Neighbourhood Investigation: আমেরিকায় গ্রিন কার্ড হোল্ডাররা বেকায়দায়, নাগরিকত্ব নিয়ে শুরু টানাপোড়েন

Neighbourhood Investigation: আমেরিকায় গ্রিন কার্ডধারীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে আবারও শুরু হচ্ছে Neighbourhood Investigation। সমস্যায় প্রবাসী ভারতীয়রাও।

Neighbourhood Investigation: আমেরিকায় গ্রিন কার্ডধারীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে আবারও শুরু হচ্ছে Neighbourhood Investigation। সমস্যায় প্রবাসী ভারতীয়রাও।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Neighbourhood Investigation

Neighbourhood Investigation: গ্রিন কার্ড হোল্ডারদের নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্ত।

Neighbourhood Investigation: এটি এক ধরনের ব্যক্তিগত তদন্ত, যেখানে আবেদনকারীর প্রতিবেশী, সহকর্মী, নিয়োগকর্তা এবং ব্যবসায়িক পরিচিতদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আবেদনকারীর চরিত্র, নৈতিকতা এবং সামাজিক আচরণ সম্পর্কিত প্রমাণ এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই তদন্তে সাধারণত গত পাঁচ বছর ধরে আবেদনকারীর বাসস্থান ও কর্মস্থল সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখা হয়। 

সমস্যায় আমেরিকার গ্রিন কার্ড হোল্ডাররা

Advertisment

২২ আগস্ট প্রকাশিত USCIS–এর একটি নীতিমালা স্মারকে জানানো হয়েছে, Immigration and Nationality Act (INA) 335(a) ধারা অনুসারে নাগরিকত্ব দেওয়ার আগে আবেদনকারীর চরিত্রের তদন্ত করা আবশ্যক। যদিও এতদিন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ ছাড়ে তদন্তের নিয়ম অনেক ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যাওয়া হত। এখন থেকে USCIS আবারও এই তদন্তকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

আরও পড়ুন- মানুষের মত এই প্রাণীরাও কথা বলতে পারে, জানেন তারা কারা?

USCIS আবেদনকারীর কাছ থেকে যে ধরনের প্রমাণ চাইতে পারে, সেগুলো হল- প্রতিবেশীর প্রশংসাপত্র, নিয়োগকর্তা বা সহকর্মীর রেফারেন্স, ব্যবসায়িক সহযোগীর অভিমত, সামাজিক বা ধর্মীয় সংগঠনের কাছ থেকে নৈতিকতার স্বীকৃতি। যদি নাগরিকত্বের আবেদনে এসব প্রমাণ আগে থেকেই জমা দেওয়া থাকে, তাহলে USCIS হয়তো আলাদা তদন্ত না-ও করতে পারে।

Advertisment

আরও পড়ুন- কলকাতা স্টাইলে বানান চিকেন চপ, স্পেশাল রেসিপি তৈরি করুন বাড়িতেই

১৮০২ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের দু'জন সাক্ষী দিতে হত, যাঁরা তাঁদের যোগ্যতার সাক্ষ্য দিতেন। ১৯৮১ সালে কংগ্রেস সেই বাধ্যবাধকতা বাতিল করে দেয়। এরপর থেকে মূলত ব্যাকগ্রাউন্ড চেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯১ সাল নাগাদ আশেপাশের তদন্ত প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে অভিবাসন আইন আরও কঠোর হওয়ায় এবং ভুয়া নথি জমার প্রবণতা ঠেকাতে আবারও পুরনো নিয়মে ফেরা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- ভাদ্রর শুক্লপক্ষে পরিবর্তিনী একাদশী, এই ব্রতকথা ছাড়া পালন অসম্পূর্ণ

এই নতুন নিয়মের ফলে— নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া কিছুটা দীর্ঘ হতে পারে। আবেদনকারীদের আরও বেশি নথি সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। এই তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় থাকা ভারতীয়রাও রয়েছেন। তবে সৎ আবেদনকারীরা যদি শুরুতেই প্রয়োজনীয় প্রমাণ জমা দেন, তাহলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

আরও পড়ুন- বর্ষাকালীন স্বাস্থ্য, মেনে চলুন এই সব বিধি, বাঁচুন সংক্রমণ থেকে

আমেরিকান নাগরিকত্বের স্বপ্ন দেখছেন যাঁরা, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। এখন থেকে শুধু নথি নয়, আপনার চারপাশের মানুষ কী বলছে, সেটিও নাগরিকত্ব নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে। তাই আবেদন করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনার চরিত্র ও সামাজিক আচরণ নিয়ে প্রতিবেশী ও সহকর্মীরা ইতিবাচক মত দেবেন কি না।

investigation Neighbourhood