Indian hypersonic missiles: দৈত্যের শক্তি, শত্রুর উপর 'পাখির চোখ', ভারতের এই ৫ হাইপারসনিক মিসাইল ঘুম উড়িয়েছে চিন-পাকিস্তানের

Indian hypersonic missiles: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণার মেরুদণ্ড DRDO বর্তমানে এমন পাঁচটি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে যা শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বের বহু দেশের বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে।

Indian hypersonic missiles: ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণার মেরুদণ্ড DRDO বর্তমানে এমন পাঁচটি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে যা শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বের বহু দেশের বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India hypersonic missiles, DRDO missile program, BrahMos-2, HSTDV, SFDR India, Shaurya missile India, Hypersonic Glide Vehicle India, Pakistan reaction, India defense technology

ভারতের এই ৫ অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ঘুম উড়িয়েছে চিন-পাকিস্তানের

Indian hypersonic missiles:  ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণার মেরুদণ্ড DRDO বর্তমানে এমন পাঁচটি অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে যা শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বের বহু দেশের বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে। এই অস্ত্রগুলি এতটাই দ্রুত ও মারাত্মক যে শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত এখন প্রতিক্রিয়াশীল নয় — বরং ভবিষ্যতের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। 

Advertisment

ভারতের এই ৫টি শক্তিশালী হাইপারসনিক অস্ত্র যেগুলি পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে 

হাইপারসনিক টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেটর ভেহিকেল (HSTDV) হল ভারতের প্রথম এবং অত্যন্ত বিশেষ প্রচেষ্টা যেখানে স্ক্র্যামজেট প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে। এটি তৈরি করেছে DRDO। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে উড়তে সক্ষম। অর্থাৎ, HSTDV উড়তে ট্যাঙ্কে অক্সিজেন ভর্তি করার প্রয়োজন হয় না। এটি কম জ্বালানি খরচ করে এবং অনেক বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম।  

Advertisment

২০২০ সালে, এটি প্রথমবারের মতো সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়  এবং প্রায় ২০ সেকেন্ড ধরে ম্যাক ৬ (শব্দের চেয়ে ছয় গুণ বেশি) গতিতে উড়েছিল। এখন এই প্রযুক্তিকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় রূপান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে, যা দেশের নিরাপত্তা শক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।

ব্রহ্মোস-২: পরবর্তী প্রজন্মের প্রাণঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র

সুপারসনিক যুগে যদি ব্রহ্মোস বিশ্বের কাছে ভারতের সামরিক শক্তি প্রমাণ করে, তাহলে এখন এর হাইপারসনিক সংস্করণ ব্রহ্মোস-২ আরও বেশি মারাত্মক হতে চলেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ম্যাক ৭ (অর্থাৎ শব্দের গতির চেয়ে সাত গুণ বেশি) গতিতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য আঘাত হানতে সক্ষম। বিশেষ বিষয় হল এটি স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ - তিনটি প্ল্যাটফর্ম থেকেই উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।এই প্রকল্পটি DRDO এবং রাশিয়ার NPOM কোম্পানির সহযোগিতায় BrahMos Aerospace দ্বারা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যে এর প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন ২০২৬ সালের মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

SFDR: বিমান বাহিনীর জন্য একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন

সলিড ফুয়েল ডাক্টেড রামজেট (SFDR) প্রকল্পটি ভারতের বিমান শক্তিকে একটি নতুন দ্রুত এবং মারাত্মক রূপ দিতে পারে। এই প্রযুক্তিটি কঠিন জ্বালানির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা এটি ব্যবহার করা সহজ এবং মিশনের জন্য আরও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। SFDR এর গতি Mach 4.5 থেকে Mach 6 পর্যন্ত হতে পারে, অর্থাৎ এটি শব্দের গতির চেয়ে চার থেকে ছয় গুণ বেশি দ্রুত উড়তে পারে।

এই ইঞ্জিনটি ভবিষ্যতের দূরপাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র যেমন Astra Mk3-তে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হবে। ২০১৮ সাল থেকে এটি বেশ কয়েকটি সফল পরীক্ষা চালিয়েছে । আশা করা হচ্ছে যে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীকে একটি নতুন কৌশলগত সুবিধা দেবে।

শৌর্য: ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন গতি

ভারতের শৌর্য ক্ষেপণাস্ত্র ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করা হয়েছে, কিন্তু এখন এর একটি নতুন এবং আরও শক্তিশালী হাইপারসনিক সংস্করণ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি একটি ক্যানিস্টার-ভিত্তিক কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের পরে, এটি বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে গ্লাইড করে, যার ফলে এটি ধরা এবং এর পথ আটকানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। এর গতি ম্যাক ৭.৫-এ পৌঁছায়, যা ভারতের কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিরাট অবদান রাখে। বর্তমানে এটি সীমিত সংখ্যায় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত, তবে আসন্ন হাইপারসনিক সংস্করণটি অনেক বেশি মারাত্মক এবং উন্নত হবে, যা ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

এইচজিভি: সবচেয়ে শান্ত কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক

এবার আসা যাক সেই প্রকল্পটির কথা যা নিয়ে সবচেয়ে কম আলোচনা করা হয়েছে, কিন্তু সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক  - ভারতের হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেল (HGV) প্রকল্প। এর তথ্য খুবই সীমিত এবং গোপনীয়, তবে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এটি এমন একটি সিস্টেম যা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। উৎক্ষেপণের পরে, এটি ম্যাক 10 এর চেয়ে বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলে গ্লাইড করবে এবং প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি গতি, নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করবে। এই প্রকল্পটি সফল হলে, হাইপারসনিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে এটি ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মতো দেশের সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত। ২০২৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এই অস্ত্রটি  প্রদর্শিত হতে পারে এবং এটি ভারতের কৌশলগত ক্ষমতায় বিপ্লব আনতে পারে।

পাকিস্তান বলছে, ভারত দেখাচ্ছে!
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর মুখে যতই শক্ত কথা বলুক পাকিস্তান, ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও হাইপারসনিক সক্ষমতা তাদের টেনশনে রেখেছে। ব্রহ্মোস-২ বা এইচজিভি-র মতো অস্ত্র ভবিষ্যতের যুদ্ধনীতি বদলে দিতে পারে

DRDO বাজেট ও বিনিয়োগ
বর্তমানে DRDO-এর বার্ষিক বাজেট ২৩,০০০-২৫,০০০ হাজার  কোটি, যার মধ্যে ৩,০০০-৫,০০০ কোটি হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে ব্যয় হচ্ছে। এই বিনিয়োগ প্রমাণ করে ভারত এখন কেবল অস্ত্র আমদানিকারক নয় — স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা শক্তি।

DRDO