BJP Leader Murder: ৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর দলীয় কার্যালয় থেকেই উদ্ধার BJP নেতার রক্তাক্ত দেহ। শুক্রবার গভীর রাতে মথুরাপুর BJP সাংগঠনিক জেলার সোশ্যাল মিডিয়া মিডিয়া কনভেনর পৃথ্বীরাজ নস্করের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে। উস্তি দ্বীপের মোড় এলাকায় বিজেপি কার্যালয় থেকেই উদ্ধার হয় পৃথ্বীরাজের মৃতদেহ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন পৃথ্বীরাজ নস্কর। বৃহস্পতিবার উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। শুক্রবার গভীর রাতে পরিবারের লোকজন কোনওভাবে জানতে পারেন দ্বীপের মোড় এলাকার বিজেপি কার্যালয়ের মধ্যে পৃথ্বীরাজ নস্করের দেহ রয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে উস্তি থানার পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ ডায়মন্ডহারবার পুলিশ মর্গে পাঠায়।
এদিকে বিজেপি নেতার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, দলের নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এব্যাপারে পুলিশকে জানানো হলেও আগেভাগে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও অভিযোগ সুকান্তর।
এক্স হ্যান্ডলে এবিষয়ে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষার তাগিদে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আবার শহীদ হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির একজন সক্রিয় সৈনিক। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর আজ মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনর পৃথ্বীরাজ নস্করের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে মন্দিরবাজারের দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে। কয়েকদিন আগে তাঁকে তাঁর নিজের এলাকা থেকেই তুলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীবাহিনী। নৃশংস খুনের আগে পৃথ্বীরাজের উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। পুলিশের কাছে ওর পরিবার একাধিকবার সহায়তা চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাটুকার পুলিশ-প্রশাসন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় থাকে।"
আরও পড়ুন- Canning Incident: মহিলাকে ধর্ষণ করে 'খুন', ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে মৃতের সঙ্গী কী করল জানেন?
আরও পড়ুন- Jagadhatri Puja 2024: প্রায় ১০০ ভরি সোনায় সাজ দেবীর! তাকলাগানো মণ্ডপসজ্জা, চন্দননগরের এই পুজো না দেখলে পস্তাবেন!
সুকান্ত মজুমদার আরও লিখেছেন, "সাম্প্রতিক অতীতেও শুধুমাত্র নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর অকথ্য নির্যাতন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাদের বহু সক্রিয় কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাও আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্যের জনবিচ্ছিন্ন, নৃশংস এবং রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কতটা ভয় পেয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আমরা আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও রাজ্যের প্রতিটি বিজেপি কর্মীর সুরক্ষার জন্য লড়বো। রাজ্যকে বাঁচানোর সংকল্পে রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।"
আরও পড়ুন- Train Derailment: ফের রেল দুর্ঘটনা, লাইন থেকে ছিটকে গেল শালিমারগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের পরপর কামরা
আরও পড়ুন- Rain in West Bengal: আবহাওয়া ধীরে ধীরে বদলাতেই ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা, সপ্তাহ ঘুরলেই প্রবল দুর্যোগ?