Mohammad Yunus: গতকাল ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উৎখাতের এক বছর পূর্ণ হতেই বিরাট ঘোষণা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের।
তিনি ঘোষণা করেন, দেশের ১৩ তম নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ 'মাইলফলক' প্রমাণিত হবে বলেও উল্লেখ করেন ইউনূস।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইউনূস বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠাব যাতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, রমজান শুরুর আগেই, নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।” প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের রমজান মাস শুরু হবে ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছিল। যখন ইউনূস দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও, ইউনূস তাঁর ভাষণে জুলাইয়ের বিদ্রোহকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন। ইউনূস বলেন, "আমরা একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে, আমি দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠাব যাতে নির্বাচন কমিশন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী রমজান শুরুর আগে জাতীয় নির্বাচন পর্ব অনুষ্ঠিত করতে পারে।"
ইউনূস আরও বলেন, "আপনাদের সকলের প্রার্থনা করা উচিত যাতে এই দেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে একই সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে আমরা এই নির্বাচনগুলি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করব।”
আগে এপ্রিলে নির্বাচনের কথা বলা হলেও দেশের সবকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে। তারপরে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানানো হয়েছে।