/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/06/east-bengal-vs-mohun-bagan-4-2025-09-06-17-51-24.jpg)
বাংলা ফুটবলের অন্যতম প্রাণশক্তি মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল
Ryuji Sueoka: বাংলার শতাব্দীপ্রাচীন দুই ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) একাধিক বিদেশি ফুটবলার খেলতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন সময়ের কৃষ্ণগহ্বরে। তবে কিছু ফুটবলার সমর্থকদের হৃদয়ে ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে রয়েছেন। তেমনই একজন ফুটবলার হলেন রিউজি সুয়েকা। জাপানের এই ফুটবলার খুব অল্প সময়ের জন্য মোহন-ইস্টের হয়ে খেললেও, আজও স্মৃতির ক্যানভাসে রয়ে গিয়েছেন।
মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের হয়েই খেলেছেন সুয়েকা
অনেকেই হয়ত ভুলে গিয়েছেন, ২০০৯-১০ মোহনবাগানের হাত ধরেই কলকাতার ক্লাব ফুটবলে প্রথমবার পা রেখেছিলেন রিউজি সুয়েকা। কিন্তু, খুব বেশি ম্য়াচ খেলার সুযোগ তিনি পাননি। ৭ ম্য়াচে তিনি মাত্র পাঁচটি গোল করেছিলেন। এরপর আবারও তিনি কলকাতা ফুটবলে কামব্যাক করেন। তবে এবার লাল-হলুদ জার্সিতে। কিন্তু, এবারও তিনি পায়ের তলার মাটি একেবারে শক্ত করতে পারেননি। ২০ ম্যাচ খেলে মাত্র পাঁচটি গোল করেছিলেন তিনি। এই একটা মরশুমের পরই ইস্টবেঙ্গল তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল।
East Bengal FC: লাল-হলুদের 'প্রাণভোমরা'! নামেই কাঁপত ময়দান! একদা তারকা ফুটবলারের আজ কী পরিচয় জানেন?
কিন্তু, আপনারা কি জানেন যে ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করার পর সুয়েকা জুতো সেলাই করতেন? যা শুনছেন, তা ১০০ শতাংশ সত্যি! জুতোই সেলাই করতেন তিনি। তবে পেটের তাগিদে নয়! এর পিছনে ছিল আরও বড় এবং মহতী উদ্দেশ্য। আসুন, সেই ব্যাপারেই বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
Robson Robinho Mohun Bagan: কলকাতায় পা রাখলেন রবসন, উচ্ছ্বসিত মোহনবাগান সমর্থকরা
কেন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন সুয়েকা?
সালটা ছিল ২০০৯। তখন সুয়েকা সবেমাত্র মোহনবাগানে যোগ দিয়েছেন। একদিন কলকাতার রাস্তায় হেঁটে বেড়ানোর সময় আচমকাই এক মুচির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। কয়েকবছর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সুয়েকা বলেছিলেন, 'একদিন হাঁটতে হাঁটতে আমার জুতো আচমকাই ছিঁড়ে যায়। আমার সঙ্গে যে কিট-ম্য়ান ছিল, সে আমাকে একজন মুচির কাছে নিয়ে গিয়েছিল। সালটা ছিল ২০০৯। তখন আমি ভারতীয় ফুটবল ক্লাব মোহনবাগানের হয়ে প্রথমবার খেলতে এসেছিলাম। ওই মুচির সেলাই করার কৌশল আমাকে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করেছিল। তখনই মনে মনে ঠিক করেছিলাম যে এই বিদ্যেটা জাপানেও নিয়ে যেতে হবে।'
East Bengal FC vs Kitchee FC Highlights: জ্বলে উঠল লাল-হলুদ মশাল, ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গল
এরপর থেকে সুয়েকা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মুচির দোকানে চলে যেতেন। বিশেষ করে গোয়ায় - যেখানে তিনি ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সালগাঁওকর এবং ডেম্পোর হয়ে খেলেছিলেন। মুচির দোকানে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতেন। কীভাবে জুতো সেলাই করা হচ্ছে, সেটাই তিনি শেখার চেষ্টা করতেন।