Tapan Kandu-Purnima Kandu: ঝালদায় খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু প্রয়াত হয়েছেন। বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দুর্গাপুজোর আবহে এমন মর্মান্তিক খবরে শোকের ছায়া পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার খবর পেয়েই প্রয়াত কংগ্রেসনেত্রীর বাড়িতে গিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের নেতৃত্ব। পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঝালদার বাড়ি থেকে প্রথমে অচৈতন্য অবস্থায় পূর্ণিমা কান্দুকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসকরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আচমকা পূর্ণিমা কান্দুর এই মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
বছর দু'য়েক আগে ২০২২ সালের মার্চ মাসে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর তপন কান্দু। প্রয়াত পূর্ণিমাদেবীর স্বামী ছিলেন তপন কান্দু। ২০২২-এর ওই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। মামলার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তপন কান্দু হত্যা মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর হাতে।
সাতজন গ্রেফতার হয়েছিল। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। তপন কান্দুর মৃত্যুর পর তাৎ স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী রাজনীতির বড়সড় আলোকে চলে আসেন। পুরুলিয়া কংগ্রেসের লড়াকু নেত্রী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন পূর্ণিমা কান্দু। এ হেন এক মহিলার অকস্মাৎ এই পরিণতি ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা বেড়েছে।
আরও পড়ুন- Kalyan Banerjee: মা দুর্গার সামনে আরতির সময় হাপুস নয়নে কান্না কল্যাণের, ঝড়ের বেগে ভাইরাল সেই ভিডিও
এদিকে পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুতে শোকাহত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, "ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসের নির্বাচিত কাউন্সিলর তপন কান্দুকে শাসক তৃণমূলের গুন্ডারা হত্যা করেছিল পুরসভা দখলের জন্য। স্বামী হারানোর শোক সহ্য করতে না পেরে তাঁর সহধর্মিনী মারা গেলেন। পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যু আমাকে গভীর ভাবে মর্মাহত করেছে। তাঁর শোকার্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।"