Starship 10th test flight: মহাকাশ ভ্রমণে নতুন দিগন্ত, ১০ম স্টারশিপ টেস্ট ফ্লাইটে সফল, সুপার হেভি বুস্টারের নিয়ন্ত্রিত স্প্ল্যাশডাউন

Starship 10th test flight: এটি পূর্ণাঙ্গ পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট প্রযুক্তির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ এবং মঙ্গল মিশনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

Starship 10th test flight: এটি পূর্ণাঙ্গ পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট প্রযুক্তির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ এবং মঙ্গল মিশনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
Starship 10th test flight

Starship 10th test flight: ১০ম পরীক্ষামূলক উড়ান সফল।

Starship 10th test flight: স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের দশম পরীক্ষামূলক উড়ান সফল। সুপার হেভি বুস্টার মেক্সিকো উপসাগরে সফলভাবে নিয়ন্ত্রিত স্প্ল্যাশডাউনও করেছে। যার মাধ্যমে স্পেসএক্স আবারও প্রমাণ করল যে তারা মহাকাশ ভ্রমণকে একেবারে নতুন স্তরে নিয়ে যাচ্ছে। বুধবার টেক্সাসের বোকা চিকায় স্টারবেস থেকে স্টারশিপ রকেটের এই বহুল প্রতীক্ষিত ১০ম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছে। এই মিশনের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল সুপার হেভি বুস্টারের নিয়ন্ত্রিত স্প্ল্যাশডাউন। সেটাই মেক্সিকো উপসাগরে হয়েছে।     

Advertisment

প্রথমে প্রতিকূল আবহাওয়া ও টেকনিক্যাল চেকের কারণে লঞ্চ বারবার পিছিয়ে যায়। তবে শেষমেশ যখন রকেটটি আকাশে ওড়ে, তখন সেটি নিখুঁতভাবে হট-স্টেজিং প্রক্রিয়া শেষ করে।

Advertisment

আরও পড়ুন- ৩০ দিনের মধ্যে ১৫ দিনই ব্যাঙ্ক বন্ধ! ভোগান্তি এড়াতে সব ছেড়ে আগে পড়ুন এই প্রতিবেদন

অর্থাৎ, ওপরের স্তর সফলভাবে বুস্টার থেকে আলাদা হয়ে কক্ষপথের পথে যাত্রা শুরু করে। পৃথিবীতে ফেরার সময় বুস্টারটি নাটকীয় এক ফ্লিপ ম্যানুভার করে। আর তারপরে সঠিক সময়ে বুস্টব্যাক বার্ন চালু করে। ইঞ্জিনিয়াররা একাধিক রিলাইট টেস্ট প্রোগ্রাম নিয়েছিলেন যাতে বিভিন্ন উচ্চতায় এবং গতিতে ইঞ্জিন কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা স্পষ্ট হয়। এই প্রক্রিয়াটি ভবিষ্যতে লঞ্চ টাওয়ার আর্মস দিয়ে সরাসরি আকাশে বুস্টার ধরার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

আরও পড়ুন- মুকেশ আম্বানি থেকে ইলন মাস্ক, প্রতি মিনিটে কত আয় করেন? জানলে মাথা ঘুরে যাবে

স্টারশিপের ওপরের অংশ কক্ষপথের কাছাকাছি গতিতে পৌঁছয়। মিশনের প্রায় ৪৫ মিনিট পরে ইঞ্জিন পুনরায় চালু করে সফলভাবে টেস্ট সম্পন্ন হয়। এটি তাপ সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কাঠামোগত স্থায়িত্ব যাচাই করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু টেস্ট নয়, স্পেসএক্স এবার বাস্তব পেলোডও ব্যবহার করেছে। রকেটের মাধ্যমে এক ব্যাচ স্টারলিংক স্যাটেলাইট মহাকাশে মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে বাস্তব মিশনের পরিস্থিতিও অনুকরণ করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন- Google Search-এই ওঁত পেতে ভয়ঙ্কর বিপদ! সামান্য ভূলে হতে পারে জেল-জরিমানা

পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেটের পথে আরও এক ধাপ 

আরও পড়ুন- Mark Zuckerberg-এর নিরাপত্তায় বিপূল বরাদ্দ! খরচ শুনে পিলে চমকে যাবেন

আগের ফ্লাইটগুলোর তুলনায় এবার স্টেজ সেপারেশন অনেক নিখুঁত হয়েছে। হিট শিল্ডের স্থায়িত্ব এসেছে, ইঞ্জিনের নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণিত হয়েছে। স্পেসএক্সের স্বপ্ন একটি সম্পূর্ণ রিইউজেবল রকেট সিস্টেম (reusable rocket system) তৈরি করা, যা মানুষ এবং মালপত্রকে চাঁদ, মঙ্গল এমনকী আরও দূর মহাকাশে নিয়ে যেতে পারবে। এই ১০ম উৎক্ষেপণ প্রমাণ করল যে স্পেসএক্স শুধু পরীক্ষা নয়, বরং ধাপে ধাপে লক্ষ্য পূরণের পথে অগ্রসর হওয়া। যদি ভবিষ্যতের ফ্লাইটগুলোও একইভাবে সফল হয়, তবে আগামী এক দশকের মধ্যেই মানবজাতি নতুনভাবে মহাকাশ ভ্রমণ করতে পারবে।

test flight Starship