Bangladesh continues to import goods from India: বেশ কয়েকমাস ধরেই বাংলাদেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে আসছেন। লিফলেট বিলি করেছেন, মাইকিং করেছেন। এবার ভারতীয় পণ্য বর্জনেরও ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে রিজভী তাঁর স্ত্রীর একটি ভারতীয় শাড়ি ছুড়ে ফেলেন। ভারত বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষমতার অলিন্দেই রয়েছে BNP। এরই পাশাপাশি বিকল্প বাণিজ্য খোঁজার কাজেও বৈঠক করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। যদিও ভারত থেকে আগের মতোই সব জিনিসপত্র আমদানি করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'কালের কন্ঠ'-এ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ, "২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আলু আমদানি করা হয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৬৮ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গত ৫ মাসে (১ জুলাই - ৩০ নভেম্বর) আমদানি করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৬৩ টন। এসব আলু এসেছে ভারত থেকেই। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৭০ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৫২ টন। ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, চীন ও মায়ানমার থেকে এসব পেঁয়াজ এসেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আলুর বাজারে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। যদিও দাম বেশি হলেও নতুন আলু ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে বাজারে আসবে। এই সময় সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জানিয়েছে তারা।" পেঁয়াজ ও আলুর বাজার স্থিতিশীল করতে ভারতের বিকল্প বাজার থেকে আমদানি এবং বাজার মনিটরিংয়ের জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ, জানিয়েছে এই পত্রিকা।
এদিকে BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্য হয় মাত্র ১১.২৫ বিলিয়ন। আপনারা আছেন অনেক পিছনে, দশেরও পরে। আমাদের অর্থনীতি আপনাদের ওপর নির্ভর করে না। কটন, অ্যানিমেল ফডার, অ্যানিমেল ভেজিটেবল, আলু, ডিম, পেঁয়াজ-সহ প্রায় একশোর কাছাকাছি সামগ্রী।" অবিলম্বে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হলে ভারত থেকে বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ এবং অন্যান্য সামগ্রী যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)।
আরও পড়ুন- Bangladesh Unrest: 'হিন্দুদের হত্যাকারী মহম্মদ ইউনুস', সরাসরি নোবেল কমিটিকেই চিঠি BJP সাংসদের
বাংলাদেশ সীমান্তে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ, রাজপথে মিছিল আবার বাংলাদেশে বয়কটের ডাক। তবে এখনও ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণ অব্যাহত রয়েছে। মালদার মহদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্য বন্দর, পেট্রাপোল বাণিজ্য-বন্দর সহ সমস্ত সীমানা থেকেই ভারতের পণ্য বাংলাদেশে যাচ্ছে। ওই দেশ থেকেও পণ্য আসছে।
গোটা বাংলাদেশে যেন হিন্দু নিধন যজ্ঞ চলছে। বাংলাদেশে অবর্ণনীয় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। কট্টরবাদী মৌলবাদীরা বেছে-বেছে হিন্দু মহল্লায় ঢুকে আক্রমণ চালাচ্ছে। কট্টরবাদীদের হামলার ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে হিন্দুরা। বাংলাদেশের সরকার মুখে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করার কথা বললেও আদতে তা হচ্ছে না। দিকে দিকে উগ্রবাদীরা ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালাচ্ছে হিন্দুদের ওপর। দুই দেশের মধ্যে এই মুহূর্তে পারস্পরিক সম্পর্কে বেশ ধাক্কা লেগেছে। তবুও সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য এখনও জারি রয়েছে।