Natural hydrogen reserve: জ্বালানি সংকটে জর্জরিত বর্তমান পৃথিবীর জন্য এক বিরাট আনন্দের খবর সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর ভূগর্ভে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া হাইড্রোজেনের একটি বিশাল ভাণ্ডার পাওয়া গেছে। এই 'সাদা হাইড্রোজেন' (White Hydrogen) ভবিষ্যতের জ্বালানি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণা বলছে, এই শক্তি পরবর্তী ১ লক্ষ ৭০ হাজার বছর পর্যন্ত বিশ্বের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
এই চাঞ্চল্যকর আবিষ্কারটি করেছেন অক্সফোর্ড, ডারহাম এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁদের গবেষণায় জানা গেছে, পৃথিবীর মহাদেশীয় ভূত্বকের গভীরে দীর্ঘ সময় ধরে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে এই প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন। এটি কোনও রিফাইনারি ছাড়াই তোলা যাবে। আর, সবচেয়ে বড় কথা, একে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে কোনওরকম কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) নির্গত হবে না। অথবা দূষণ হবে না।
আরও পড়ুন- দাঁতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? সহজ এই উপায়েই পান অবিশ্বাস্য স্বস্তি
বিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমানে ব্যবহৃত অধিকাংশ হাইড্রোজেন উৎপন্ন হয় কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এই প্রাকৃতিক 'সাদা হাইড্রোজেন' সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। কানাডার প্রাচীন শিলাঞ্চল 'কানাডিয়ান শিল্ড'-এর অনেক জায়গায় প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এমন অঞ্চল শুধু কানাডাই নয় গোটা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন- মুহূর্তে গায়েব হবে হাঁটুর ব্যথা! ৯৯ শতাংশ মানুষ এই টপ সিক্রেট জানেন না
গবেষকদের দাবি
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্য গড়তে গিয়ে জিমেই হচ্ছে আপনার চূড়ান্ত ক্ষতি! কী সাবধানবাণী শোনাচ্ছেন চিকিৎসক?
গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, যদি সঠিকভাবে এই হাইড্রোজেন উত্তোলন এবং সংরক্ষণ করা যায়, তবে তা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে স্বল্প ব্যয়ে দূষণমুক্ত জ্বালানি শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। তবে, একে উত্তোলনের জন্য প্রচলিত গ্যাস বা তেল উত্তোলন পদ্ধতি যথেষ্ট নয়। উন্নত প্রযুক্তি, সেন্সিটিভ ডেটা এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থারও দরকার।
আরও পড়ুন- মাত্র ১৫ মিনিটের অতিরিক্ত ঘুমেই বদলে যাবে জীবন, অবিশ্বাস্য তথ্য সামনে এল গবেষণায়
এই গবেষণার পিছনে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা ‘Snowfox Discovery Limited’ নামে একটি নতুন সংস্থা খুলেছেন। এই সংস্থা স্যাটেলাইট এবং ভূতাত্ত্বিক তথ্যের মাধ্যমে সম্ভাব্য হাইড্রোজেন উত্তোলন কেন্দ্র খুঁজে বের করে। এই আবিষ্কার শুধু জ্বালানি সংকটেরই সমাধান নয়, বরং একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। যা জলবায়ু পরিবর্তনের বদলে মানবজাতিকে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিতে পারে।