/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/16/mohun-bagan-super-giant-vs-ahal-fk-1-2025-09-16-20-09-52.jpg)
শেষ হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম আহাল এফকে-র খেলা
Mohun Bagan Super Giant: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ( AFC Champions League 2) প্রথম ম্য়াচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং আহাল এফকে (Ahal FK) খেলতে নেমেছে। মঙ্গলবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই খেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। তবে মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে আহাল এফকে যে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা ৭টা বেজে ১৫ মিনিট হতেই শুরু হয় খেলা। তবে শুরুর দিকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে কিছুটা হলেও নিষ্প্রভ দেখিয়েছে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় বাগান ডিফেন্সকে। অনেকটা ফাঁকা জায়গা ছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন মিরজোয়েভ। বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকেও পড়েন তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁর শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এরপর প্রতি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটে মোহনাবাগানও। ৫ মিনিটে আহাল রক্ষণে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন জেসন কামিংস। ডান প্রান্ত থেকে বলটা নিয়ে করে তিনি বক্সের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, বল দখলের লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত আহাল জিতে যায়। ১৩ মিনিটে মোহনবাগান গোল করার একটা ঠিকঠাক সুযোগ পেয়েছিল। চাপ তৈরি করেছিল আহাল রক্ষণে। একটা কর্নার হাসিল করেছিলেন কিয়ান নাসিরি। বক্সের মধ্যে একটা ক্রস বাড়ান কামিংস। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তা বিপদমুক্ত করে দেওয়া হয়। বলটা তারপর লিস্টনের কাছেও যায়। তিনি অনেকটাই দুর থেকে শট নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর মাটি কামড়ানো শট শেষপর্যন্ত প্রতিহত হয়ে যায়।
অল্পের জন্য রক্ষা পেল মোহনবাগান
এরপর খেলা নিজের গতিতে এগোতে থাকে। আধঘণ্টা পর জলপানের জন্য সামান্য বিরতি নেওয়া হয়। বিরতির পর ফিরতে না ফিরতেই বড়সড় বিপদ তৈরি করেছিল আহাল এফকে-র ফুটবলার বেরেনোভ। ডান প্রান্ত থেকে তাঁর একটি লো ক্রস ভেসে আসে। এই শটটা আটকাতে মেরিনার্স ডিফেন্সকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। বলটা আহালের একজন ফুটবলারের পা স্পর্শ করেই দিক বদলে ফেলে। বিশাল কাইথ ততক্ষণে অন্যদিকে ঝাঁপ দিয়েছেন। নীরব দর্শক হিসেবে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাঁর কিছুই করার ছিল না। এমনটা সময় বলটা আচমকা ক্রসবারে গিয়ে ধাক্কা লাগে। আর সেইসঙ্গে রক্ষা পায় মোহনবাগানও।
হলুদ কার্ড দেখলেন অলড্রেড
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে জেসন কামিংসকে একটি পাস বাড়িয়েছিলেন সাহাল আবদুল সামাদ। ম্য়াচের প্রথমার্ধে সাহালকে সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি বললেই চলে। যাইহোক, সাহালের বাড়ানো পাসকে শেষ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারলেন না কামিংস। অস্ট্রেলিয়ার এই ফুটবলার তাঁর শটটা টার্গেটে রাখতে পারেননি। বল কার্যত হাওয়ায় ভেসে বেরিয়ে যায়। তবে ফরোয়ার্ড লাইনে মলিনা এমনই কম্বিনেশন দেখতে চাইছিলেন। প্রথমার্ধের একেবারে অন্তিম লগ্নে (৪৫+১ মিনিট) হলুদ কার্ড দেখেন টম অলড্রেড। যদিও তাতে চিন্তার বিশেষ কারণ নেই। দ্বিতীয়ার্ধে এই দুই দল কেমন পারফরম্য়ান্স করে, সেদিকেই আপাতত সকলে তাকিয়ে রয়েছেন।