Amal Dutta: অমল দত্ত এক কথাতেই গড়েছিলেন দীপেন্দুর কেরিয়ার! কী বলেছিলেন ডায়মন্ড কোচ?
Amal Dutta Football Coach: অমল দত্ত। ভারতীয় ফুটবলের একজন অবিসংবাদিত 'দ্রোণাচার্য'। তাঁর হাত ধরে বাংলার ফুটবলে যে কত তারকা জন্মগ্রহণ করেছে, সেই তালিকা লিখতে গেলে বোধহয় কলমের কালি হয়ে যাবে। কিন্তু, নাম ফুরোবে না।
Amal Dutta Football Coach: অমল দত্ত। ভারতীয় ফুটবলের একজন অবিসংবাদিত 'দ্রোণাচার্য'। তাঁর হাত ধরে বাংলার ফুটবলে যে কত তারকা জন্মগ্রহণ করেছে, সেই তালিকা লিখতে গেলে বোধহয় কলমের কালি হয়ে যাবে। কিন্তু, নাম ফুরোবে না।
Football: অমল দত্ত। ভারতীয় ফুটবলের একজন অবিসংবাদিত 'দ্রোণাচার্য'। তাঁর হাত ধরে বাংলার ফুটবলে যে কত তারকা জন্মগ্রহণ করেছে, সেই তালিকা লিখতে গেলে বোধহয় কলমের কালি হয়ে যাবে। কিন্তু, নাম ফুরোবে না। তেমনই একজন ফুটবলার হলেন দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের (Mohun Bagan) হয়ে খেলেন তিনি। তবে যে মানুষটার হাত ধরে তিনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেডে পা রেখেছিলেন, তিনি অমল দত্ত। ভারতীয় ফুটবলে ডায়মন্ড সিস্টেমের জনক। এই অমল দত্তর একটা ছোট্ট আশ্বাসেই গড়ে উঠেছিল দীপেন্দুর ফুটবল কেরিয়ার। কীভাবে? আসুন, তাহলে বাকিটুকু পড়ে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শো'য়ে এসেছিলেন দীপেন্দু। সেখানেই তিনি বলেন, 'আমার সবথেকে পছন্দের কোচ হলেন অমল দত্ত। পিকে স্যার এবং হাবিব স্যার হয়ত টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে আমাকে তৈরি করেছিলেন। একথা ধ্রুব সত্য। কিন্তু অমল স্যার আমাকে যদি মোহনবাগানে সেই সুযোগ না দিতেন, তাহলে হয়ত আমি আজ যে জায়গায় রয়েছি, সেখানে থাকতে পারতাম না।'
কথায় বলে জহুরির চোখ নাকি জহর চিনে নেয়। আর সেকারণেই দীপেন্দুর মতো বাংলার এমন একজন রত্ন ফুটবলারের প্রতিভা চিনতে কোনও ভুল করেননি 'অমল স্যার'। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার একাধিক সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। দীপেন্দু বললেন, 'ডায়মন্ড সিস্টেমে খেলানো ৪-১ ম্য়াচে আমি ছিলাম না। আমার পায়ে চোট ছিল। সেকারণে বসিরহাটে ফিরে গিয়েছিলাম। সেখানে নদীর চরে প্র্যাকটিস করছিলাম। ওই ম্য়াচটার পর অমল স্যার আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের তৎকালীন ২ কর্মকর্তা আমার বাড়িতে এসেছিলেন। ওঁরাই আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন।'
এরপর তিনি যোগ করেন, 'তখন আমি মোহনবাগান মেসে থাকতাম। কিন্তু, ওঁদের সঙ্গে এসে আমি এলিয়ট রোডের ওই মেসেই উঠলাম। পরের দিন সকাল বেলা অনুশীলনে গিয়েছিলাম। অমল স্যার আমাকে দেখেই বললেন, শুনলাম তোর পা নাকি ঠিক হয়ে গিয়েছে? এবার তাহলে প্র্যাকটিস কর। ওই আদেশ পেয়ে আমিও প্র্যাকটিস করতে শুরু করলাম। তখন মোহনবাগান দল কাঁপাচ্ছে রোশন পেরেরা আর চিমা। আর ছিল আবদুল খালেক। এই পরিস্থিতিতে আমাকে দলে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে মনের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় ছিল। সেইসময় ১৮ জনের দল তৈরি হল। আর আমার নাম ছিল ঠিক ১৮ নম্বরেই।'
কথা বলতে বলতে দীপেন্দু ক্রমশ স্মৃতির সরণীতে ডুব দিচ্ছিলেন। এরপর বললেন, 'আগের ২ দিন ধরে আমাকে প্রচুর হেড প্র্যাকটিস করানো হয়েছিল। অমল স্যার নিজে হাতে করে বল দিচ্ছেন, আর আমি হেড দিয়ে যাচ্ছি। প্রচুর হেড দিয়েছিলাম। ওই ম্য়াচটা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে আমাকে মাঠে নামিয়েছিলেন। আর মজার ব্যাপার, আমি হেডেই গোল করেছিলাম। তারপর অমল স্যার আমাকে বলেছিলেন, তোকে এরপর ৮ ম্য়াচে সুযোগ দেব। বসাব না। দেখি, তুই কী করতে পারিস! ওই আটটা ম্য়াচেই আমি ১৩ গোল করেছিলাম। সর্বাধিক গোলের খেতাব জয় করেছিলাম। এরপর আমাকে আর কখনও বসতে হয়নি। পরবর্তী ১০-১২ বছর আমাকে আর কোনও দল বসায়নি। ওই সুযোগটা অমল স্যার না দিলে আমি খেলতে পারতাম না।'