/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/01/bOFpAbU50VPtTUkf1Bfn.jpg)
Season change problem: সিজন চেঞ্জের সমস্যা।
Season Change Health Tips: সিজন চেঞ্জের সময় শরীরের যত্ন নেওয়াটা দরকার। না নিলে বিপদ হতে পারে! জেনে নিন কী করবেন। কারণ, এই সময়টা বেশ অদ্ভুত। সকালে রোদ, দুপুরে গরম, আর বিকেলের দিকে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই হঠাৎ বদল শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ বা যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা খুব সহজেই আক্রান্ত হন সর্দি, কাশি, জ্বর (fever), অ্যালার্জি বা ফুড পয়জনিংয়ে।
কোন রোগগুলো বেশি হয় এই সময়ে?
ভাইরাল জ্বর
সর্দি-কাশি
গলা ব্যথা
অ্যালার্জি (ধুলা ও ফুলের রেণু থেকে)
হজমের সমস্যা ও বমি
ত্বকের র্যাশ বা চুলকানি
কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন?
১. পর্যাপ্ত জল পান করুন
সিজন চেঞ্জে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন।
২. জলভেজা হলে দ্রুত বদলান পোশাক
বৃষ্টিতে ভিজে থাকা মানেই ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা। গায়ে জল লেগে থাকলে দ্রুত শুকনো পোশাক পরুন।
৩. ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করুন
গরম জল, মধু ও লেবু দিয়ে তৈরি পানীয় ঠান্ডা-কাশিতে উপকারী।
আদা ও তুলসি পাতার রস সর্দিতে ভালো কাজ করে।
দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৪. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
টাটকা, হালকা রান্না করা খাবার খান।
বাইরের তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফলের মধ্যে পেঁপে, আপেল ও মরশুমি ফল খান।
আরও পড়ুন- পায়ে কাঁটা বিধলে কী করবেন? ঘরোয়া উপায়ে সহজেই কাঁটা তোলার পদ্ধতি জানুন!
৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
ঘুম কম হলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার।
আরও পড়ুন- এটিএমে টাকা আটকে গেছে? চরম বিপদে আপনি, সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন, জেনে নিন!
৬. ব্যায়াম ও ধ্যান করুন
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম বা ১৫ মিনিট ধ্যান করলে শরীর-মন দুই-ই ভালো থাকে।
আরও পড়ুন- প্যাকেটজাত দই রেখে দিচ্ছেন ফ্রিজে, জানেন এটা কতদিন ভালো থাকতে পারে?
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
জ্বর ৩ দিনের বেশি থাকলে
শ্বাসকষ্ট হলে
ত্বকে ফুসকুড়ি বা র্যাশ ছড়ালে
বমি বা ডায়েরিয়া বেশি হলে
আরও পড়ুন- রাস্তায় আখের রস দেখে লোভ হয়, ক্ষতি হবে জেনেও খান? নিজেকে বাঁচিয়ে কীভাবে খাবেন, জেনে নিন
আবহাওয়ার এই রোদ-বৃষ্টির পালাবদলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই আপনি ও আপনার পরিবার কিন্তু সুস্থ থাকতে পারেন। তাই সাবধান থাকুন, সতর্ক থাকুন এবং প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে (home remedies) শরীরকে ঠিক রাখুন।