/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/16/mamata-banerjee-1-2025-08-16-12-09-01.jpg)
খেলা হবে দিবসে বিশেষ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee: শনিবার (১৬ অগাস্ট) গোটা রাজ্যজুড়ে খেলা হবে (Khela Hobe) দিবস পালন করা হচ্ছে। এই বিশেষ দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল এক্স-য়ে একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরেছেন তিনি। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই টুইটে রাজ্যের তিন প্রধান ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। কী লিখেছেন, আসুন সেটাই এবার জেনে নেওয়া যাক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'আজ 'খেলা হবে দিবস' (Khela Hobe Diwas)। এই উপলক্ষে সকল ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়াপ্রেমীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং সহ রাজ্যের গ্রাম-শহরের সকল ক্লাবকেও এই দিনে আমার শুভেচ্ছা জানাই।' সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, 'ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান 'বঙ্গ বিভূষণ' দেওয়া হয়েছে এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য তাদের ২৭ কোটি টাকার বেশি অনুদান দেওয়া হয়েছে।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি-র হাতে স্থায়ী বিনিয়োগকারী সংস্থা থাকলেও, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হাতে তেমন কোনও স্পনসর আপাতত নেই। সেকারণে মহমেডান সমর্থকরা যারপরনাই হতাশ হয়ে পড়েছেন। কয়েকদিন আগে তাঁরা কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সমর্থকদের একাংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর অনীহার কারণেই নাকি মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে কোনও স্পনসর আসছে না। এমনকী, তাঁরা নিজেদের 'ভোটব্যাঙ্ক' বলেও উল্লেখ করেন। যদিও এরপর কয়েকজন সমর্থক আবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েও ইনভেস্টরের ব্যাপারে অনুরোধ করে আসেন।
এ তো গেল ফুটবলের কথা। বাংলার পিছিয়ে পড়া খেলাধুলোকেও প্রশংসায় ভরালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই টুইটে তিনি লিখেছেন, '২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় অন্যান্য নানান ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নয়ন করা হয়েছে। তার ফলে আজ বাংলা ফুটবল থেকে শুরু করে জিমন্যাস্টিক্স, যোগ ব্যায়াম, আর্চারি, টেবিল টেনিস – সব কিছুতেই জাতীয় স্তরে এগিয়ে আছে। আমাদের সময়ে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ ৬.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১১ সালের ১২৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫-২৬ সালে হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা)।'
Mamata Banerjee:'কাউকে সাসপেন্ড করব না', নির্বাচন কমিশনকে তীব্র হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর
দেখে নিন সেই টুইট:
আজ 'খেলা হবে দিবস'। এই উপলক্ষে সকল ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়াপ্রেমীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং সহ রাজ্যের গ্রাম-শহরের সকল ক্লাবকেও এই দিনে আমার শুভেচ্ছা জানাই।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 16, 2025
২০১১ সালের পর থেকে বাংলায় অন্যান্য নানান ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াক্ষেত্রেও প্রভূত…
তাঁর কথায়, 'আমাদের সময়ে হয়েছে ৫৮টি স্টেডিয়াম, ৪২টি যুব হোস্টেল, ৫টি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৭৯৫টি মিনি-ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৪ হাজারেরও বেশি মাল্টি-জিম, ৬টি সুইমিং পুল, ৪২৩টি খেলার মাঠ। আটটি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি শুরু করা হয়েছে যার মধ্যে আছে ফুটবল, মহিলা ফুটবল, তিরন্দাজি, টেনিস, টেবিল টেনিস, সাঁতার, রাইফেল শ্যুটিং এবং ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমি।'
Mamata Banerjee:বাঙালি হেনস্থা ইস্যুতে আবারও BJP-কে তুলোধোনা মমতার, NRC নিয়ে তুললেন মারাত্মক অভিযোগ
সবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যুবকদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে এবং পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের মানুষকে মূলস্রোতে আনতে আমরা সুন্দরবন কাপ, জঙ্গলমহল কাপ, হিমাল-তরাই-ডুয়ার্স কাপ এবং রাঙামাটি কাপ আয়োজন করছি। শুধু তাই নয়, যারা ভালো খেলছে তাদের অনেককেই সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও, আমরা বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে থাকি। ৪৬০ জন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ‘খেল সম্মান’, ‘বাংলার গৌরব’, ‘ক্রীড়াগুরু’, ‘জীবনকৃতি’ পুরস্কার পেয়েছেন। ১,৫৮০ জন স্বনামধন্য এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদকে মাসিক পেনশন দেওয়া হচ্ছে।'
এছাড়া বলেন, 'বাংলার এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহীদের জন্য রাধানাথ শিকদার-তেনজিং নোরগে অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। মহিলা পর্বতারোহীদের জন্য চালু হয়েছে ‘ছন্দা গায়েন সাহসিকতা পুরস্কার’ (ছন্দা গায়েন ছিলেন প্রয়াত তরুণী পর্বতারোহী)। আমরা গর্বিত যে আমাদের সময়ে ২১ জন বাঙালি পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন। আগামীদিনেও বাংলায় খেলাধুলোর উন্নয়নে আমরা এভাবেই কাজ করে যাব।'