/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/18/kolkata-derby-2025-08-18-13-31-37.jpg)
ডার্বি ম্য়াচ চলাকালীন ব্যাপক ঝামেলা
Kolkata Derby: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল শহর কলকাতা। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2025) কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant) এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্য়াচ আয়োজন করা হয়। এই ম্য়াচে দুটো দলের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যায়। শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে জয়লাভ করেছে।
East Bengal FC: ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয়ে আত্মহারা ব্রাত্য বসু, 'ওহ লাভলি' বললেন মদন মিত্র
এই ডার্বি ম্য়াচে একাধিক নাটকের সাক্ষী রইল কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। গ্যালারিতে সমর্থকদের চ্যালেঞ্জ, রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আরও কত কী! আসুন, এই ব্যাপারে আলোচনা করা যাক। ম্য়াচের প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল এফসি-র নয়া বিদেশি হামিদ আহদাদ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৮ মিনিটে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে খেলতে নামেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস (Dimitrios Diamantakos)। শেষপর্যন্ত তিনি নিজেকে ম্যাচ উইনার হিসেবে প্রমাণ করেন।
East Bengal FC: 'বাজবে প্রতিবাদের রণধ্বনি...', ডার্বি জিতে হুঙ্কার লাল-হলুদ ব্রিগেড
লাল-হলুদের ৩২ বছর বয়সি এই ফুটবলার ম্য়াচের প্রথমার্ধে (৩৮ মিনিট) পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলকে। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে তিনিই দলের লিড ডাবল করেন। সেমিফাইনাল ম্য়াচে এবার ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
East Bengal vs Mohun Bagan Highlights: মশালের আগুনের ছারখার সাধের বাগান, ডার্বির রং লাল-হলুদ
ম্যাচের গোধূলিলগ্নে ব্যাপক উত্তেজনা
এই ম্য়াচ যত শেষের দিকে এগিয়েছে, ততই উত্তেজনার পারদ আরও চড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত সময়ে দিমিত্রিয়স পেত্রাতোস (Dimitri Petratos) এবং লালচুনুঙ্গার মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার সল ক্রেসপো মাটিতে পড়ে যেতেই পেত্রাতোস এবং লালচুনুঙ্গার মধ্যে হেড-বাট (মাথায় মাথায় গুঁতোগুঁতি) দেখতে পাওয়া যায়। দুই দলের ফুটবলারও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দেন ম্যাচ রেফারি। পেত্রাতোস এবং লালচুনুঙ্গা দুজনকেই শেষপর্যন্ত হলুদ কার্ড দেখানো হয়।
East Bengal Goal: আগুন গোলে দুরন্ত লিড ইস্টবেঙ্গল, দিমির গোলে গর্জন যুবভারতীতে
আরও একটি বিতর্ক এই ম্য়াচকে কলঙ্কিত করেছে। ২৬ মিনিটের ঘটনা। একটি ফ্রি-কিক থেকে ইস্টবেঙ্গল মনে করেছিল যে তারা গোল করতে পেরেছে। কিন্তু, রেফারির সিদ্ধান্তে সেই গোলটি বাতিল হয়ে যায়। এর কয়েক মিনিট পরই দিয়ামান্তাকোস মনে করেছিলেন তিনি গোল করেছেন। কিন্তু, অফসাইডের কারণে সেটিও বাতিল হয়ে যায়। এরপর এডমান্ড লালরিন্দিকা পেনাল্টির আবেদন করলেও, সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি ম্য়াচ রেফারি।