/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/04/sports-india-2025-09-04-18-46-49.jpg)
Team India: বড় ধাক্কা খেল ভারতীয় দল।
NADA Shock: অলিম্পিক এবং এশিয়ান গেমসের মত বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার আসর এখন সামনে। এমন সময়ে জাতীয় ডোপিং-বিরোধী সংস্থা (NADA) একসঙ্গে আট ভারতীয় খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করেছে। এই সিদ্ধান্তকে ভারতের প্রস্তুতির জন্য এক বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নিষেধের তালিকায় কোন কোন খেলোয়াড়?
NADA-এর অ্যান্টি-ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেল (ADDP) এই খেলোয়াড়দের বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করেছে।
সুমি কালীরামন (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড) – ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্ব অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার মিশ্র রিলেতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
নিষিদ্ধ পদার্থ ক্লোমিফিন-এ পজিটিভ আসেন।
শ্রীরাগ এ.এস. (দূরপাল্লার দৌড়) – ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
রেশমা দত্ত কেওয়াতে (দূরপাল্লার দৌড়) – ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা
সিমরনজিৎ কৌর (ভারোত্তোলন) – ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
রোহিত চামোলি (বক্সিং) – ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা
আরজু (কুস্তি) – ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা
মোহিত নান্দাল (কাবাডি) – ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা
অনিরুদ্ধ অরবিন্দ (কুস্তি) – ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা
আরও পড়ুন- প্রতিশোধের পালা, জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় ভারত! কোন অঙ্কে ঘুটি সাজাচ্ছেন খালিদ?
এই সব খেলোয়াড়ই বিভিন্ন ধরনের ডোপিং অপরাধে অভিযুক্ত। সুমি কালীরামনের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় নিষিদ্ধ পদার্থ ধরা পড়েছে। অন্য খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও স্যাম্পল রিপোর্টে অনৈতিক পদার্থ শনাক্ত হয়েছে বলেই অ্যান্টি-ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেল জানিয়েছে। NADA জানিয়েছে, খেলাধুলার সঠিক মান বজায় রাখতে এক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন- কোরিয়ার বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই টিম ইন্ডিয়ার, কী হল খেলার ফলাফল?
অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমসে ভারতীয় অ্যাথলিটরা গত কয়েক বছরে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। বিশেষত ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড, কুস্তি ও বক্সিং ভারতের পদকজয়ের বড় ভরসা। তবে এই নিষেধাজ্ঞা— খেলোয়াড় সংকটে ফেলতে পারে ভারতকে। তরুণ প্রতিভাদের জন্য এটা এক বড় সতর্কবার্তা। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় দলের প্রস্তুতির গতি কিছুটা হলেও কমে যাবে
আরও পড়ুন- এটিকে-র প্রাণভ্রমরা, ISL-য়ে করেছিলেন প্রথম গোল! মনে আছে এই ফুটবলারের কথা?
ক্রীড়া বিশ্লেষকদের মতে, ডোপিং নিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান ইতিবাচক। তবে একইসঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা ইঙ্গিত করছে, দেশের ক্রীড়াব্যবস্থায় এখনও সঠিক সচেতনতার অভাব আছে। এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের নিয়মিত অ্যান্টি-ডোপিং ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। রাজ্য ও জাতীয় স্তরে মেডিকেল টিমকে আরও সক্রিয় করা উচিত। তরুণ অ্যাথলেটদের ডোপিংয়ের ঝুঁকি এবং পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করা উচিত বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- চিনের হারে প্রবল অস্বস্তিতে ভারত, এবার কী করবে টিম ইন্ডিয়া?
NADA-এর এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভারতের ক্রীড়াজগতে আলোড়ন তুলেছে। তবে এটি একইসঙ্গে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, নিয়ম ভাঙলে কারও রেহাই নেই। অলিম্পিক এবং এশিয়ান গেমসের মত ইভেন্টে দেশের গর্ব ধরে রাখতে হলে খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা ও সততার বিকল্প নেই। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।