WB By Election Result: মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রও ধরে রাখতে পারল না BJP। উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্তিশালী সংগঠন প্রশ্নের মুখে পড়ল। খোদ প্রাক্তন মন্ত্রীর গলায় তীব্র সমালোচনার সুর। একনায়কতন্ত্র, অহঙ্কার ও ওভার-কনফিডেন্সের তত্ত্ব আওড়ালেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। তবে কি BJP ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বার্লা? খোলামেলা এই প্রশ্নের জবাবও দিলেন চা বাগানের বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা।
রাজ্যের ৬টি বিধানসভার উপনির্বাচনে একচেটিয়া জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস ও সিপিএমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বরং সম্মান রেখেছে নওশাদের ISF। উত্তরবঙ্গের "মজবুত" সংগঠন কাজে এল না মাদারিহাট উপনির্বাচনে। সম্প্রতি সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের আগে-পরে প্রায় প্রতিটি উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা নিজের দুর্গ রক্ষা করতে পারলেন না।
জন বার্লা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "একনায়কতন্ত্র, অহঙ্কার, ওভার-কনফিডেন্স। তাছাড়া জন বার্লাকে থাকতে দেব না। তখন মোদী ছিল। তাই বিপুল ভোটে জয়। এভাবে চললে আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির হাল কী হবে? জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিংয়ের আসনগুলো জিততে পারবে? চা বাগানের শ্রমিকদের অবহেলা করার ফল পেল। চা বাগানের শ্রমিকরা বোনাস পেলে খুশি হয়। আমার সময় ২০১০ থেকে ২০২২, ২০ শতাংশ বোনাস। ২৩- এ ১৯ শতাংশ পেয়েছে চা শ্রমিকরা। এখন ১৬ শতাংশ বোনাস। কোনও কোনও চা বাগানে ৯ শতাংশ বোনাস জুটেছে। চা বাগানের শ্রমিকদের খুশি করতে পারেনি। চা বাগানের শ্রমিক ও নেতাদের কোনও পাত্তাই দিচ্ছে না এখানকার বিজেপির নেতৃত্ব।" এই বিধানসভা কেন্দ্রে ২১টি চা বাগান আছে। ডিমডিমা সহ বহু চা বাগানে ব্যাপক ভোট বেড়েছে তৃণমূলের।
আরও পড়ুন- Strange News: গ্রামের পর গ্রামে একই দিনে বাড়ি-বাড়ি 'বিয়ে'! অবাক-কাণ্ডের নেপথ্যের গল্পটি জানেন?
বিজেপি নেতৃত্ব আশা করেছিল অন্তত মাদারিহাট কেন্দ্রে দল জয় পাবে। নিদেনপক্ষে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই হবে। কার্যত উড়ে গিয়েছে বিজেপি। এখানে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা চলছে প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। সত্যি কি আপনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন? তিনি কিন্তু জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন।
জন বার্লা বলেন, "আমি একাই জন বার্লা নই। আমাদের টিম আছে। টিম নিয়ে কাজ করি। আমার টিম সিদ্ধান্ত নেয়, একা কোনও সিদ্ধান্ত নিই না। তাছাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা আছে। আমি এখন দিল্লিতে আছি। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে উপনির্বাচনে বিজেপি হারতেই জন বার্লার তৃণমূলে যোগের গুঞ্জন তীব্র হয়েছে। দিল্লি থেকে তাঁর ফেরার অপেক্ষা করছেন অনুগামীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার উত্তরবঙ্গেও বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়তে পারে।