/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/18/cLCPUtByonulvHpwI9wj.jpg)
ISRO: নতুন ইতিহাস গড়ছে ইসরো।
ISRO Chairman V Narayanan: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO (Indian Space Research Organisation) আজ বিশ্বমানচিত্রে মহাকাশ প্রযুক্তির শীর্ষে উঠে এসেছে। কিন্তু এর যাত্রা শুরু হয়েছিল একেবারে সাদামাটাভাবে ১৯৬৩ সালের ২১ নভেম্বর, আমেরিকার দেওয়া ছোট্ট একটি রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে।
ইসরোর অভিযান
আরও পড়ুন- গরুর বাঁট থেকে সরাসরি শিশুকে কাঁচা দুধ খাওয়াচ্ছেন বাবা! প্রবল ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা
সম্প্রতি চেন্নাইয়ের কাছে SRM Institute of Science and Technology-এর ২১তম সমাবর্তনে ISRO চেয়ারম্যান ও মহাকাশ বিভাগের সচিব ভি নারায়ণন ভারতের মহাকাশ অভিযানের এই সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'যে দেশ একসময় আমেরিকার থেকে একটি ছোট রকেট পেয়েছিল, আজ সেই দেশই ৬৫০০ কেজির বিরাট কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে চলেছে।'
আরও পড়ুন- কোন তারিখে, কখন, কীভাবে পালন করবেন মনসা পূজা? জেনে নিন বিস্তারিত
ISRO ও NASA যৌথভাবে NISAR (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar) মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এটি পৃথিবীর অন্যতম দামি স্যাটেলাইট, যেখানে আমেরিকার L-band SAR পেলোড ও ISRO-র S-band পেলোড যুক্ত হয়েছে। উৎক্ষেপণ এত নিখুঁত হয়েছিল যে, NASA প্রকাশ্যে ISRO-র প্রশংসা করেছে।
আরও পড়ুন- ১৩ আগস্ট বিশ্ব বামহাতি দিবস, জানুন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য!
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ISRO ৬৫০০ কেজি ওজনের আমেরিকায় তৈরি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। বিশেষত্ব হল— এই উৎক্ষেপণ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি এবং ভারতের নিজস্ব উৎক্ষেপণযান (launch vehicle) দিয়ে হবে। ৫০ বছর আগে ভারতের কাছে কোনও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ছিল না। আজ নিজস্ব উৎক্ষেপণযান দিয়ে ৩৪টি দেশের ৪৩৩টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে ভারত। এই যাত্রা শুধুমাত্র প্রযুক্তির উন্নতি নয়— এটি ভারতের দৃঢ়তা, পরিশ্রম ও দূরদর্শিতার প্রতীক।
আরও পড়ুন- ছোট মাছের চচ্চড়ির রেসিপি, একবার খেলেই ছেলেবেলার স্বাদ মনে করিয়ে দেবে!
ভি নারায়ণন জানান, ভারতের মহাকাশ গবেষণা শুধু বিজ্ঞান নয়, দেশের আত্মবিশ্বাস এবং স্বনির্ভরতার প্রতীক। বিশ্বজুড়ে যে স্বীকৃতি আজ ISRO পাচ্ছে, তা সবার একত্র প্রচেষ্টা ও দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক কাজের ফল। SRM Institute of Science and Technology ভি নারায়ণনকে সম্মানসূচক 'ডক্টর অফ সায়েন্স' উপাধি দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দিয়েছেন। ISRO-র লক্ষ্য এখন আরও উচ্চতায়— মঙ্গল, চাঁদ, এমনকী সৌরজগতের বাইরের অভিযান চালানো। পাশাপাশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ব্যবসায় বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করাও অন্যতম লক্ষ্য ইসরোর।