Advertisment

Chandrayaan-2: সবচেয়ে দুশ্চিন্তার মুহূর্ত, কেমন করে অবতরণ করবে চন্দ্রযান?

চাঁদের মাটি থেকে যখন ১০ মিটার উচ্চতায় থাকবে বিক্রম, তখন সক্রিয় হয়ে যাবে সেন্ট্রাল ইঞ্জিন এবং টাচ সেন্সর। তারপর ইসরো চাস্তে, রম্ভা এবং ইলসা নামের তিনটি সোলার প্যানেল মোতায়েন করবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শেষ পনেরো মিনিটের ম্যানুভেরিং সফল হলে ইতিহাস গড়বে ভারত। চাঁদের দক্ষিণভাগের ৭০ ডিগ্রী অক্ষাংশের Sinpenius N ও Manzinus C এর মাঝে একটা উঁচু জায়গা রয়েছে, সেখানেই চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমকে অবতরণ করানোর কথা জানিয়েছে ইসরো। এই দুটি খটমট শব্দই বর্তমানে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। কারণ পৃথিবী থেকে হিসাব নিকাশ কষে এই দুই স্থান খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisment

৭ সেপ্টেম্বর রাত ১.৩০ (অবাদে ৬ সেপ্টেম্বর রাত) থেকে শুরু হবে দুশ্চিন্তার মুহূর্ত। ল্যান্ডারের সঙ্গে রয়েছে তিন-তিনটি ক্যামেরা। ১) ল্যান্ডার পোজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা (LPDC), ২) ল্যান্ডার হরাইজেন্টাল ভেলোসিটি ক্যামেরা (LHVC) ৩) ল্যান্ডার হ্যাজারডাস ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়ডেন্স ক্যামেরা (LHDAC)

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-২: বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের ছবি দেখতে পাবেন কি?

ক্যামেরার মধ্যে রয়েছে KA Band Altimeter-1 এবং KA Band Altimeter-2। ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম এর মাইক্রোওয়েভ ব্যান্ডের মধ্যে রয়েছে এই দুই যন্ত্র। যেখান থেকে লেজার লাইট দিয়ে স্ক্যান করা হবে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ।

publive-image নাম লাসা, এই লেজার লাইট দিয়ে স্ক্যান করা হবে চাঁদের মাটি, অলংকরণ: অভিজিৎ বিশ্বাস

ল্যান্ডারের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি 800N লিকুইড থ্রাস্টার ইঞ্জিন, টাচ ডাউন সেন্সর এবং সোলার প্যানেল। 'সফট ল্যান্ডিং' এর জন্য ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকেই থামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাতারাতি চতূর্ভুজ  আকৃতির ল্যান্ডারের চার পাশে চারটি ইঞ্জিন চালু হবে। ন্যাভিগেশনের পর, KA Band Altimeter-1 লেজার এবং ল্যান্ডার পজিশন সনাক্তকরণ ক্যামেরাটি নিখুঁতভাবে সুনিশ্চিত করবে অবতরণের স্থান।

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ২: শেষ পনেরো মিনিটই ভাবাচ্ছে ইসরোকে

চন্দ্রযান ২'র সব খবর পড়তে ক্লিক করুন 

মাটিতে সঠিকভাবে বসার জন্য উপযুক্ত জায়গাটি সনাক্ত করতে ল্যান্ডার পজিশন সনাক্তকরণ ক্যামেরাটি চালু করা হবে। ল্যান্ডারের এই ঘোরাঘুরির পর্যায়ে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার উপরে, দুটি ইঞ্জিন চালু করা হবে। পরবর্তীকালে ল্যান্ডার হরাইজেন্টাল ভেলোসিটি ক্যামেরা (LHVC),KA Band Altimeter-2 সক্রিয় করা হবে।

publive-image দিনের আলো পেতেই ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে আসবে প্রজ্ঞান। অলংকরণ: অভিজিৎ বিশ্বাস

চাঁদের মাটি থেকে যখন ১০ মিটার উচ্চতায় থাকবে বিক্রম, তখন সক্রিয় হয়ে যাবে সেন্ট্রাল ইঞ্জিন এবং টাচ সেন্সর। তারপর ইসরো চাস্তে, রম্ভা এবং ইলসা নামের তিনটি সোলার প্যানেল মোতায়েন করবে। ল্যান্ডার বিক্রমের একেবারে নিচের কিউবিকলে রয়েছে চাস্তে। রম্ভা থাকবে বিক্রমের গায়ে লেগে আর ইলসা থাকবে একেবারে ওপরের অংশে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কাজ করা শুরু করবে ওই সোলার প্যানেলগুলি। তারপর সকালের শুরুতে চাঁদের মাটিতে বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান।

Read the full story in English

ISRO
Advertisment