয়ে যান সেই ঢিল। এই মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি পাতালঘর। যার সুড়ঙ্গ সরাসরি গঙ্গা পর্যন্ত চলে গিয়েছে। বর্তমানে এই ঘরটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এই সতীপীঠে দুর্গাপুজো, কালীপুজো (Kali Puja), রথযাত্রা, রটন্তী কালীপুজো সাড়ম্বরে আয়োজিত হয়। প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমায় এখানে তিন দিনের বিরাট মেলা বসে। 

Juranpur Kalibari, জুরানপুর কালীবাড়ি
Juranpur Kalibari, জুরানপুর কালীবাড়ি। (ছবি- স্ক্রিনগ্যাব)

 প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দেবীর পুজো আরম্ভ হয়। এখানে ভোগের ব্যবস্থা রয়েছে। কুপন সিস্টেম, কাটলে বসে ভোগ খাওয়ানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা নাগাদ শুরু হয় ভোগ বিতরণ। ভোগপ্রসাদের জন্য আগে থেকে ফোন করতে হয় স্বরূপ গোস্বামীকে। ফোন নম্বর ৯০৮৩১৪৯১৬৫। সন্ধে পর্যন্ত এখানে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

আরও পড়ুন- অলৌকিক রহস্যে ঘেরা, আজও অগণিত ভক্তের আকর্ষণের কেন্দ্রে গড় চণ্ডীধাম

শনি, মঙ্গলবার করে বসে অস্থায়ী ডালার দোকান। না হলে, পুজো দেওয়ার ডালার দোকান এখানে নেই। সপ্তাহের অন্যদিন এসে পুজো দিতে চাইলে তাই ডালা ভক্তদের সঙ্গে করে আনতে হয়।   

 

 

shakti Kali Puja Temple