জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিরাট বিপত্তি চন্দননগরে! হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিখ্যাত পুজো কমিটির প্যান্ডেল

Chandannagar pandal collapse: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে বড় দুর্ঘটনা! বিখ্যাত পুজো কমিটির উঁচু প্যান্ডেল ঝড়ে ভেঙে পড়ল। আহত বেশ কয়েকজন।

Chandannagar pandal collapse: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে বড় দুর্ঘটনা! বিখ্যাত পুজো কমিটির উঁচু প্যান্ডেল ঝড়ে ভেঙে পড়ল। আহত বেশ কয়েকজন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chandannagar pandal collapse: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিখ্যাত পুজো কমিটির প্যান্ডেল।

Chandannagar pandal collapse: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিখ্যাত পুজো কমিটির প্যান্ডেল।

Chandannagar pandal collapse: জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যেই বড় দুর্ঘটনা ঘটল চন্দননগরে। ভেঙে পড়ল চন্দননগরের কানাইলাল পল্লির প্যান্ডেল। এবার এই পুজো কমিটি সর্বোচ্চ প্যান্ডেল বানানোর দাবি করেছিল। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। 

Advertisment

৭৫ ফুট উঁচু

এবছর চন্দননগর কানাইলাল পল্লির পুজো কমিটি দাবি করেছিল তারা ৭৫ ফুট উঁচু জগদ্ধাত্রীর প্যান্ডেল তৈরি করছে। যা হবে জগদ্ধাত্রী পুজোর সর্বোচ্চ প্যান্ডেল। প্রতিমার এবং প্যান্ডেলের উচ্চতা নিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকমিটিগুলোর মধ্যে টক্কর চলে। সেই সূত্রেই এত উঁচু প্যান্ডেল তৈরি করছিল কানাইলাল পল্লির পুজোকমিটি। 

আরও পড়ুন- ভক্তি থেকে বিপত্তি! ছট পুজোর সকালে গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেলেন তিনজন

Advertisment
Chadannagar Kanailal Palli Pujo: এই সেই মণ্ডপ।
Chadannagar Kanailal Palli Pujo: ভেঙে পড়ার আগে, এই সেই মণ্ডপ।

প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

মঙ্গলবার সেই মণ্ডল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন একটি পুজো প্রতিযোগিতা কমিটির বিচারকরা। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন চন্দননগর আর্ট ফোরামের সদস্য শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও ঘটনায় আহত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবু বলেন, 'ওই সময় ওখানে প্রায় ১০০ জন লোক ছিল। বিকেল ৪টা নাগাদ আমরা কানাইলাল পল্লির মণ্ডপে গিয়েছিলাম। আচমকা মণ্ডপ দুলতে শুরু করে। এরপর উপস্থিত আমাদের ওপর এসে পড়ে। ঘটনাটা এত দ্রুত ঘটে আর, মণ্ডপটা এত বড় যে আমরা পালানোর চেষ্টা করেও পারিনি।'

আরও পড়ুন- আতঙ্কে আত্মঘাতী প্রৌঢ়! সুইসাইড নোটে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর দায় NRC-র’, কেন্দ্রকে তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রীর

আহত হয়েছেন শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীও

ঘটনাস্থলেই শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মৌমিতাও। তিনিও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। শুভেন্দুবাবুর ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙে গিয়েছে। আর, তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচারের জন্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৩ জন। তার মধ্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে চন্দননগর হাসপাতালে। একজনকে রেফার করা হয়েছে কলকাতায়। বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- পাঁচতারা হোটেলে নৃশংসতা! লিকার রুমে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচালেন তরুণী, অভিযুক্ত পার্ক স্ট্রিট মামলার অপরাধী

আহতদের দেখতে হাসপাতালে মেয়র

ঘটনার খবর পেয়েই পুজো কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। চলে আসে বড় পুলিশবাহিনীও। চন্দননগরের এই কানাইলাল পল্লির মণ্ডপটি চন্দনননগর থেকে গড়ের ধার দিয়ে যেতে মানকুন্ডু ওঠার মুখে সাবান ফ্যাক্টরির কাছে। খবর পেয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'হালকা ঝড়েই মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে। ৬ জন আহত হয়েছেন। একজনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের কারও মাথায় সেলাই পড়েছে। কারও পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। ৬ জনের মধ্যে ৩ জন একটি সংস্থার বিচারকমণ্ডলীর সদস্য।'

আরও পড়ুন- মন্থার তাণ্ডব আতঙ্কের আগে থেকেই মেঘলা আকাশ কলকাতায়, বাড়ছে আশঙ্কা

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেছেন, 'আজকে প্রচণ্ড হাওয়া বইছিল। কানাইলাল পল্লি পুজো কমিটির প্যান্ডেল তাতে পড়ে গিয়েছে। দমকল এবং পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও দুর্দান্ত কাজ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, মাত্র পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি পুজো কমিটির কর্তাদের বলেছি, প্যান্ডেলের বাকি অংশ ঠিকঠাক আছে কি না, দেখে নিয়ে পুজো শুরু করতে।'

চন্দননগরের বাছাই করা পুজোগুলো হল- ১) মানকুণ্ডু স্পোর্টিং ক্লাব, ২) কানাইলাল পল্লি সর্বজনীন, ৩) নতুনপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো, ৪) নিয়োগী বাগান সর্বজনীন, ৫) বালক সংঘ, ৬) সার্কাস মাঠ সর্বজনীন, ৭) গোপালবাগের রাজবাড়ি, ৮) লিচুতলা সর্বজনীন, ৯) তেমাথা রানিমা, ১০) অম্বিকা সর্বজনীন, ১১) গন্ডলপাড়া মনসাতলা, ১২) গন্ডলপাড়া তিলিঘাট, ১৩) চারমন্দিরতলা সর্বজনীন, ১৪) বেসোহাটা সর্বজনীন, ১৫) দৈবাকপাড়া সর্বজনীন, ১৬) হাটখোলা মনসাতলা, ১৭) হাটখোলা ভুবনেশ্বরী, ১৮) রথের সড়ক, ১৯) হালদারপাড়া ষষ্ঠীতলা, ২০) বুড়িমা আদি হালদারপাড়া, ২১) লালবাগান সর্বজনীন, ২২) বড়বাজার সর্বজনীন, ২৩) বাগবাজার সর্বজনীন, ২৪) বাগবাজার চৌমাথা, ২৫) মধ্যাঞ্চল সর্বজনীনের পুজো। কলকাতা থেকে গেলে অনেকেই এভাবে মানকুণ্ডু রেল স্টেশন থেকে পুজো দেখা শুরু করেন। এরপর চন্দননগর রেল স্টেশন হয়ে ফিরে আসেন কলকাতায়।

pandal collapse Chandannagar