Allegation of rape of housewife against civic volunteer in Maldas Habibpur: কলকাতার আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) পর আবারও ধর্ষণ ও মহিলাকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়াল মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত হবিবপুরের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। মালদার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা ওই মহিলা।
ঘটনাটি কালীপুজোর (Kali Puja) রাতে ঘটলেও পুলিশ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই সোমবার বিকেলে মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের কাছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার মনোজ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ জানান ২৪ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ। যদিও এই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার।
নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার কালীপুজোর রাতে বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী বাইরে কাজ করেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার মনোজ মণ্ডল। ঘটনার সময় ওই গৃহবধুর বাবা-মা আত্মীয়েরা পাশের একটি পুজোয় ব্যস্ত ছিলেন। আশেপাশের পুজো মণ্ডপের মাইকের আওয়াজের কারণে ওই গৃহবধূর চিৎকার প্রথমে শুনতে পাননি স্থানীয়রা।
পরে ওই গৃহবধূর তারস্বরে চিৎকারে প্রতিবেশী এবং তাঁর বাবা-মা ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। এমনকী পরে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা এবং তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরের দিন হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে দীর্ঘক্ষন থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। শেষমেষ অভিযোগ নিলেও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, এমনই অভিযোগ নির্যাতিতার। এই ঘটনায় হবিবপুর থানায় মনোজ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও এবং তাঁরই আরও দুই আত্মীয় দিবাকর মণ্ডল এবং সুকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে মারধর ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন- Ration Card: রেশন ব্যবস্থায় বিরাট বদল আনা হয়েছে, সমস্যা এড়াতে ঝটপট জানুন বিশদে
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, "সিভিক ভলান্টিয়ার মানুষের রক্ষার জন্য, তা না করে ধর্ষণ করছে। পশ্চিমবঙ্গে এমন ঘটনা এখন লজ্জাজনক বিষয় হয়ে গিয়েছে। এই সব অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? পুলিশ কখনও নির্যাতিতার অভিযোগ নিতে চাইছে না। আবার কখনও অভিযুক্তদের ধরপাকড়ও করছে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন- WBJDA: সঞ্জয়ের 'নির্দোষ' দাবি নিয়ে কিঞ্জলের মন্তব্য, রেশ টেনে আক্রমণে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্য সংগঠন
মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশীষ কুণ্ডু বলেন, "পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তিনটি মামলা রুজু করে ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার জন্য আইন রয়েছে। অবশ্যই আমরা চাই কঠোরতম শাস্তি হোক। কিন্তু বিজেপি পুলিশ ও প্রশাসনের কাজকে বিভ্রান্তি করে মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।" পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের খোঁজ চালানো হচ্ছে।