/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/31/HASinBdXYwtDszgyXs0Q.jpg)
শক্তিশালী কম্পন
Earthquake: ভোরে ফের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। শক্তিশালী কম্পন ফিলিপিন্স, নেপালে। তুমুল আতঙ্কে দিশেহারা মানুষজন।
আরও পড়ুন- আজ ছিল একমাত্র সন্তানের জন্মদিন, তার আগেই চিরবিদায় পদস্থ সরকারি কর্তার
ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপিন্স। শুক্রবার ভোরে মিন্দানাও দ্বীপ অঞ্চলে আঘাত হানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩ মিনিটে (ভারতীয় সময় সকাল ৪টা ৩৩ মিনিটে) এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। জার্মান ভূতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র (GZF) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল ৯.৭৩° উত্তর অক্ষাংশ ও ১২৬.২০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং মাটির প্রায় ৯০ কিলোমিটার গভীরে। হঠাৎ কম্পনে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন- রাজীব কুমার মামলার শুনানি থেকে কালীপুজোর উদ্বোধন, ব্যস্ত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর
তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আফটারশকের সম্ভাবনার দিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মাত্র এক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ ফিলিপিন্সের একই এলাকায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
১০ অক্টোবরের প্রথম ভূমিকম্পটি ছিল ৭.৪ মাত্রার, যাতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়। তার পরেই ৬.৮ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে ফের কেঁপে ওঠে অঞ্চলটি। প্রথম কম্পনে ভূমিধস, হাসপাতাল ও স্কুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং জারি হয় সুনামির সতর্কতা। তবে পরে সেই সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বরের ৬.৯ মাত্রার ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে অন্তত ৭৪ জন নিহত হন এবং সেবু প্রদেশে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। প্রশান্ত মহাসাগরের “রিং অফ ফায়ার” অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিপিন্স ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, যেখানে প্রায়ই টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত ঘটে থাকে।
আরও পড়ুন- অতর্কিতে পুলিশের শীর্ষকর্তার বাড়িতে হানা CBI-এর, উদ্ধার টাকার পাহাড়
ফিলিপিন্সের পাশাপাশি ভোররাতে ফের কেঁপে উঠল নেপাল। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর, ২০২৫) ভোর ১টা ৮ মিনিট নাগাদ পশ্চিম নেপালে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪৭৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই এলাকায় ভূকম্পনটি অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।উল্লেখ্য, নেপাল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে একটি। দেশের বড় অংশই ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল—সিসমিক জোন IV ও V—এর মধ্যে পড়ে। প্রতি বছরই নেপালে একাধিক ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে, যার ফলে দেশটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে থাকে সবসময়।
আরও পড়ুন- কালীপুজোর মুখে বৃষ্টির পূর্বাভাস একাধিক জেলায়, ফের টানা দুর্যোগ? কবে নামবে শীত?