Birbhum's Dubrajpur, minor saved herself from the clutches of two miscreants by her wits: টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীর মুখ বেঁধে গণধর্ষণের চেষ্টা। বুদ্ধির জোরে নিজেকে রক্ষা করল বীরভূমের নাবালিকা। ধর্ষণে বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীরা নাবালিকাকে মারধর করে পোশাক ছিঁড়ে দেয়। তবে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকেও। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেয় টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিল নাবালিকা ছাত্রী। বান্ধবীর সঙ্গে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিল সে। মাঝপথে বান্ধবীকে ছেড়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময়ই তার পথ আটকায় স্থানীয় দুই যুবক। আচমকা পথ আটকাতেই হতচকিত হয়ে যায় বছর সতেরোর স্কুল পড়ুয়া। ততক্ষণে মুখে কাপড় গুঁজে টানাটানি শুরু হয়ে যায় তাকে। জোর করে দুবরাজপুর-পণ্ডিতপুর রাস্তা থেকে টেনে হিঁচড়ে পাশের মাটির রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয় নাবালিকাকে। ঝোপ-জঙ্গল ঘেরা ফাঁকা অন্ধকার রাস্তায় টেনে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন শুরু হয়। যাতে নির্যাতিতা চিৎকার করতে না পারে সেজন্য মুখে কাপড় বেঁধে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরই তাকে দু’জন মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ওই অঞ্চলে সন্ধ্যা থেকেই কালীপুজো উপলক্ষ্যে বিচিত্রা অনুষ্ঠান চলছিল। তাই মাইকের আওয়াজও ছিল চড়া। সেই সুযোগকে কাজে লাগায় দুই দুষ্কৃতী। কিন্তু একটা গান শেষ হতেই আওয়াজ বন্ধ হয়। ঠিক সেই সময় নাবালিকা কোনও ক্রমে মুখের বাঁধন খুলে ফেলে চিৎকার করতে শুরু করে। নাবালিকা বাধা দিলে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় নাবালিকার পোশাকের একাংশ। এদিকে চিৎকার শুনেই স্থানীয়রা ছুটে আসে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় পিন্টু সাহা ও চাঁদ দে নামে দুই অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন- Digha: ফাটাফাটি ব্যবস্থা! পর্যটকদের দুরন্ত মনোরঞ্জনে জমাটি উদ্যোগ, এবার ফাঁক পেলেই দিঘা ছুটবেন!
নাবালিকার অভিযোগ, টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পণ্ডিতপুর গ্রামের কাছে ওই দুই যুবক তার পথ আটকায়। তাকে জোর করে রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে যায় পাশে একটি ঝোপের মধ্যে। সেখানে কাপড় দিয়ে তার মুখ বাঁধা হয় এবং গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। দুবরাজপুর থানায় অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
পলাতক দুই অভিযুক্তকে শেষমেশ গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা। তবে এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে নাবালিকা যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে, তাতে তার সাহস ও উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করছেন সকলে। যদিও মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত মা-বাবা।