/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/08/east-bengal-fc-2025-08-08-17-19-24.jpg)
গোল করার পর উচ্ছ্বসিত লাল-হলুদ ফুটবলার
East Bengal FC: কলকাতা ফুটবল লিগে ফের জয়ের সরণীতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল এফসি। গত ম্য়াচে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর লাল-হলুদ সমর্থকরা যারপরনাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী, 'গো-ব্যাক বিনো' স্লোগানও তাঁরা তুলতে শুরু করেন। কিন্তু, পরবর্তী ম্যাচে ফের চেনা ছন্দে দেখতে পাওয়া গেল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। শুক্রবার (৮ অগাস্ট) তারা কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। এই ম্য়াচে মশালবাহিনী ১-০ গোলে জয়লাভ করেছে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, নৈহাটি স্টেডিয়ামে শুক্রবার খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে জয়ের পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলেও একটা বড়সড় বদল করে ফেলল লাল-হলুদ বাহিনী। এই ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল চার নম্বরে ছিল। বর্তমানে তারা তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ৮ ম্যাচ খেলে তারা ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। মজার ব্যাপার, এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুরুচি সংঘ। তাদের ঝুলিতেও রয়েছে ১৪ পয়েন্ট। যদিও একটি গোল পার্থক্যে (১২) তারা এগিয়ে রয়েছে।
এই ম্য়াচে চোটের কারণে ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার মাঠের বাইরে ছিলেন। এই তালিকায় নাম ছিল মনতোষ মাঝি, মনতোষ চাকলাদার, জেসিন টিকে'র। অন্যদিকে, কার্ড সমস্যায় খেলতে পারেননি প্রভাত লাকরা এবং ডেভিড। আর তাই লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ এই দলের প্রথম একাদশে সৌভিক চক্রবর্তী, দেবজিৎ মজুমদার এবং এডমুন্ড লালরিনডিকাকে রেখেছিলেন। যদিও ম্য়াচের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কিছুটা নিষ্প্রভ দেখাতে শুরু করে।
Hamid Ahadad East Bengal: হামিদই লাল-হলুদের নয়া 'মুসাফির'! ঘোরাতে পারবেন ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যের চাকা?
এই ম্য়াচেও সেই পুরনো রোগ পিছু ছাড়ল না মশালবাহিনীর। ম্য়াচের প্রথমার্ধে তারা একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, একটা সুযোগও তারা কাজে লাগাতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গলের মতো একটা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে থাকবে, তা আশা করাই হয়েছিল। ম্যাচেও সেই ছবিটাই কার্যত দেখতে পাওয়া গেল।
East Bengal Vs Namdhari FC Highlights: মাঠে নেমেই জাত চেনালেন হামিদ, আগুন গোলে জেতালেন ইস্টবেঙ্গলকে
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ তুলনামূলক বাড়াতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। অবশেষে ভানলালপেকা গুইতের গোলে তারা এগিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত লাল-হলুদ সমর্থকরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। কালীঘাটকে হারিয়ে মাঠ ছাড়ে মশালবাহিনী। সত্যি কথা বলতে কী, শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে, এই জয়টা ইস্টবেঙ্গলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশা করা যায়, আগামী ম্য়াচগুলোয় এই পারফরম্য়ান্স লাল-হলুদ ব্রিগেডকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে।