Mohammed Siraj: কেনিংটন ওভাল টেস্ট ম্য়াচে ইংল্যান্ডের জয় আপাতত সময়ের অপেক্ষা। ম্যাচের পঞ্চম তথা অন্তিম দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে (India vs England) আর ৩৫ রান করতে হবে। অন্যদিকে, ভারতকে এই ম্য়াচ জিততে হলে আরও ৪ উইকেট শিকার করতে হবে। চতুর্থ দিন বিকেলবেলা (স্থানীয় সময় অনুসারে) দেখা গেল ক্রিস ওকসও ব্যাট করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। টিম ইন্ডিয়া যদি এই ম্য়াচটা জিততে পারে, তাহলে সেটা 'মিরাকল' বলতেই হবে।
তবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অবস্থা কিন্তু এতটাও খারাপ ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রানের মধ্যে তারা ইংল্যান্ডের তিনটে উইকেট শিকার করে ফেলেছিল। সেইসময় চার নম্বর উইকেটটাও প্রায় চলেই এসেছিল। কিন্তু, বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে মহম্মদ সিরাজ একটি সহজ ক্যাচ মিস করলেন। আর ক্যাচটা ছিল হ্যারি ব্রুকের। সেইসময় ব্রুক ১৯ রানে ব্যাট করছিলেন। আর ওই একটা জীবনদান পেয়েই তিনি দুরন্ত শতরান (১১১ রান) করে মাঠ ছাড়লেন।
সিরাজ এই ক্যাচ মিস করার পর ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা হা-হুতাশ শুরু করেছে। যেন ক্রিকেট এমন ফিল্ডিং মিস একেবারেই বিরল দৃশ্য। তাঁদের কথাবার্তা এমন যে টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্য়ান্স যেন কৌলিন্য হারাল। কিন্তু আপনারা হয়ত অস্বীকার করতে পারবেন না, ক্রিকেট বিশ্বে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। আসুন, তাহলে এমনই ৪ ক্যাচ ড্রপ নিয়ে আলোচনা করা যাক, যেগুলো আজও ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
Mohammed Siraj Catch Miss: কপালে জুটল 'গদ্দার' তকমা! সত্যিই কি ক্ষমার অযোগ্য ভুল করলেন সিরাজ?
গ্রাহাম গুচের ক্যাচ মিস
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/04/graham-gooch-2025-08-04-09-50-34.jpg)
সালটা ছিল ১৯৯০। লর্ডস টেস্টে মুখোমুখি ভারত এবং ইংল্যান্ড। ভারতীয় ক্রিকেট দলের তৎকালীন উইকেটকিপার কিরণ মোরে মিস করলেন ব্রিটিশ ব্যাটার গ্রাহাম গুচের একটি সহজ ক্যাচ। সেইসময় গুচ ৩৬ রানে ব্যাট করছিলেন। এই জীবনদান পেয়ে তিনি ৩৩৩ রানের একটা বিধ্বংসী ইনিংস ইংল্যান্ডকে উপহার দিয়েছিলেন।
IND vs ENG 5th Test: রবিবারেও হল না ফয়সালা, ওভাল টেস্ট জিততে শেষদিনে ভারতের চাই ৪ উইকেট, ইংল্যান্ড ৩৫ রান দূরে
ইনজামাম উল হকের ক্যাচ মিস
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/04/inzamam-ul-haq-2025-08-04-09-50-14.jpg)
২০০২ সালের কথা। পাকিস্তান এবং লাহোরের মধ্যে টেস্ট ম্য়াচ চলছে। লাহোরে আয়োজিত ওই টেস্ট ম্য়াচে তিনি ৩২ রানে একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু, কিউয়ি ফিল্ডাররা সেটা ধরতে পারেননি। এরপর ইনজি আর পিছন ফিরে তাকাননি। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তিনি ৪৩৬ বলে ৩২৯ রান করেছিলেন। ৩৮ বাউন্ডারির পাশাপাশি হাঁকিয়েছিলেন ৯ সুবিশাল ছক্কা। সেই ম্য়াচে পাকিস্তান এক ইনিংস এবং ৩২৪ রানে জয়লাভ করেছিল।
Joe Root Records: ভারতের বিরুদ্ধে ইতিহাস গড়লেন জো রুট, এক ইনিংসে ভাঙলেন একাধিক রেকর্ড
শচীন তেন্ডুলকরের ক্যাচ মিস
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/04/sachin-tendulkar-2025-08-04-09-49-55.jpg)
ইনজামামের আরও ২ বছর পরের ঘটনা। ডিসেম্বর মাসে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকায় প্রথম টেস্ট ম্য়াচ আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শচীন ০ রানে ক্যাচ তুলেছিলেন। কিন্তু, টাইগাররা সেই ক্যাচ মিস করেন। এরপর আর কোনও সুযোগ দেননি মাস্টারব্লাস্টার। ২৪৮ রানে তিনি অপরাজিত থাকেন। এটাই শচীনের টেস্ট কেরিয়ারে সর্বাধিক স্কোর। এই ম্য়াচে ভারত এক ইনিংস এবং ১৪০ রানে জয়লাভ করেছিল।
IND vs ENG 5th Test: ভাঙা কাঁধেই 'ভয়ঙ্কর খেলা হবে', ভারতকে এক ইঞ্চিও জমি না ছাড়ার হুঁশিয়ারি ইংলিশ তারকার
মার্ক টেলরের ক্যাচ মিস
/filters:format(webp)/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/04/mark-taylor-2025-08-04-09-49-35.jpg)
১৯৯৮ সালে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি টেস্ট ম্য়াচ আয়োজন করা হয়েছিল। ম্য়াচটি খেলা হচ্ছিল পেশোয়ারে। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মার্ক টেলরের ক্যাচ ২ বার হাতছাড়া করেছিলেন সঈদ আনোয়ার। প্রথমবার ১৮ রানে এবং দ্বিতীয়বার ২৭ রানে। এরপর টেলর বিধ্বংসী রূপ ধারন করেন। ৩৩৪ রান করে অবশেষে থামেন তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত এই ম্য়াচটি ড্র হয়ে যায়।