West Bengal By-Election 2024: রাজ্যের ৬ বিধানসভার উপনির্বাচনও শান্তিতে কাটছে না। হাড়োয়া ও মাদারিহাট কেন্দ্রে সকাল থেকেই নানা ধরনের গন্ডগোল শুরু হয়েছে। এমনকী নৈহাটিতে উপনির্বাচনের দিন পাশের ভাটপাড়ায় গুলিতে নিহত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি। হাড়োয়া ও মাদারিহাটে দুই বিরোধী প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ চলেছে। মাদারিহাটে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগের দায় নিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
বিগত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের নানা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছিল। শেষ দফার নির্বাচনে ঝাড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু কোনওরকমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বেঁচেছিলেন। তাঁরও নিরাপত্তীরক্ষীদের ওপর লাগাতার ইঁট-বৃষ্টি চলেছিল। বিক্ষোভে আটকে পড়েছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়ও। বিক্ষোভ চলেছে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরেও। এই উপনির্বাচনও তার ব্যতিক্রম রইল না।
মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারকে এদিন দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর গাড়ি আটকানোর চেষ্টা চলে। চা বাগানের শ্রমিকরা এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বলে দাবি করা হলেও বিজেপি প্রার্থীর স্পষ্ট দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস বারে বারে তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, মাদারিহাটের মুজনাই চা বাগানের ১৪/৬২ নং বুথে হামলা হয়েছে প্রার্থী রাহুল লোহারের ওপর। তাদের প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই গাড়ি ভাঙচুরের দৃশ্য দেখা গিয়েছে বিগত লোকসভা নির্বাচনেও।
আরও পড়ুন- Bhatpara Shootout: নৈহাটির ভোট চলাকালীন ভাটপাড়ায় শুটআউট! চায়ের আড্ডায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন
এদিন হাড়ায়োতেও আইএসএফ প্রার্থীকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী আইএসএফের এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। তবে নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থী বড় মা মন্দিরে ভক্তদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। এখানে অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে মন্দিরের পিছনের দড়জা দিয়ে পুজো দিয়ে বেরিয়েছেন। কিন্তু ভক্তরা পুজো দিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন- Naihati Boroma: ভোট বলে বন্ধ বড়মা'র দর্শন, পিছনের দরজা দিয়ে মন্দিরে TMC প্রার্থী, বেরোতেই বিক্ষোভ
ভোটের দিন প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো এখন নয়া ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলছে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও। এদিন বুথের সামনেই হেনস্থা হতে দেখা গিয়েছে মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থীকে। তবে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রার্থীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া নাকি প্রকৃতই সাধারণের বিক্ষোভ? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও এমন হামলার ঘটনা কেন ঘটছে? একইসঙ্গে এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনও কি ভূমিকা নিচ্ছে? সেই প্রশ্নও তুলেছে রাজনৈতিক মহল।