/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/05/improve-home-wifi-speed-tips-bengali-2025-11-05-16-49-24.jpg)
আজকের দিনে ইন্টারনেট প্রতিটি বাড়ির একটি অপরিহার্য পরিষেবায় পরিণত হয়েছে
আজকের দিনে ইন্টারনেট প্রতিটি বাড়ির একটি অপরিহার্য পরিষেবায় পরিণত হয়েছে। অনলাইন ক্লাস, অফিসের কাজ বা বিনোদনের জন্য OTT প্ল্যাটফর্ম—সবকিছুই এখন নির্ভর করে একটি শক্তিশালী ওয়াই-ফাই কানেকশনের উপর। তবে অনেক সময় দেখা যায়, বাড়িতে ওয়াই-ফাই সিগন্যাল দুর্বল হওয়ার কারণে ইন্টারনেট ব্যাবহারে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয় ইউজারদের। যার মূল কারণ অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীর অজান্তেই তৈরি হওয়া কিছু সাধারণ ভুল।
প্রথমত, রাউটারের অবস্থান ওয়াই-ফাই সিগন্যালের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকেই রাউটারকে ঘরের কোণে, মেঝেতে বা আসবাবপত্রের পিছনে রাখেন, যা সিগন্যাল দুর্বল করে দেয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাউটারটি ঘরের কেন্দ্রস্থলে ও কিছুটা উচ্চতায় ইন্সটল করা উচিত। পাশাপাশি দেয়াল, ধাতব বস্তু, মাইক্রোওয়েভ বা কর্ডলেস ফোনের কাছাকাছি রাখা থেকেও বিরত থাকতে হবে, কারণ এগুলি সিগন্যালে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
এছাড়া, ব্লুটুথ স্পিকার বা অন্য কোনও ওয়্যারলেস গ্যাজেটও আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ককে ব্যাহত করতে পারে। তাই রাউটারকে এই ধরনের ডিভাইস থেকে দূরে রাখাই ভালো। একই সঙ্গে, আশেপাশে একাধিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কাজ করলে রাউটারকে কম ভিড়যুক্ত চ্যানেলে স্যুইচ করলে গতি উন্নত হতে পারে।
যদি আপনার রাউটারটি তিন থেকে চার বছরের পুরনো হয়, তাহলে সেটি আপগ্রেড করে নিন। বর্তমানে বাজারে Wi-Fi 6 ও 6E সমর্থিত ডুয়াল-ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ড রাউটার পাওয়া যায়, যা দ্রুত গতি ও স্থিতিশীল সংযোগ প্রদান করে। ৫GHz ব্যান্ডে স্বল্প দূরত্বে উচ্চ গতি মেলে, আর ২.৪GHz ব্যান্ড দীর্ঘ দূরত্বে ভালো কভারেজ দেয়।
রাউটারের সফটওয়্যার বা ফার্মওয়্যার নিয়মিত আপডেট করাও অত্যন্ত জরুরি। এতে কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং সাইবার নিরাপত্তাও বজায় থাকে। বড় বাড়ির ক্ষেত্রে Wi-Fi এক্সটেন্ডার সিস্টেম ব্যবহার করলে প্রতিটি ঘরে শক্তিশালী সিগন্যাল পাওয়া যায়।
সবশেষে, নিজের নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখতে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও WPA2 বা WPA3 এনক্রিপশন ব্যবহার করা উচিত। এতে অননুমোদিত ব্যবহার বন্ধ হয় এবং ইন্টারনেটের গতি স্থিতিশীল থাকে। পাশাপাশি, স্মার্ট টিভি, গেমিং কনসোল বা ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো ডিভাইসগুলিকে সরাসরি ইথারনেট কেবল দিয়ে সংযুক্ত করলে Wi-Fi-র উপর চাপ কমে যায় এবং সার্বিক নেটওয়ার্কের পারফরম্যান্স উন্নত হয়।
নিরাপত্তার দিকটিও উপেক্ষা করা উচিত নয়। অনিরাপদ ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক আশেপাশের কেউ অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করতে পারে, যার ফলে আপনার স্পিড কমে যায়। তাই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং সম্ভব হলে WPA3 এনক্রিপশন সক্রিয় রাখুন।
ওয়াই-ফাই স্পিড কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ হল অতিরিক্ত ডিভাইস সংযোগ। প্রতিটি ডিভাইস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে, ফলে নেটওয়ার্কের চাপ বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন এবং অতিথিদের জন্য আলাদা “Guest Network” তৈরি করুন।
সবশেষে, মাইক্রোওয়েভ, কর্ডলেস ফোন, বেবি মনিটর বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে রাউটারকে দূরে রাখুন, কারণ এগুলি ওয়াই-ফাই সিগন্যালে হস্তক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন- গ্রাহকদের জন্য বড় ধাক্কা, একাধিক প্রিপেড প্ল্যানের বৈধতা কমে গেল, ফের দাম বাড়বে?
২ লিটারে পাবেন ১৭০ কিমির অনবদ্য মাইলেজ, নামিদামি কোম্পানির এই সিএনজি স্কুটারটি বাজার কাঁপাবে
ভারতীয় ইউজারদের জন্য সুখবর! বিরাট অফার ChatGPT Go-র
আরও কমল খাটনি! এবার নোট লিখবে AI, বহুভাষায় ভয়েস সার্চ, অনুবাদ এখন জলভাত!
৬ টাকার কম খরচে দৈনিক আনলিমিটেড কলিং, ডেটা, তোলপাড় ফেলা অফারে বাজার গরম করল Jio
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us