Father-Daughter Tragic Death: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে জামা-কাপড় তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বাবা-মেয়ের, শোকে পাথর গোটা এলাকা। বাড়ির সামনে থাকা তারে শুকাতে দেওয়া কাপড় তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মেয়ে। তা দেখে বাবা তাঁর মেয়েকে প্রাণে বাঁচাতে যেতেই ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। একই সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বাবা অরুপ নন্দী (৪৫) ও মেয়ে বর্ষা নন্দী (১২) মর্মান্তিক এই ঘটনাটি মঙ্গলবার ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের গদ্ধারপাড়ায়। বাবা ও মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্তব্ধ গোটা পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরুপবাবু পেশায় একজন দর্জি এবং কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময় হাওড়ায় থাকতেন। মেয়ে বর্ষা স্থানীয় স্কুলে পড়ত। ঘটনার দিন সকাল দশটা নাগাদ বৃষ্টির মধ্যে বর্ষা কাপড় তুলতে গিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে অরুপবাবুও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দু’জনকেই তড়িঘড়ি মন্তেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বাড়ির বাইরে বিদ্যুৎতের খুঁটিতে বাঁধা তারে জামা-কাপড় শুকোতে দিতেন
অরুপ নন্দীর পরিবারের লোকজন। এদিন সকালে সেই তারে পরিবারের কেউ কাপড় শুকাতে দেয়।
বৃষ্টি শুরু হতেই ওই তারটি কোনভাবে বিদ্যুৎবাহী হয়ে গেলেও তা কেউ বুঝতে পারে নি। ওই তারে শুকাতে দেওয়া কাপড় বাড়ির মেয়ে বর্ষা তুলতে যেতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তা দেখে মেয়েকে বাঁচাতে বাঁশ দিয়ে তারে আঘাত করে মেয়েকে বাঁচাতে যান বাবা অরুপ নন্দী । তখন দু’জনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদের মৃত্যু হয় ।
স্বামী ও মেয়েকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে পড়া স্ত্রী উজ্বলা নন্দী বলেন,"ওই তারে আমি কাপড় মেলি। তারটা বিদ্যুতের পোলে বাঁধা ছিল।এতে যে এতবড় বিপদ ঘটে যাবে তা আমি কল্পনাও করতে পারি নি" । পরিবারের আত্মীয় শ্রীমন্ত দাস দাবি করেন, “একই জায়গায় বিদ্যুতের তার ও জিআই তার কেটে পড়ে থাকাতেই এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে"। কালনা হাসপাতাল মর্গে এদিন মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত হয়। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ জোড়া মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে’।