New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/11/social-media-addiction-2025-08-11-13-28-15.jpg)
Social Media Addiction: এই কায়দায় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিকশন থেকে মুক্তি পান।
Social Media Addiction: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিকশন মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জেনে নিন ৫টি সহজ কায়দা, যা আপনাকে নেশা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
Social Media Addiction: এই কায়দায় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিকশন থেকে মুক্তি পান।
Social Media Addiction: ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার (এক্স) এবং স্ন্যাপচ্যাটের মত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট আজ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুহূর্তেই যুক্ত হতে পারছে। কিন্তু এই সুবিধার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার এক ভয়ংকর দিকও আছে। সেটা হল— Social Media Addiction বা সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি।
যখন আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি, তখন প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছু দেখি, পড়ি বা শেয়ার করি। এতে মস্তিষ্কে ডোপামিন নামের একটি ‘ফিল-গুড’ হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের আনন্দ ও তৃপ্তি দেয়। একই হরমোন মাদকদ্রব্য সেবনের বা নেশার সময়ও নিঃসরণ হয়। এই সুখের অনুভূতি আবার পাওয়ার জন্য মস্তিষ্ক বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরতে চায়। এর পাশাপাশি কাজ করে FOMO (Fear of Missing Out), মনে হয় যদি কিছু মিস করে ফেলি! এই ভয়ের কারণেও আমরা অনবরত ফোন স্ক্রল করতে থাকি।
আরও পড়ুন- চুল পড়া বন্ধে দুর্দান্ত কাজে দেবে কারিপাতা বাটা! ১ মাস পর্যন্ত থাকবে টাটকা, কীভাবে বানাবেন?
এতে মানসিক চাপ বাড়ে। অবিরাম স্ক্রলিং বাড়ায় স্ট্রেস লেভেল। এতে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। রাতে ফোনের ব্যবহার ঘুমের পরিমাণ কমায়। বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পড়াশোনা বা কাজের মনোযোগ নষ্ট হয়। বাস্তব জীবনে যোগাযোগ কমে যায়। জেনে নিন, সোশ্যাল মিডিয়ার নেশা থেকে মুক্তির ৫ রাস্তা।
আরও পড়ুন- আলু দিয়ে এই কায়দায় বানান পাবদা মাছের ঝোল, মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ ফিরিয়ে আনুন সহজেই
হঠাৎ পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া কঠিন। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন সোশ্যাল মিডিয়া পুরোপুরি বন্ধ রাখুন। শুরুতে কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে। চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো সেই দিনের জন্য ডিলিট করে দিন।
আরও পড়ুন- মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ শুনে কাঠগড়ায় হেসে উঠেছিলেন, ১১ আগস্ট ফাঁসি হয়েছিল ক্ষুদিরাম বসুর
ফোনে নোটিফিকেশন এলে আমরা না চাইলেও অ্যাপ খুলে ফেলি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন বন্ধ করুন বা সাইলেন্ট মোডে রাখুন। এতে অপ্রয়োজনীয় ডিস্ট্রাকশন কমবে।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর এই দেশে একটিও সাপ নেই! নাম শুনলে চমকে যাবেন
ফোনে Screen Time বা App Limit ফিচার ব্যবহার করুন। প্রতিদিন কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেবেন, তা ঠিক করুন এবং তা মেনে চলুন।
ঘুমানোর জায়গা বা ডাইনিং টেবিলে ফোন নিষিদ্ধ করুন। এতে পরিবার বা সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ বাড়বে এবং স্ক্রলিং কমে যাবে।
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান, হাঁটতে যান, বই পড়ুন, গাছের পরিচর্যা করুন, আঁকা বা গান শিখুন। শরীরচর্চা বা খেলাধুলায় অংশ নিন। ব্যস্ত থাকলে সোশ্যাল মিডিয়া চালানোর তাগিদ কমে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়া নেশা ছাড়তে হলে ধীরে ধীরে শুরু করুন। প্রথমে একদিন, তারপর দুইদিন, পরে সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহার কমিয়ে আনুন। সময়ের সঙ্গে আপনি নিজেই বুঝবেন সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরেও জীবনের অনেক আনন্দ আছে।
সোশ্যাল মিডিয়া এক অসাধারণ টুল, তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি ডেকে আনে। সঠিক পরিকল্পনা এবং দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিকশন (Social Media Addiction) থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সেই লক্ষ্যে এখনই সময় ডিজিটাল ডিটক্স শুরু করার।