AIMIM wants to contest in Bengal assembly elections, Tmc alleges BJPs conspiracy: নির্বাচন এলেই যেমন দিল্লি থেকে রাজনৈতিক নেতাদের আগমন ঘটে বাংলায়, ঠিক তেমন কিছু রাজনৈতিক দলও ভোটের আগে বাংলায় লড়াইয়ের ঘোষণা করে। আবার এরাজ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নামতে চলেছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল AIMIM বা মিম। সম্প্রতি মিমের বঙ্গ নেতৃত্ব এই ঘোষণা করেছে। এর আগে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় এসেছিলেন খোদ এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
আম আদমি পার্টি তথা আপ (AAP) এরাজ্যে ভোট রাজনীতিতে নামবে বলে চূড়ান্ত ঘোষণা করেছিল গত গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের আগে। তবে তার আগেও ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল কেজরিওয়ালের দল। তবে দিল্লিতে গদি চলে যাওয়ার পর এরাজ্যে আপের কতটা সাংগঠনিক প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পঞ্জাবে সরকার গঠন করার পরও বাংলায় আপের সংগঠন মজবুত করা নিয়ে উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। এখন তা প্রায় উধাও বলা যায়। তবে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই ফের লড়াইয়ের প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এখন রাজনৈতিক মহলের আরও একটি বড় প্রশ্ন, আদৌ কি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মিম লড়াই করবে? ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক কেন্দ্রে এআইএমআইএম প্রার্থী দেবে বলে রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছিল। বাংলায় এসেছিলেন আাসাদ্দউদ্দিন ওয়েইসি। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছিলেন 'ভাইজান' আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে। তখনও অভিযোগ উঠেছিল বাংলায় বিজেপির 'বি টিম' হিসাবে কাজ করতে চলেছে এআইএমআইএম। এবার বিধানসভায় লড়াই করবে ঘোষণা হতেই ফের তৃণমূল একই সুরে কথা বলছে। এবার কি ভোটের ময়দানে বাস্তবে লড়াই করতে দেখা যাবে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দলকে? এই হায়দরাবাদের দলকে কতটা গ্রহণ করবে বাংলার সংখ্যালঘুরা? সেই প্রশ্নও রয়েছে।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro Holi Schedule: দোলেও ছুটবে মেট্রো, তবে সময়সূচি না জানলে দুর্ভোগে পড়তে পারেন
এআইএমআইএম নেতা ইমরান সোলাঙ্কি বলেছেন, "আমরা এখানে একটি বড় ঘোষণা করতে এসেছি। আমরা মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং দিল্লিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। বাংলায়, আমরা সব আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যৎ সামান্য ভোটপ্রাপ্তির হিসেবও দিয়েছেন তিনি। এআইএমআইএম ইতিমধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- Tapasi Mondal: সদ্য তৃণমূলের 'উন্নয়নযজ্ঞে' যোগ বিধায়কের, শুভেন্দুর 'সঙ্গ' ছাড়তেই 'বড় পুরস্কার' মমতার
এদিকে মিম বাংলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নামবে এবং সামনের বিধানসভা ভোটেও লড়তে পারে শুনে ফের একবার পুরনো আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দলকে বিজেপির 'বি টিম' বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। ভোট ময়দানে বিজেপি-কে সুবিধা করে দিতেই ভোট ভাগ করার চেষ্টা করছে এআইএমআইএম, এমনই অভিযোগ ফিরহাদের। যদিও শাসকদলের এই টিপ্পনিতে বিশেষ কান দিতে নারাজ গেরুয়া দল। ফের একবার হিন্দুত্বকে 'ঢাল' করেই ভোট ময়দানে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা।
আরও পড়ুন- Humayun on Suvendu: 'ঠুসে দেব শুনেই ভয় পেয়েছে, দম না থাকলে কেন বলেন?' শুভেন্দুকে বেনজির আক্রমণ হুমায়ুনের
উল্লেখ্য, বিহারে গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনে জিতেছিল ওয়েইসির দল। মিমের জয়ী আসনগুলির বেশ কয়েকটি আবার এরাজ্যের সীমানা ঘেঁষা কেন্দ্র ছিল। সেবারই মিম প্রধান জানিয়েছিলেন এবার তাঁদের লক্ষ্য বাংলা। একুশের নির্বাচনের আগে এরাজ্যে এসে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও করেছিলেন মিম প্রধান। এমনকী গতবারের নির্বাচনে মিমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আব্বাস সিদ্দিকী ও তাঁর অনুগামীরা নির্বাচনের লড়তে পারেন বলেও একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময় সেই সমীকরণ সত্যি হয়নি। এবারও বছর ঘুরলেই রাজ্যে ফের একটি বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে মিমের ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ এখন বেশ চর্চায়।