East Bengal vs Mohun Bagan: আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কল্যাণী স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হচ্ছে চলতি কলকাতা ফুটবল লিগের সবথেকে হাইভোল্টেজ ম্য়াচ। মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল। গত ১৯ জুলাই এই কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby) ম্য়াচ আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ার কারণে সেই তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে হয়েছে। তবে এটা নিয়েও কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার (Debabrata Sarkar)। তাঁর কথায়, ডুরান্ডের পর কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL 2025-26) ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করলে ভাল হত।
East Bengal vs South United FC: ডুরান্ডে রাজার মতো ফিরল ইস্টবেঙ্গল, প্রথম ম্যাচেই দাপুটে জয় লাল-হলুদের
এই হাইভোল্টেজ ম্য়াচের একদিন আগে এক্সট্রা টাইম বাংলাকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউয়ে দেবব্রত সরকার বললেন, 'ডার্বি যে কল্যাণীতে হচ্ছে, এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। কিন্তু, ডার্বির যা পরিস্থিতি তাতে সল্টলেক স্টেডিয়ামে হলে ভাল হত। ডুরান্ডের পর যদি এই ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করা হত, তাহলে অনায়াসেই স্টেডিয়াম পাওয়া যেত। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে দরবার করলে তিনিও নিশ্চয়ই আর্থিকভাবে আমাদের সাহায্য করতেন।'
East Bengal FC Goal: গোল তো নয়, আগুনের গোলা! প্রথমার্ধ শেষে এগিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'তবে আমি আবারও বলছি, যেটা হচ্ছে তা খুবই ভাল হোক। এই ম্য়াচটা সুষ্ঠভাবে আয়োজন করার জন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত।'
এই প্রসঙ্গে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু (Srinjoy Bose) আগেই অভিযোগ করেছিলেন, টাকা বাঁচানোর কথা চিন্তা করেই নাকি আইএফএ কর্তারা কল্যাণী স্টেডিয়ামে কলকাতা ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবেকানন্দ যুবভারতী স্টেডিয়ামে এই ম্য়াচ আয়োজন করতে হলে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হত। উল্লেখ্য, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের তুলনায় কল্যাণী স্টেডিয়াম অনেকটাই ছোট। মেরেকেটে হয়ত ১৫ হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা কতগুলো টিকিট পাবেন, তা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ প্রকাশ করেন বাগান সচিব। তাঁর কথায়, এত বছর পর আইএফএ-কে একটা ডার্বি ম্যাচের গুরুত্ব আলাদা করে বুঝিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।
East Bengal FC: বিদেশি 'গোলমেশিন'কে ছাড়াই নামছে ইস্টবেঙ্গল! ডুরান্ডে কোন ছকে দল সাজালেন অস্কার?
ডার্বি ম্য়াচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত কল্যাণী স্টেডিয়াম
তবে কলকাতা ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করতে কল্যাণী স্টেডিয়াম যে একেবারে প্রস্তুত, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দফায় দফায় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করা হয়েছে। এবারের ডার্বি ম্য়াচ ১০ হাজার দর্শক নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে। সেকারণেই সমর্থকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য একাধিক বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দুই দলের সমর্থকদের জন্য দুটো ভিন্ন গেট তৈরি করা হয়েছে। ফলে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।
East Bengal FC News Updates: আসতে না আসতেই 'সমস্যা'! কেন ডুরান্ডের প্রথম ম্য়াচে খেলবেন না মিগুয়েল-সিবিয়ে?
স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শুক্রবারও (২৫ জুলাই) টিকিটের জন্য় সমর্থকদের মধ্যে হাহাকার দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাবতীয় টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ম্য়াচের দিন যাতে স্টেডিয়ামে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে লাগানো হয়েছে অস্থায়ী কোলাপসিবল গেট। এছাড়া স্টেডিয়ামের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে মোট ৩৬ CCTV ক্যামেরা। এর পাশাপাশি গ্যালারির দু'দিকে ফেন্সিংও বাড়ানো হয়েছে। সবমিলিয়ে যাতে একটা শান্তিপূর্ণ ডার্বি ম্য়াচের আয়োজন করা যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।
Kolkata Derby: ডার্বি কি যুবভারতীতে করলেই ভাল হত? কী বলছেন দেবব্রত-সৃঞ্জয়
Kolkata Derby 2025: কলকাতা ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করতে কল্যাণী স্টেডিয়াম যে একেবারে প্রস্তুত, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দফায় দফায় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করা হয়েছে।
Kolkata Derby 2025: কলকাতা ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করতে কল্যাণী স্টেডিয়াম যে একেবারে প্রস্তুত, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দফায় দফায় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করা হয়েছে।
দেবব্রত সরকার এবং সৃৃঞ্জয় বসু
East Bengal vs Mohun Bagan: আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কল্যাণী স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হচ্ছে চলতি কলকাতা ফুটবল লিগের সবথেকে হাইভোল্টেজ ম্য়াচ। মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল। গত ১৯ জুলাই এই কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby) ম্য়াচ আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ার কারণে সেই তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে হয়েছে। তবে এটা নিয়েও কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার (Debabrata Sarkar)। তাঁর কথায়, ডুরান্ডের পর কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL 2025-26) ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করলে ভাল হত।
East Bengal vs South United FC: ডুরান্ডে রাজার মতো ফিরল ইস্টবেঙ্গল, প্রথম ম্যাচেই দাপুটে জয় লাল-হলুদের
এই হাইভোল্টেজ ম্য়াচের একদিন আগে এক্সট্রা টাইম বাংলাকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউয়ে দেবব্রত সরকার বললেন, 'ডার্বি যে কল্যাণীতে হচ্ছে, এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। কিন্তু, ডার্বির যা পরিস্থিতি তাতে সল্টলেক স্টেডিয়ামে হলে ভাল হত। ডুরান্ডের পর যদি এই ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করা হত, তাহলে অনায়াসেই স্টেডিয়াম পাওয়া যেত। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে দরবার করলে তিনিও নিশ্চয়ই আর্থিকভাবে আমাদের সাহায্য করতেন।'
East Bengal FC Goal: গোল তো নয়, আগুনের গোলা! প্রথমার্ধ শেষে এগিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'তবে আমি আবারও বলছি, যেটা হচ্ছে তা খুবই ভাল হোক। এই ম্য়াচটা সুষ্ঠভাবে আয়োজন করার জন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত।'
এই প্রসঙ্গে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু (Srinjoy Bose) আগেই অভিযোগ করেছিলেন, টাকা বাঁচানোর কথা চিন্তা করেই নাকি আইএফএ কর্তারা কল্যাণী স্টেডিয়ামে কলকাতা ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবেকানন্দ যুবভারতী স্টেডিয়ামে এই ম্য়াচ আয়োজন করতে হলে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হত। উল্লেখ্য, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের তুলনায় কল্যাণী স্টেডিয়াম অনেকটাই ছোট। মেরেকেটে হয়ত ১৫ হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা কতগুলো টিকিট পাবেন, তা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ প্রকাশ করেন বাগান সচিব। তাঁর কথায়, এত বছর পর আইএফএ-কে একটা ডার্বি ম্যাচের গুরুত্ব আলাদা করে বুঝিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।
East Bengal FC: বিদেশি 'গোলমেশিন'কে ছাড়াই নামছে ইস্টবেঙ্গল! ডুরান্ডে কোন ছকে দল সাজালেন অস্কার?
ডার্বি ম্য়াচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত কল্যাণী স্টেডিয়াম
তবে কলকাতা ডার্বি ম্য়াচ আয়োজন করতে কল্যাণী স্টেডিয়াম যে একেবারে প্রস্তুত, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দফায় দফায় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করা হয়েছে। এবারের ডার্বি ম্য়াচ ১০ হাজার দর্শক নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে। সেকারণেই সমর্থকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য একাধিক বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দুই দলের সমর্থকদের জন্য দুটো ভিন্ন গেট তৈরি করা হয়েছে। ফলে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে।
East Bengal FC News Updates: আসতে না আসতেই 'সমস্যা'! কেন ডুরান্ডের প্রথম ম্য়াচে খেলবেন না মিগুয়েল-সিবিয়ে?
স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শুক্রবারও (২৫ জুলাই) টিকিটের জন্য় সমর্থকদের মধ্যে হাহাকার দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাবতীয় টিকিট ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ম্য়াচের দিন যাতে স্টেডিয়ামে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে লাগানো হয়েছে অস্থায়ী কোলাপসিবল গেট। এছাড়া স্টেডিয়ামের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে মোট ৩৬ CCTV ক্যামেরা। এর পাশাপাশি গ্যালারির দু'দিকে ফেন্সিংও বাড়ানো হয়েছে। সবমিলিয়ে যাতে একটা শান্তিপূর্ণ ডার্বি ম্য়াচের আয়োজন করা যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।