Paschimbanga Chatra Samaj: নয়া নাম ঘোষণা করে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবি, দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ স্লোগানে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সমাজ। একেবারে নতুন নাম, কাদের সংগঠন তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। গেরুয়া বাহিনীর সংগঠন বলেই তোপ দেগেছিল অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। এবার সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের শক্তিশালী করতে উঠেপড়ে লেগেছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের কো-অর্ডিনেটরদের নাম ঘোষণা করেছে। পরবর্তীতে সর্বস্তরে কমিটি গড়ার কথাও ভাবছে তাঁরা।
নবান্ন অভিযান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। মূলত সমাজ মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল তাঁরা। সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক সায়ন লাহিড়ী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমরা ধীরে ধীরে সংগঠিত হচ্ছি। আরজি করে দিদির বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শীঘ্রই এই নিয়ে একটা কনভেনশন করবো। পুজোয় কি ধরনের কর্মসূচি থাকবে, পুজোর পর ফের পথে নেমে বড় ধরনের আন্দোলন, এসব নিয়েই সেখানে আলোচনা হবে। তবে আমরা পথ ছাড়ছি না। ইতিমধ্যে আমরা জেলা স্তরে কো-অর্ডিনেটরদের নাম ঘোষণা করেছি।" আগামী সোমবার, ৩০ অক্টোবর বাকি জেলার কো-কোর্ডিনেটর, লোকসভা কোর্ডিনেটর এবং সোশ্যাল মিডিয়া কোর্ডিনেটর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ছাত্র সমাজ।
এখনও পর্যন্ত ১৮টি জেলার কো-অর্ডিনেটরদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে। জেলা স্তরে তাঁরা আন্দোলন পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন। রাজ্যস্তরে তিনজন সমন্বয়কারী সংগঠনের সিদ্ধান্ত বা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করবেন, সায়ন লাহিড়ী, শুভঙ্কর হালদার ও প্রবীর দাস। সায়ন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫ হাজার। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ গেরুয়া বাহিনীর নতুন সংগঠন বলেই দাবি উঠছে তৃণমূল থেকে সিপিএম, বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে। এই প্রসঙ্গে সায়ন বলেন, "আমরা কোনও গেরুয়া দলের সংগঠন নই। আমাদের কর্মসূচিতে গেরুয়া বাহিনীর কোনও প্রভাব নেই। আমাদের নিজস্বতা আছে। সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে আমরা গণআন্দোলন সংগঠিত করবো।"
আরও পড়ুন- Maldah Boat Accident: উল্টে গেল যাত্রী বোঝাই নৌকা, খোরস্রোতে নিখোঁজ ৩
আরও পড়ুন- Rajanya On Kunal Ghosh: সাসপেন্ড হতেই চড়ল সুর, দেব-কুনালকে 'তুলোধোনা' রাজন্যার
গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন চলো অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। তখনই এই সংগঠনের নাম প্রকাশ্যে আসে। নেতৃত্বের দাবি ছিল, সমাজ মাধ্যমেই তাঁরা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। নবান্ন অভিযানের দিন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতা ও হাওড়া। এই অভিযানে বহু পুলিশ কর্মী ও আন্দোলনকারী জখম হয়। কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় ঢেকে যায় শহর। গেরুয়া বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের কোনও সংযোগ নেই বলে দাবি করলেও বিরেধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক সরাসরি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্দোলনের আগে ও পরে। সায়নও শুভেন্দু অধিকারীর পাশে থাকাকে স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন- Durga Puja 2024: বোধনের পরেই শুন্যে গুলি, শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য!