Kali Temple: পুজো দিলেই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা, হাজারো অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী ভক্তরা বংশ-পরম্পরায় ছুটে আসছেন এই মন্দিরে

Divine powers: দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় এখানকার ভক্তরা বারেবারে পেয়েছেন। তাঁদের বিশ্বাস, বিপদে পড়লে আর্থিক সমস্যাও এই বিগ্রহের কৃপায় মিটে যায়।

Divine powers: দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় এখানকার ভক্তরা বারেবারে পেয়েছেন। তাঁদের বিশ্বাস, বিপদে পড়লে আর্থিক সমস্যাও এই বিগ্রহের কৃপায় মিটে যায়।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Kali: দেবীর এই রূপ দর্শনেই এখানকার মন্দিরে ছুটে আসেন ভক্তরা

Kali: দেবীর এই রূপ দর্শনেই এখানকার মন্দিরে ছুটে আসেন ভক্তরা।

Protect devotees from accidents: এই কালী মন্দিরে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়। গোটা দেশ থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। কারণ, এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনি। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে নিয়মিত পুজো দিলে সেই ব্যক্তির জীবনে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে না। হাতেনাতে যার প্রমাণ পেয়েছেন অনেকেই। ভক্তদের সেই বিশ্বাস অটুট থাকায় এই মন্দিরে নিয়মিত বাড়ছে পুণ্যার্থীর ভিড়।

Advertisment

মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, নিশীথ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৬৪১৩২৩২৫৯২৫) জানিয়েছেন, অন্যান্য জায়গার মত কলকাতার বড়বাজার থেকেও ভক্তরা নিয়মিত এই দেবীর মন্দিরে ছুটে আসেন। অনেক ভক্তই নাকি এই দেবীকে পুজো দেওয়ায় নিশ্চিত বড়সড় সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার মুহূর্তে তাঁরা অনুভব করেছেন যে, দেবী কালী দু'হাত দিয়ে তাঁদের বাঁচালেন। আর, সেই কালীর চেহারা এই মন্দিরের দেবীর মতই। এতটাই জাগ্রত এখানকার বিগ্রহ।    

 আরও পড়ুন- মাত্র একমাস! এই কালীবাড়িতে এসে প্রার্থনা করলে তার মধ্যেই পূর্ণ হয় মনস্কামনা

ভক্তদের অনেকে এই মন্দিরে আসছেন বংশ পরম্পরায়। তাঁদের বিশ্বাস, দেবী তাঁদের শুধু দুর্ঘটনা থেকেই রক্ষা করেন না। বিশেষ কারণে অর্থের দরকার হলে সেই অর্থের ব্যবস্থাও করে দেন। এই দেবীর নাম হল মধ্যম কালী মাতা। তবে, বর্গীরা এই বিগ্রহের সেবায়েত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের এক মহিলার অলৌকিক ক্ষমতার পরিচয় পেয়ে তাঁকে বলেছিলেন, 'মাই তো কালী!'

Advertisment

আরও পড়ুন- ৬০০ বছরের পুরোনো জাগ্রত মন্দির, যেখানে এলে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীরা সুস্থ হয়ে যান একবছরেই!

সেই থেকে 'মাইত কালী' (Kali Temple pujo) নামেই পরিচিতি লাভ করেছে এখানকার বিগ্রহ। দেবীর প্রত্যহ পুজো শুরু হয় বেলা ১২টায়। এখানে পাঁঠাবলি প্রথা চালু আছে। মঙ্গলবার, শনিবার এবং অমাবস্যায় বলির সংখ্যা বাড়ে। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় দেবীর মূল পুজো হয়। সেই সময় ২০০-৩০০ পাঁঠাবলি হয় এই মন্দিরে। এখানকার বিগ্রহের নানা অলৌকিক কাহিনি ভক্তদের মুখে ফেরে। দেবীর অলৌকিক মাহাত্ম্যের পরিচয় পেয়ে বর্গীরা এই মন্দিরে দুটি খাঁড়াও দান করে গিয়েছিলেন। সেই খাঁড়াগুলো আজও এই মন্দিরে রয়েছে।

আরও পড়ুন- হাত নয়, মুখ দেখেই বলেন ভূত-বর্তমান, ভবিষ্যৎ! অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিশু বাবা আলোড়ন তুলেছেন মাতৃসাধক কমলাকান্তের গ্রামে

কীভাবে যাবেন এই মন্দিরে?

আরও পড়ুন- সেরে উঠছে দুরারোগ্য ব্যাধি, পূরণ হচ্ছে মনস্কামনা, বারুইপুরের হনুমান মন্দিরে ঢল নামছে ভক্তদের

কলকাতা থেকে এলে হাওড়ায় ট্রেনে চেপে নামতে হবে দুর্গাপুর স্টেশনে। পাশেই বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে বাসে চেপে যাওয়া যাবে সোনামুখীতে। আবার আসানসোল, বর্ধমান, বোলপুর- যে কোনও জায়গা থেকে বাসে চেপে পৌঁছনো যাবে দুর্গাপুর-এ। সেখান থেকে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী যাওয়ার বাসে চেপে পৌঁছনো যাবে সোনামুখীতে। সোনামুখী রথতলার খুব কাছে এই মন্দির। বললেই, যে কেউ দেখিয়ে দেবে। 

accident pujo Kali Temple