/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/09/world-post-day-2025-2025-10-09-04-02-41.jpg)
World Post Day 2025: বিশ্ব ডাক দিবস।
World Post Day 2025: আজ ৯ অক্টোবর, বিশ্ব ডাক দিবস। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই দিনটি পালন করা হয় যোগাযোগের প্রাচীনতম মাধ্যম 'ডাক'-এর অবদানকে স্মরণ করার জন্য। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড়ে ডাকঘরের গুরুত্ব কিছুটা কমলেও এর মানবিক মূল্য এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্য এখনও অম্লান।
বিশ্ব ডাক দিবসের ইতিহাস
১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক পোস্টাল ইউনিয়ন (Universal Postal Union, UPU)। যা পরে রাষ্ট্রসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ডাক সেবাকে একীভূত এবং সহজলভ্য করা। ১৯৬৯ সালে জাপানের টোকিওতে আয়োজিত ইউপিইউ (UPU) কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিবছর ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে পালিত হবে। এরপর থেকে বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশ এই দিনটি উদযাপন করে আসছে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন- কলকাতা থেকে খুব দূরে নয়, ঘুরে আসুন তারিণী মন্দিরে, দেবী এখানে জাগ্রত!
ভারতে ডাক ব্যবস্থার শুরু ব্রিটিশ আমলে। ১৮৫৪ সালে লর্ড ডালহৌসি ইন্ডিয়ান পোস্ট অফিস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেন। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের জন্য চিঠিপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা চালু হয়। আজ ভারতের ডাক বিভাগ বিশ্বের বৃহত্তম ডাক নেটওয়ার্কগুলোর একটি, যার ১.৫ লক্ষাধিক ডাকঘর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে ‘ইন্ডিয়া পোস্ট’ শুধু চিঠি বা পার্সেল নয়, ব্যাংকিং, ইনস্যুরেন্স, ই-কমার্স ডেলিভারি-সহ বহুমুখী সেবা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- এইচ-১বি ভিসা নীতির ধাক্কায় ভারতের বিয়ের বাজারে এনআরআই বরের চাহিদা কমছে!
বিশ্ব ডাক দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—মানুষে মানুষে সংযোগের প্রাচীন ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যমই হল ডাক। ডাক শুধু যোগাযোগ নয়, এটি একসময় ছিল ভালোবাসা, খবর, স্মৃতি ও আশার বাহক। এই দিনটি ডাক সেবার কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও নতুন প্রজন্মকে যোগাযোগের এই ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করার দিন।
আরও পড়ুন- ধনেপাতা-আলু দিয়ে সহজেই বানান পাবদা মাছের ঝোল, মুখে লেগে থাকবে!
যদিও বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে হাতে লেখা চিঠির প্রচলন কমেছে, তবুও ডাক বিভাগ নিজেদের আধুনিক করেছে। এখন অনলাইন ট্র্যাকিং, স্পিড পোস্ট, পার্সেল সেবা, এমনকী ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংক (India Post Payment Bank)—সবই প্রযুক্তি নির্ভর। ডিজিটাল যুগেও তাই ডাকঘরই গ্রামীণ ভারতের যোগাযোগ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কেন্দ্রবিন্দু।
আরও পড়ুন- পকেট খালি না করেই পাকা চুল কালো করার জাদু! ঘরোয়া জিনিসই দেখাবে ম্যাজিক
বিশ্বজুড়ে ডাক বিভাগগুলো ডাক দিবস উদযাপন করে প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা ও সেমিনারের মাধ্যমে। অনেক স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়, যাতে নতুন প্রজন্ম আবারও হাতে লেখা চিঠির অনুভূতি পায়। বিশ্ব ডাক দিবস (World Post Day 2025) শুধুমাত্র একটি দিন নয়—এটি মানব সভ্যতার যোগাযোগের ইতিহাসের প্রতীক। ইন্টারনেটের যুগেও ডাক সেবার মূল্য চিরকাল অমলিন থাকবে। কারণ চিঠির মধ্যে যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থাকে, তা কোনও ইমোজি প্রকাশ করতে পারে না।