/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/28/nisar-commissioning-2025-07-28-10-18-35.jpg)
৩০ জুলাই কী এমন হতে চলেছে? মহাকাশে ফের দাপট ভারতের? জানলে চমকে যাবেন
ISRO Space Mission 2025 : ISRO-NASA-এর বড় পরিকল্পনা, ৩০ জুলাই NISAR-এর উৎক্ষেপণ।মহাকাশে যাওয়ার কীভাবে কাজ করবে এই উপগ্রহ?
ISRO এবং NASA-এর যৌথ অভিযানে আগামী ৩০ জুলাই উৎক্ষেপণ হতে চলেছে NISAR। এই উপগ্রহটি প্রতি ১২ দিন অন্তর পৃথিবীর পৃষ্ঠ, বরফ, বন এবং মহাসাগর পর্যবেক্ষণ করবে এবং জলবায়ু এবং দুর্যোগের উপর নজর রাখবে।
আরও পড়ুন- বর্ষায় সাপের উপদ্রব থেকে মুহূর্তে মিলবে সুরক্ষা,ঘরোয়া এই টোটকায় মুসকিল আসান
রবিবার (২৭ জুলাই, ২০২৫) ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) জানিয়েছে যে ভারত এবং মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, ISRO এবং NASA যৌথভাবে নির্মিত প্রথম আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট (NISAR) এখন ৩০ জুলাই উৎক্ষেপণ করা হবে। এই উপগ্রহটি পৃথিবীর পৃষ্ঠ, সমুদ্র, বরফ এবং বনের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন- শ্বেতা তিওয়ারির মত ইনস্টাগ্রামে ৫০ লক্ষ ফলোয়ার চান? এই ৫ স্ট্র্যাটেজি ফলো করুন
NISAR মিশন উৎক্ষেপণের তারিখ এবং স্থান
NISAR ৩০ জুলাই বিকেল ৫:৪০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে GSLV-F16 রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে।
NISAR মিশন কী?
NISAR (NASA-ISRO সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার) হল ISRO এবং NASA দ্বারা যৌথভাবে তৈরি একটি উন্নত উপগ্রহ মিশন। এই উপগ্রহটি পৃথিবীর পৃষ্ঠ, বরফ, কৃষি জমি ও বনাঞ্চলের পরিবর্তন চিহ্নিতকরণ করতে সহায়তা করবে। এই উপগ্রহটি প্রতি ১২ দিনে সমগ্র পৃথিবীর ছবি তুলতে সক্ষম হবে, যার ফলে বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, ভূমিধস এবং হিমবাহ গলে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি অধ্যয়ন করতে পারবেন। এর তথ্য কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ সুরক্ষায়ও ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন- সাবধান! ভারতে সাইবার জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, ২২,৮৪৫ কোটি টাকা প্রতারণা! চূড়ান্ত চাঞ্চল্য দেশজুড়ে
ISRO-এর মতে, নিসার মিশন পৃথিবী পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তিতে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা একটি স্যাটেলাইট থেকেই দুই ধরনের রাডার প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এর তথ্য পরিবেশ, কৃষি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নীতি নির্ধারণে অত্যন্ত কার্যকর হবে। উৎক্ষেপণের পর থেকে ৯০দিন পর এই উপগ্রহ তার কাজ শুরু করবে।
নিসার মিশনের মূল উদ্দেশ্য
পৃথিবীর পৃষ্ঠ ও বরফের গতি পরিমাপ
কৃষি জমি ও বনাঞ্চলের পরিবর্তন চিহ্নিতকরণ
হিমালয়, গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ পর্যবেক্ষণ
ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, ভূমিধস ও ভূগর্ভস্থ জলস্তরের পরিবর্তন বিশ্লেষণ
আরও পড়ুন- ধুঁয়াধার অফারে বাজারে তোলপাড়! jio-এর বিরাট ধামাকা, ব্যাকফুটে Airtel
কার দায়িত্বে কী?
১. ইসরো এস-ব্যান্ড রাডার, স্যাটেলাইট কাঠামো, ডেটা সিস্টেম এবং উৎক্ষেপণ প্রস্তুত করেছে।
২. নাসা এল-ব্যান্ড রাডার, জিপিএস রিসিভার, সলিড-স্টেট রেকর্ডার এবং ১২ মিটার প্রশস্ত প্রতিফলকের জন্য ৯ মিটার লম্বা একটি বুম তৈরি করেছে।
৩. উৎক্ষেপণের পর প্রথম ৯০ দিনকে 'কমিশনিং ফেজ' বলা হবে, যেখানে সমস্ত সরঞ্জাম পরীক্ষা করে সেট আপ করা হবে।
আরও পড়ুন-এসির গ্যাস লিক করে ছটফট করে মৃত্যু! বর্ষায় কতটা বিপজ্জনক হতে পারে আপনার সাধের এসি মেশিনটি?
নিসার মিশনের গুরুত্ব কী?
ইসরোর মতে, এই মিশন পৃথিবী পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তিতে একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে। বিজ্ঞানীরা একটি একক প্ল্যাটফর্ম থেকে দুটি ভিন্ন রাডার প্রযুক্তির তথ্য পাবেন, যা পরিবেশ এবং জলবায়ু সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলি আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।