/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/02/2g9tvUvhsKS3AyKRMNBn.jpg)
Dilip Ghosh: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
Dilip Ghosh: BJP নেতা দিলীপ ঘোষকে নিয়ে চর্চা যেন থামছেই না! দিঘায় জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে বেশ কিছুক্ষণ গল্প-গুজবও করেছেন তিনি। তারপর থেকেই দাপুটে BJP নেতাকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। এমনকী তারপর থেকে দিলীপ ঘোষের বেশ কিছু মন্তব্যও তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার দিলীপ ঘোষের আরও কিছু মন্তব্য সেই বিতর্কেই যেন ঘি ঢেলেছে।
'তৃণমূলের শত্রুরা বন্ধু হয়েছে'
"আমার সঙ্গে কুণাল ঘোষও ফটো তোলে। সজল ঘোষও ফটো তোলে। আমি সবাইকে ঘনিষ্ঠ মনে করি। কেউ যদি সময় সময় আমার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় সেটা তার ব্যাপার। আমার কাউকে নিয়ে কোনও অ্যালার্জি নেই। কে চোর কে ডাকাত সেটা নিয়েও আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। যারা কাল পর্যন্ত চোর ডাকাতের সঙ্গে ছিল তারা আজ সতী হয়ে যাচ্ছে। দিলীপ ঘোষ যাকে একবার বন্ধু মনে করে তাকে শেষ দিন পর্যন্ত বন্ধু মনে করে। কাল যারা তৃণমূলে শত্রু ছিল তারা বন্ধু হয়েছে। আমি তাদের বন্ধু বলেই মনে করি।"
অর্জুনের টিপ্পনি প্রসঙ্গে কী বললেন দিলীপ?
"আমি ২০১৫ সাল থেকে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে লড়াই করছি। তখন এই নেতা মমতা ব্যানার্জির কোলে খেলা করতেন। তার বাড়িতে গিয়ে উচ্ছিষ্ট খেতেন। বাড়ির সামনে লাইন দিয়ে বসে থাকতেন। এখন হঠাৎ বিজেপি হয়েছেন। এরকম যারা হঠাৎ বিজেপি হয়ে লাফাচ্ছেন, তারা সকালে বিজেপিতে প্রাতঃরাশ করেন। তৃণমূলের বাড়িতে লাঞ্চ করেন। আবার রাতে বিজেপিতে ফিরে এসে ডিনার করেন। দিলীপ ঘোষের দিকে কেউ আঙুল তুলে এই কথা বলতে পারবে? দিলীপ ঘোষ এখন দলে চার আনার ফ্রি মেম্বার। তার কোনও পদ নেই। কিন্তু দিলীপ ঘোষ বিজেপিতে আছে। কারও টিকিট চলে যেতে বা চাকরি চলে যেতে একেবারে ইঁদুরের মতো হু-হু করে বিজেপি ছেড়ে চলে গেছিল। আবার হাওয়া ঘুরতে হু-হু করে ফিরে আসছে। তারা যেন দিলীপ ঘোষের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট না দেয়।"
তৃণমূলে যোগ-জল্পনা নিয়ে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
"যারা এইসব বিশ্লেষণ করছেন তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ওরকমই। এদের অনেকে আমার পিছনে ঘুরঘুর করত। ১ লাখ ২ লাখ টাকার জন্য ঘুরত। কেউ আমার বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছিল। কেউ আমার উপদেষ্টা হয়ে গেছিল। আবার জমা পাল্টে এখন আমাকে উপদেশ দিচ্ছেন। এরা সব অন্ন দাস। আর দিলীপ ঘোষ বুক ফুলিয়ে ঘুরবে। কারণ দিলীপ ঘোষ কারও সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে চলে না। যারা এখন টিভিতে এই কথা শুনছেন তাদের সবাইকে চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে প্রমাণ দিন দিলীপ ঘোষ কখনও কোনওদিন কোনও তৃণমূল নেতাকে ফোন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ছেড়ে দিন। তারা দরকার হলে দিলীপ ঘোষকে ফোন করেছে। কেউ বলতে পারবে না আমি কোনও অ্যাপের মাধ্যমে গোপনে ফোন করেছি। বা রাতের বেলা কালীঘাটের বাড়ি গেছি। দিলীপ ঘোষ লড়াই করেছিল। লড়াই করবে।"
তিনি আরও বলেন, "দিলীপ ঘোষ বিজেপিটা বোঝে। যারা আজ হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই বলছে তারাই একটা হিন্দু মন্দির থেকে হিন্দুদের আলাদা করছে? বিজেপি তাই বলেছে কোনওদিন? কাশী বিশ্বনাথ মন্দির মোদীজি তৈরি করেছেন। কেউ বলেছে ওটা মোদীর মন্দির? আমি বলছি ওই জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে যদি কেউ মাথা নত করে তাহলে সে তৃণমূল হয়ে যাবে? মানুষকে এতো বোকা ভাবেন আপনারা? সিপিএম একসময় বলতো ওই বিবেকানন্দ আর এই বিবেকানন্দ। ওটা নাকি RSS-এর বিবেকানন্দ। তৃণমূল বলতো রামায়ণের রাম আলাদা আর বিজেপির রাম আলাদা। আমরা সেটা মনে করি না। পুরীর জগন্নাথ আর দীঘার জগন্নাথ এক। যার যেখানে ইচ্ছা গিয়ে প্রণাম করবেন। সবাই বলে বিজেপি মন্দির রাজনীতি করে। একশোবার করে। কিন্তু মন্দিরে মন্দিরে ভেদাভেদ করে না। এরকম করলে বিজেপিকে হিন্দু মানুষ ভোট দেবে?"
সৌমিত্র খাঁয়ের উপর চটে লাল দিলীপ!
"ওকে অনেকে এই সব কথা বলাচ্ছে। তার বউ বলেছে ওর কোনও বুদ্ধি নেই। আমি বলিনি। তার জীবন দেখুন। সে কটা পার্টি করেছে? গোটা রাত কারও সঙ্গে বিছানায় কাটিয়ে সকালে গঙ্গা স্নান করে বলছে আমি সতী। এরকম অনেক নেতাকে আমরা বাড়িতে পুষে রেখেছি। কাল যদি পোষা বন্ধ করি সব ওই দিকে লাইন লাগাবে। তারা বিজেপির পোষ্য। দিলীপ ঘোকে জ্ঞান দিতে আসবেন না। রোজ যে বিছানা পাল্টায় সে যেন দিলীপ ঘোষ কে জ্ঞান না দিতে আসে। দিলীপ ঘোষ খালি হাতে রাজনীতিতে এসেছে। খালি হাতে চলে যাবে। মাথা উঁচু করে রাজনীতি করে চলে যাবে। সৌমিত্র খাঁ এঁটোকাঁটা খেয়ে জীবন কাটিয়েছে। সেও নেতা? তার কথার কী গুরুত্ব? সে পরশু শুভেন্দু অধিকারী কে গালাগাল দিয়েছে। কাল সুকান্ত মজুমদারকে গালাগাল দিয়েছে। ওর বাপ কে? ওকে জিজ্ঞাসা করুন।"