/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/cbse-open-book-exam-2025-08-12-16-04-18.jpg)
CBSE Open-Book Exam: সিবিএসইর ওপেন বুক পরীক্ষা।
Open-Book Exam: মুখস্থর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং বাস্তব জ্ঞানের প্রয়োগে উৎসাহিত করতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (CBSE)। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে ওপেন-বুক পরীক্ষা চালুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বোর্ডের গভর্নিং বডি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একবছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো পাইলট স্টাডির ভিত্তিতে। যেখানে শিক্ষকরা জানিয়েছেন যে ওপেন-বুক মূল্যায়ন শিক্ষার্থীদের গভীরভাবে ভাবতে শেখায় এবং মুখস্থ করে শেখার প্রবণতা কমায়।
CBSE-র প্রস্তাব
CBSE-র প্রস্তাব অনুযায়ী, নবম শ্রেণিতে প্রতি টার্মে তিনটি খাতায়-কলমে পরীক্ষার অংশ হিসেবে ওপেন-বুক অ্যাসেসমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মূল বিষয় যেমন— ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞানের ওপর এই পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক, ক্লাস নোট এবং অন্যান্য অনুমোদিত রেফারেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন- ১৩ আগস্ট বিশ্ব বামহাতি দিবস, জানুন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য!
লক্ষ্য হল মুখস্থর ওপর নির্ভরতা কমানো, উচ্চতর চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা গড়ে তোলা এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণ আর বাস্তব প্রয়োগের ক্ষমতা বৃদ্ধি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ওপেন-বুক অ্যাসেসমেন্ট পাইলট হিসেবে চালু করা হয়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের স্কোর ১২% থেকে ৪৭% এর মধ্যে, যা বোঝায় যে অনেকেই এখনও রেফারেন্স উপকরণ ঠিকভাবে ব্যবহার করতে শেখেনি। তবে শিক্ষকদের মতে, সময়ের সঙ্গে প্রশিক্ষণ এবং অভ্যাসের মাধ্যমে এই দক্ষতা বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন- ছোট মাছের চচ্চড়ির রেসিপি, একবার খেলেই ছেলেবেলার স্বাদ মনে করিয়ে দেবে!
শিক্ষকদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে এমন প্রশ্ন তৈরি করা যা শুধুমাত্র বই থেকে সরাসরি উত্তর দেওয়া যাবে না, বরং শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রয়োগ ও বিশ্লেষণ করতে হবে। এজন্য CBSE মানসম্মত নমুনা প্রশ্নপত্র তৈরি করবে, যাতে স্কুলগুলো গাইডলাইন পায়। এর আগে ২০১৪ সালে CBSE ‘Open Text Based Assessment’ চালু করেছিল, তবে ২০১৭-১৮ সালে তা বাতিল হয়। কারণ তখন এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রত্যাশিত সমালোচনা করার দক্ষতা তৈরি করতে পারেনি। এবার বোর্ড বলছে, নতুন কাঠামো এবং NCFSE ২০২৩ নির্দেশিকা মেনে পরীক্ষা নেওয়ায় ক্ষেত্রে আগের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন- গরুর বাঁট থেকে সরাসরি শিশুকে কাঁচা দুধ খাওয়াচ্ছেন বাবা! প্রবল ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা
প্রাথমিকভাবে এটি নবম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার অংশ হবে এবং স্কুলগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক না-ও হতে পারে। তবে কাঠামোটি এমনভাবে তৈরি হবে যাতে ইচ্ছুক স্কুলগুলো সহজে এই প্রক্রিয়া নিজেদের সিস্টেমে কাজে লাগাতে পারে। শিক্ষাকর্তাদের ধারণা এতে পরীক্ষার সময় পড়ুয়াদের ওপর চাপ কমবে, বাস্তব জীবনে জ্ঞানের প্রয়োগ শেখা যাবে, পড়ুয়াদের বিশ্লেষণ, সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বাড়বে।
আরও পড়ুন- পরমাণু অস্ত্রের পিছনে কারা করছে বেশি খরচ, চলছে লবিবাজিও! তালিকায় ক'নম্বরে ভারত?
২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এটি চালু হবে। অর্থাৎ, বর্তমান সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নবমে ওঠার সময় থেকেই এই নতুন ধরনের মূল্যায়নের মুখোমুখি হবে। CBSE-র এই পদক্ষেপ ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মুখস্থ নির্ভরতা থেকে দক্ষতা নির্ভর শিক্ষায় রূপান্তরের একটি বড় ধাপ হতে পারে। সঠিক প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি শিক্ষার্থীদের শেখার মান বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।