/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/23/north-east-united-fc-2025-08-23-19-23-55.jpg)
ডুরান্ড জয়ের পর নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র উচ্ছ্বাস
Durand Cup 2025: আশা ছিল। কিন্তু, সেই আশা শেষপর্যন্ত পূরণ হল না। বাংলার ফুটবল ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC) ইতিহাস কায়েম করতে পারল না। ২০২৫ ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্য়াচে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাবকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি (Northeast United FC)। শেষপর্যন্ত ৬-১ গোলে জয়লাভ করল পেদ্রো বেনালির দল। একটি করে গোল করলেন আশির আখতার, পার্থিব গগৈ, থোই সিং, জাইরো বুস্তারা, আন্দ্রে রডরিগস এবং আলাদিন আজারাই। ডায়মন্ড হারবারের হয়ে একমাত্র গোল করলেন লুকা মাজেন।
Durand Cup 2025 Final: আগুন গোল আশিরের, প্রথমার্ধে এগিয়ে রইল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড
এই ম্য়াচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। প্রথম থেকে তারা গোল করার সুযোগ তৈরি করলেও, অবশেষে ৩০ মিনিটে দরজা খুলে দিলেন আশির আখতার। ডায়মন্ড হারবার এফসি-র ডিফেন্স এমনিতেই যথেষ্ট চাপে ছিল। অবশেষে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই আশির একেবারে সঠিক জায়গায় ট্যাপ করে প্রথম গোলটা করে ফেলেন।
দ্বিতীয় গোলটা আসে প্রথমার্ধের একেবারে শেষবেলায়। ৪৫+১ মিনিটে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে ব্যবধান বাড়ালেন পার্থিব গগৈ। প্রথমার্ধের একেবারে শেষবেলায় নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র লিড বাড়িয়ে দিলেন পার্থিব। একেবারে ফাইনাল থার্ডে বলটা পেয়েছিলেন তিনি। বাঁ-প্রান্ত ধরে তিনি বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর শেষবেলায় বুটের মুখটা খোলেন তিনি। টপ-রাইট কর্নার দিয়ে বলটা তিনি ডায়মন্ড হারবারের জালে জড়িয়ে দেন। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলার ফুটবল ক্লাব কামব্যাক করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
Durand Cup 2025 Prize Money: ফাইনালের দোরগোড়ায় ২০২৫ ডুরান্ড কাপ, কত টাকা পুরস্কার পাবে বিজয়ীরা?
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই ফের আঘাত হানল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। ৫০ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করলেন থোই সিং। এক্ষেত্রে নর্থ-ইস্টের অসাধারণ একটা প্রতি-আক্রমণের ছবি আমরা দেখতে পেলাম। ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণের দুর্বলতা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। ডানদিক থেকে বল নিয়ে উঠে এসেছিলেন আলাদিন আজারাই। তিনি থোই সিংকে নিখুঁত একটি ক্রস বাড়ালেন। গোলের মুখ একেবারে খোলা ছিল। এরথেকে সহজ ফিনিশ আর কিছু হওয়ার ছিল না। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে শট নিতেই স্কোরবোর্ড নর্থ-ইস্টের পক্ষে ৩-০ হয়ে গেল।
অবশেষে ৬৮ মিনিটে কিছুটা হলেও সম্মান পুনরুদ্ধার করল ডায়মন্ড হারবার এফসি। কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা একটা শটে প্রথম টাচ নেন জবি জাস্টিন। এরপর শেষ টাচে করেন লুকা মাজেন। অবশেষে বলটা নর্থ-ইস্টের জালে জড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে গুরমিত সম্পূর্ণ পরাস্ত হন।
কিন্তু, এই একটা গোলে লাভের লাভ কিছুই হল না। ৮১ মিনিটে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করলেন জাইরো। এরপর ডায়মন্ড হারবার এফসি-র মনোবল একেবারে ভেঙে যায়। যেন খেলা শেষ হওয়ার আগেই তারা এই ম্য়াচের হাল একেবারে ছেড়ে দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ৮৬ মিনিটে নর্থ-ইস্টের হয়ে পঞ্চম গোলটি করলেন গাইতান। একেবারে শেষবেলায় বক্সের মধ্যে আলাদিন আজারাইকে ফেলে দেওয়া হয়। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। আর সেই সুযোগে দলের হয়ে অন্তিম তথা ষষ্ঠ গোলটি করে ফেললেন আলাদিন আজারাই। শেষপর্যন্ত ৬-১ গোলে জয়লাভ করল নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি।
অবশেষে বাজল শেষবেলার লম্বা বাঁশি। ঠিকানা বদল হল না ডুরান্ড কাপের। গতবারের চ্যাম্পিয়ন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র মুখে জয়ের হাসি দেখতে পাওয়া গেল। তবে গোটা ম্য়াচ যে যথেষ্ট উপভোগ্য হয়েছে, তা বলা যেতেই পারে।