/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/04/laxmi-pujo-2025-10-04-17-17-47.jpg)
Laxmi Pujo: লক্ষ্মী পুজো।
Kojagori Lakshmi Puja: দুর্গাপুজো শেষ হলেই বাঙালির ঘরে শুরু হয় আর এক পবিত্র উৎসবের প্রস্তুতি — কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় এই পুজো, যা ধনসম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী মা লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এই দিনে প্রত্যেক বাঙালি পরিবারেই দেখা যায় বিশেষ ব্যস্ততা — ঘর পরিষ্কার, ধান, ফল, মিষ্টি, ফুলে ভরা থালা আর সারা বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর প্রস্তুতি। কিন্তু কখনও ভেবেছেন, কেন এই লক্ষ্মীপুজো সর্বদা রাতে হয়?
কোজাগরী শব্দের অর্থ কী?
আরও পড়ুন- কবে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, ৬ না ৭ অক্টোবর, কতক্ষণ থাকবে পূর্ণিমা?
‘কোজাগরী’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত বাক্য ‘কো জাগরতি’ বা ‘কে জাগে আছ?’ থেকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে নেমে মর্ত্যে আসেন। তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখেন — কে জেগে আছেন, কে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত। যে ভক্ত রাত জেগে ভক্তিভরে দেবীর নাম জপ করেন, দেবী তাঁকে আশীর্বাদ করেন ধন, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের। তাই এই পুজোর নাম ‘কোজাগরী পূর্ণিমা’, অর্থাৎ ‘কে জেগে আছ?’ — দেবী নিজেই যেন প্রশ্ন করেন, কে তাঁর আগমনের জন্য জেগে রয়েছে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপূজার পর কতদিন শুভ বিজয়া বলা যায়? জেনে নিন সঠিকটা কী?
কেন রাতেই হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো?
এই পুজো রাতে হওয়ার পেছনে রয়েছে গভীর পৌরাণিক তাৎপর্য। বিশ্বাস করা হয়, দেবী লক্ষ্মী চন্দ্রালোকে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তাই পূর্ণিমার রাতে ঘর-বাড়ি আলোকিত করে রাখা হয়, যাতে দেবী কোনও ঘর অন্ধকার পেয়ে ফিরে না যান। যদি কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে বা আলো না জ্বলে, মা লক্ষ্মী সেখানে প্রবেশ করেন না। তাই বাঙালি ঘরে ঘরে এই রাতে প্রদীপ, আলোর মালা জ্বালিয়ে রাখে। ধূপ-ধুনোর গন্ধে ভরে ওঠে পরিবেশ। রাত জেগে পুজো করার রীতি এসেছে এই বিশ্বাস থেকেই— 'যে জাগে, সেই পায়।' অর্থাৎ যিনি সারা রাত জেগে থাকেন, তাঁর ঘরেই দেবী আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন- কীভাবে চালু হল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো? জানেন না ৯০% ভক্তই!
পুজোর প্রধান রীতি ও প্রস্তুতি
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন ঝান্ডি, মোহময়ী দৃশ্য আর কাঞ্চনজঙ্ঘা মন ভরাবেই
আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা হয়। পুজোর আগে ঘর পরিষ্কার করে দেবীকে নিবেদন করা হয় ধান, শস্য, ফল ও মিষ্টি। সন্ধ্যায় মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা ছবি স্থাপন করে পূজা শুরু হয়। পুজোর সময় দেবীকে ধূপ, প্রদীপ, পদ্মফুল এবং চিনি মাখা দুধও নিবেদন করা হয়। সারা রাত ধরে জ্বলে থাকে প্রদীপ। চলে লক্ষ্মীস্তোত্র, পাঁচালি, ব্রতকথা পাঠ।