/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/05/wash-eggs-before-cooking-2025-11-05-18-42-47.jpg)
Wash Eggs Before Cooking: রান্নার আগে ডিম ধোয়া কেন জরুরি?
Wash Eggs Before Cooking: আমরা অনেকেই প্রতিদিন ডিম খাই। সকালে ব্রেকফাস্টে, দুপুরের ভাতে বা পুষ্টিকর ডায়েটের অংশ হিসেবে অনেকেই ডিম রাখেন। কিন্তু রান্নার আগে ডিম ধোয়া কতটা জরুরি, সেটা কি কখনও ভেবেছেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের গায়ে থাকা ধুলো, পালক বা জীবাণু আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ঘটাতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন রান্নার আগে ডিম ধোয়া উচিত এবং কীভাবে সঠিকভাবে ডিম পরিষ্কার করবেন।
স্থানীয় বাজারের ডিম বনাম প্যাকেটজাত ডিম
ডা. অঞ্জনা কালিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, 'স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা ডিম সাধারণত স্যানিটাইজড করা হয় না। এগুলি সরাসরি ফার্ম থেকে আসে, যেখানে ডিমের ওপর থাকতে পারে পালক, মাটি বা পাখির বর্জ্য।' অন্যদিকে, প্যাকেটজাত বা দোকানের ব্র্যান্ডেড ডিম বিক্রির আগে ধুয়ে, জীবাণুমুক্ত করে এবং নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। ফলে এগুলিতে ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা অনেক কম।
আরও পড়ুন- গন্ধরাজে মাখা মালাই চিংড়ির অসাধারণ ঘরোয়া রেসিপি, মন ভরাবে সকলের
ডা. কালিয়া বলেন, 'ডিমের খোসা দেখতে শক্ত হলেও এটি ছিদ্রযুক্ত। তাই যদি খোসার ওপর ব্যাকটেরিয়া বা ময়লা থাকে, তা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।' বয়ে যাওয়া জলের নীচে হালকা করে ডিম ধুলে সেই ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা আপনার হাতের সাহায্যেই দূর হবে। এতে রান্নার সরঞ্জামে বা খাবারে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। স্থানীয় বাজার থেকে কেনা ডিমে 'সালমোনেলা', 'ই. কোলাই' বা 'ক্যাম্পিলোব্যাকটার ব্যাকটেরিয়া'-র মত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়া সাধারণত পাখির মল, নোংরা বাসা বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সংস্পর্শে আসার ফলে ডিমের খোসার গায়ে লেগে যায়। যদি সেগুলি ডিমের ভিতরে ঢুকে যায় বা রান্নার সময় খাবারের সংস্পর্শে আসে, তাহলে পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, জ্বর, খাদ্যবাহিত সংক্রমণ (food poisoning) হতে পারে। তাই রান্নার আগে সাধারণভাবে ডিম ধোয়া এবং পরিষ্কার করা জরুরি।
আরও পড়ুন- রং না করেও সহজেই কালো করতে পারেন চুল, জেনে নিন গোপন ঘরোয়া কায়দা
কীভাবে ডিম পরিষ্কার করবেন?
ডিম ঠান্ডা বা হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। হালকা হাতে ঘষে ময়লা তুলে ফেলুন। চাইলে এক চিমটে ভিনেগার বা লবণ জলে মিশিয়ে নিতে পারেন। ডিম পরিষ্কার কাপড়ে মুছে শুকিয়ে নিন। ডিম রান্নার আগে বা ফাটানোর ঠিক আগে ধোয়াই উচিত। শুধু পরিষ্কারই নয়। ডিম রাখারও কিছু নিয়ম আছে। প্যাকেটজাত ডিম ফ্রিজে রাখুন নির্দিষ্ট ট্রেতে। স্থানীয় ডিম কিনলে অবশ্যই ধুয়ে শুকিয়ে তারপর রাখুন। ভেজা ডিম সরাসরি ফ্রিজে রাখবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন- মানবতার সেবক! দানবীর চিত্তরঞ্জন দাশের জন্মদিনে জানুন অজানা দেশবন্ধুকে
প্যাকেটজাত ডিম পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করে এবং নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। যাতে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে উঠতে না পারে। অন্যদিকে, খোলা বাজারের ডিম যদিও অনেক সময় টাটকা হয়, কিন্তু সঠিকভাবে না ধুলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়। ডা. কালিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ডিম প্রোটিনের চমৎকার উৎস। তবে পরিষ্কার এবং সুরক্ষিতভাবে ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুললে অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।'
আরও পড়ুন- কলকাতার কাছেই হনিমুনের দুর্দান্ত ঠিকানা, কম খরচে সেরা ডেস্টিনেশন!
সতর্কীকরণ
এই প্রবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। আপনার যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা বা প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us