ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০৩ রানের বিশাল ব্য়বধানে বধ করেছে। ২৪ ঘণ্টা হতে চলল। মহম্মদ শামি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন তো বটেই ব্য়াটিং হিরো রোহিত শর্মার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেট সমাজ। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার একদিন কেটে গেলেও রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে মুগ্ধতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌজন্যে তাঁর এক হাতে ক্যাচ।
এমনিতে অ্যাথলিটিজমে জাদেজা বিশ্বের প্রথম সারির একজন। ক্রিকেট মাঠে ফিল্ডিং করার সময়ে ক্ষিপ্রতায় টেক্কা দেন বিশ্বের সেরা ফিল্ডারদেরও। তবে এবার জাদেজা শিরোনামে তাঁর দুরন্ত রিফ্লেক্সের কারণে।
দক্ষিণ আফ্রিকান ইনিংসের ২৭তম ওভারের ঘটনা। সেই সময় ৫ উইকেট পড়ে গেলেও লড়াই চালাচ্ছিলেন প্রোটিয়াজরা। তবে ২৭তম ওভারেই তিন-তিনটে উইকেট দখল করেন জাড্ডু। ওভারের শুরুই করেছিলেন মারক্রামকে দুরন্ত ক্যাচে ফিরিয়ে। সামান্য ওভার পিচড বল বোলারের মাথার উপর দিয়ে প্লেস করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার। তবে জাদেজা বলের দিকে না তাকিয়ে স্বভাবজাত রিফ্লেক্সে ক্যাচ তালুবন্দি করেন। তারপরেই সেলিব্রেশনে মাতেন তারকা অলরাউন্ডার।
মারক্রাম সেই সময় ক্রিজে টিকে গিয়েছিলেন। তবে জাদেজার ক্ষিপ্রতার কাছে তাঁকে ফিরতে হয় ৩৯ রান করেই। প্য়াভিলিয়নে ফেরার সময় মারক্রামের চোখে-মুখে অবিশ্বাস্য ক্যাচের বিস্ময় ঠিকরে বেরোচ্ছিল। ভেবেই পাচ্ছিলেন না, কীভাবে এমন ক্যাচ ধরা সম্ভব।
অবশ্য সেই ওভারে শুধু মারক্রামই নন, জাদেজা ফিরিয়ে দেন ভের্নন ফিলান্ডার এবং কেশব মহারাজকেও। কোনও রান না করেই ফিরতে হয় ফিলান্ডার ও মহারাজকে। এতেই মধ্যহ্নভোজের বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ১১৭/৮। লাঞ্চের পরে বেশিক্ষণ লড়াই চালাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯১ রানেই থমকে যায় প্রোটিয়াজদের যাবতীয় প্রতিরোধ। শেষ পর্যন্ত জাদেজা ৩ উইকেট এবং মহম্মদ শামি ৫ উইকেট দখল করেন।
Read the full atticle in ENGLISH