Hilsa: ইলিশপ্রেমীদের জন্য বিরাট সুখবর! এসে গেল পদ্মার রুপোলি শষ্য, দামও নাগালেই
Hilsa bonanza: গত ৫ বছর টানা পুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ আমদানির অনুমোদন দিলেও এবছর বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর ইলিশের রফতানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
Hilsa bonanza: গত ৫ বছর টানা পুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ আমদানির অনুমোদন দিলেও এবছর বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর ইলিশের রফতানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
আগামী মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ২,৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ এসে পৌঁছাবে ভারতে।
Hilsa bonanza: এতদিন রাজ্যের ইলিশেই মেতেছিল ভোজনরসিক বাঙালি। নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার, দীঘা, কোলাঘাটের ইলিশে ছেয়ে গিয়েছে বাংলার বাজার। শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার বাজারে ঢুকতে শুরু করল বাংলাদেশের পদ্মার রূপালি শষ্য।
Advertisment
বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ এদেশে রপ্তানি নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন ছিল। "স্বাধীন বাংলাদেশের" জনগণের একাংশের দাবি ছিল ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না। পরিস্থিতি অনুধাবন করে বাংলার বড় অংশের মানুষও বাংলাদেশের ইলিশ খাওয়ার আদিখ্যেতা ভুলে যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের ইলিশেই সন্তুষ্ট থাকে বাঙালি। আদতে বাংলার এক ব্যবসায়ী সংগঠন ইলিশ মাছ এদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশের তদারকি সরকারের কাছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল বন্দর সীমান্ত দিয়ে ৮ টন ইলিশ এসেছে ভারতে।
দুর্গা পুজো উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ২,৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে এবার তদারকি সরকার জানিয়ে দিয়েছে এটা কোনও পুজোর উপহার নয়। বিদেশি মুদ্রা অর্জনের জন্য ইলিশ রপ্তানি করা হবে ভারতে। ওই দেশের একাংশের প্রবল বিরোধিতা ছিল ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে। পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতে এসে পৌঁছল পদ্মার রূপোলি শস্য।
গত ৫ বছর টানা পুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ আমদানির অনুমোদন দিলেও এবছর বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর ইলিশ রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে কিছু দিন আগে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ঘোষণা করেন, তাঁদের সরকার পুজোর আগে ভারতে ইলিশ পাঠাবে। সেই মতো দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২,৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার জন্য ৪৯টি রপ্তানিকারক সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আজ দুটি ট্রাকে করে ৮ থেকে ৯টন ইলিশ এসে পৌঁছায়। বন্দর সূত্রে খবর, আগামী মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ২,৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ এসে পৌঁছাবে ভারতে।
বাংলাদেশের ট্রাকচালক মহম্মদ জসিমউদ্দীন অবশ্য ভারতে ইলিশ আসায় খুশি। পরশি দেশে কেন ইলিশ পাঠাবো না, বলছেন তিনি। ওই দেশের আরেক ট্রাকচালক মহম্মদ সাহিনুজ্জামান তো বলেই ফেললেন, "আমাদের দেশে ইলিশের এতই দাম যে কিনতেই পারি না। ইলিশ খাবো কি!" আমদানিকারক সংস্থার পক্ষে সুদীপ মজুমদার বলেন, "আমাদানি করা এই ইলিশ গড়ে এক কেজির ওপর ওজন হবে। এখন মাছ নিয়ে কলকাতার বজারে রওনা দেবে ট্রাক। আগামিকালই বাজারে মিলতে পারে ইলিশ। সেক্ষেত্রে কেজি প্রতি ইলিশের দাম হতে পারে ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা।"