Mohun Bagan Super Giant: মোহনবাগান সমর্থক রিপন মণ্ডল (Ripon Mondal)। বাড়ি বনগাঁয়। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর পরিচিতি একেবারেই বদলে গিয়েছে। গত ১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, রিপনের হাতেই তুলে দেওয়া হবে ক্লাবের বর্ষসেরা (২০২৪-২৫) সমর্থকের পুরস্কার। তারপর থেকে কার্যত মাটিতে পা পড়ছে না রিপনের। যে ক্লাবকে তিনি এতদিন ধরে মাতৃসম ভালবাসায় আগলে রেখেছেন, সেই ক্লাবই এবার ভালবাসার প্রতিদান দিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার পক্ষ থেকে রিপনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। ফোনেই বললেন নিজের মনের কথা।
জীবনের সবথেকে বড় উপহার: রিপন
রিপনের কথায়, 'যে ক্লাবকে ছোট থেকে সম্মান করি, মায়ের মতো ভালবাসি; সেই ক্লাবের থেকে সম্মান পেলে তো খুব স্বাভাবিকভাবেই ভাল লাগবে। বহু বছর ধরেই আমি মোহনবাগান মাঠে যাচ্ছি। হোম ম্য়াচ হোক কিংবা অ্যাওয়ে, প্রত্যেকটা ম্য়াচে মাঠে উপস্থিত থাকি। তারপর যখন সেই ক্লাবের পক্ষ থেকে সেরা সমর্থকের পুরস্কার পাওয়া যায়, তখন সেটা আমার কাছে অন্যতম বড় পাওনা। বলা ভাল, এটাই আমার জীবনের সবথেকে বড় উপহার।'
Mohun Bagan: মোহনবাগানের বর্ষসেরা ফুটবলার আপুইয়া! সেরা ফরোয়ার্ড পুরস্কার পাচ্ছেন কে জানেন?
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করলেন, 'আমি আপাতত এতটাই আনন্দিত, সেটা হয়ত ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। সারা বছর মোহনবাগানকে সাপোর্ট করে আমি কী পেয়েছি, সেটাও বাড়িতে গর্ব করে বলতে পারছি।'
Mohun Bagan vs East Bengal: টাকা বাঁচাতেই কল্যাণীতে ডার্বি? বিস্ফোরক অভিযোগ মোহনবাগান কর্তাদের
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২৪-২৫ আইএসএল টুর্নামেন্টে জামশেদপুর এফসি বনাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের কাছে এটা ছিল অ্যাওয়ে ম্য়াচ। প্রথম লেগের ওই সেমিফাইনাল ম্য়াচে ২-১ গোলে পরাস্ত হয় মেরিনার্সরা। এই ম্য়াচ শেষ হতে না হতেই জামশেদপুর সমর্থকরা মেরিনার্সদের উপর চড়াও হয়। এই ঘটনায় রিপনের মাথা ফেটে গিয়েছিল। রক্তে ভেসে গিয়েছিল গোটা শরীর। সেই ছবি এবং ভিডিও নেটপাড়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল।
Mohun Bagan Super Giant: ডার্বির আগে চরম উল্লাস, কালীঘাটকে হারিয়ে হুঙ্কার মোহনবাগানের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে রিপন বললেন, 'জামশেদপুরে গিয়ে যখন আমার মাথা ফেটে গিয়েছিল, সেইসময় আমাকে নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। বাড়ির সবাই রাগারাগিও করেছিল। তার উপরে আমার বাড়ি বনগাঁয়, সেখান থেকেই প্রতিদিন স্ট্রাগল করে খেলা দেখতে যাই। একটা ম্য়াচও বাদ দিই না। এই সবকিছুর পরে যে পুরস্কারটা আমি পাচ্ছি, সেটাই আপাতত ভাল লাগছে।'
Mohun Bagan vs East Bengal News: ডুরান্ডে আদৌ হবে কলকাতা ডার্বি? মোহন-ইস্টের লড়াই নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা
মোহনবাগানের এই ফুটবল সমর্থকের কথায়, 'জামশেদপুরের ওই ম্য়াচের পর যখন আমার মাথা ফেটে গিয়েছিল, সেইসময় দেবাশিস দত্ত আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ক্লাবের আরও কর্মকর্তা ছিলেন। আমার চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার ছিল, সবকিছু মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে যাবতীয় খরচ বহন করা হয়েছে। এরপর সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা বিষয়টা খুব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।'