Advertisment

RG Kar Case: ১৮ জানুয়ারি আরজি কর রায়, ফিরে দেখা গত ৫ মাসের দিনলিপি

RG Kar Medical College Incident: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের ঝাঁঝ রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে আছড়ে পড়েছিল ভিনরাজ্যেও। আগামী ১৮ জানুয়ারি বহুচর্চিত এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rg kar case,rg kar medical college incident,kolkata news,আরজি কর,সিবিআই

RG Kar Medical College & Hospital: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

RG Kar case major happenings in past 5 months: অবশেষে আরজি কর (RG Kar) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে রায় ঘোষণার দিন জানিয়েছে শিয়ালদা আদালত। আগামী ১৮ জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত এই মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ৫ মাসের মাথায় অবশেষে সাজা ঘোষণার পালা। ফিরে দেখুন এই পাঁচ মাসের দিনলিপি।

Advertisment

আরজি কর কাণ্ডের গত ৫ মাসের দিনলিপি:

২০২৪-এর ৯ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসা পড়ুয়া তরুণীর নিথর দেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল।

১০ আগস্ট : তদন্তভার হাতে নিয়েই জোরদার তৎপরতা শুরু কলকাতা পুলিশের। আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে গ্রেপ্তার পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়।

Advertisment

১১ আগস্ট: প্রবল প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন আরজি করের ডাক্তাররা। জরুরি পরিষেবা বাদে সমস্ত রকম স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের ডাক চিকিৎসকদের। চাপের মুখে সরিয়ে দেওয়া হল আরজি করের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে। তীব্র ক্ষোভ আছড়ে পড়ল আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে।

১২ আগস্ট : প্রবল চাপে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সন্দীপ ঘোষ। তবে সকালে ইস্তফার পর বিকেলেই তাঁকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে বিদ্রোহের আঁচ আরও ছড়াচ্ছে বুঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন প্রয়োজনে CBI-এর হাতে তদন্তভার তুলে দিতেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

১৩ আগস্ট : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। চিকিৎসকের মৃত্যুতে CBI তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সন্দীপ ঘোষকে তড়িঘড়ি ছুটিতে যাওয়ার পরামর্শ আদালতের।

১৪ আগস্ট : আরজি করের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম বেনজির রাত দখলের কর্মসূচি কলকাতা। ওই রাতেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে রীতিমতো তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল হাসপাতালের দামী দামী সব যন্ত্রপাতি।

আরও পড়ুন- RG Kar Case: 'সঞ্জয় একাই দোষী নয়', আরজি কর কাণ্ডে CBI-এ ক্ষুব্ধ বাবা-মা ফের চান তদন্ত

১৬ আগস্ট : প্রথম থেকেই আরজি করের ঘটনায় সিবিআই স্ক্যানারে ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ওই দিন কলকাতা শহরের কোনও একটি জায়গা থেকে কার্যত তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিল সিবিআই।

১৭ আগস্ট : আরজি কর কাণ্ডে সরকার বিরোধিতার সুর ক্রমশই চড়া হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা চিকিৎসকদের যাতে রাতে কাজ করতে না হয় সে ব্যাপারে সওয়াল করলেন।

আরও পড়ুন- RG Kar case trial: প্রায় ২ মাস পর শেষ হল আরজি কর কাণ্ডে ট্রায়াল, কবে সাজা ঘোষণা করবে আদালত?

১৮ আগস্ট : আরজি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচার চেয়ে উত্তাল গোটা বাংলা। এই পরিস্থিতিতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। 

২০ আগস্ট : সুপ্রিম কোর্টে শুরু আরজি কর মামলা (RG Kar Case)। তৎকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিবাই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে হাইভোল্টেজ মামলা শুনানি শুরু হল।

২৩ আগস্ট : ততক্ষণে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাধিক ক্ষেত্রে একগুচ্ছ আর্থিক বিনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ বেরোতে শুরু করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের ক্ষেত্রেও তদন্ত সিবিআকে করতে নির্দেশ দিল।

আরও পড়ুন- West Bengal News Live: নদীর পাড়ে পায়ের ছাপ রয়্যাল বেঙ্গলের, কুলতলির গ্রামে ফিরল স্বস্তি

২৪ আগস্ট : আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট হল। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি সঞ্জয় রায়েরও পলিগ্রাফ টেস্ট হল। এফআইআর দায়ের করা হল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

২৭ আগস্ট : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan)। তুমুল হট্টগোল কলকাতা-হাওড়ার দিকে দিকে। বিক্ষোভকারীদের সামলাতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল, জল কামানের ব্যবহার পুলিশের। বিক্ষোভকারীদের পাথরের ঘায়ে গুরুতর জখম কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট।

৩০ আগস্ট : আরজি করের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২ সেপ্টেম্বর : লাগাতার দু'সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

৩ সেপ্টেম্বর : আরজি করের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে জোরদার তৎপরতা রাজ্য সরকারের। রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হল অপরাজিতা আইন। সেদিনই তা পাশ হলো। অন্যদিকে, ওই দিনই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করলেন। তাঁর পদত্যাগের দাবি জানালেন তাঁকেই।

৪ সেপ্টেম্বর : আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আবারও রাত দখল কর্মসূচি।

৫ সেপ্টেম্বর : আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ দুই চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দপ্তর।

আরও পড়ুন- West Bengal Weather: কনকনে শীতে জবুথবু বাংলা, কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়?

৮ সেপ্টেম্বর : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।

১১ সেপ্টেম্বর :  স্বাস্থ্য দপ্তরের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রবল বিক্ষোভ। একগুচ্ছ দাবিতে সরকারকে ইমেল।

১৪ সেপ্টেম্বর : আরজি করের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেপ্তার  করা হয়েছিল সন্দীপকে। এদিকে, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চিকিৎসকদের টানা অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিনই জুনিয়র ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল বৈঠকের উদ্দেশ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সম্মতি না মেলায় বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল।

১৬ সেপ্টেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক। বৈঠকে যোগ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলের। ওই দিনই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত, স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিষ হালদার এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

১৯ সেপ্টেম্বর : লাগাতার কর্মবিরতি আংশিক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে একটানা চলা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার কথা জানালেন তাঁরা।

৬ অক্টোবর : ন্যায় বিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু।

৭ অক্টোবর : আরজি করের ঘটনায় প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।

১৩ অক্টোবর : রাজ্যজুড়ে অরন্ধনের ডাক আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তারদের।

১৪ অক্টোবর : আরজি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচার চেয়ে রাজভবন অভিযান চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের। সেই মিছিলে সামিল বহু সাধারণ মানুষ।

১৫ অক্টোবর : একদিকে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে চলল পুজো কার্নিভাল। তারই কাছে ধর্মতলা চত্বরে দ্রোহের কার্নিভাল করলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।

১৯ অক্টোবর : কলকাতার ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে কথা বললেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে।

২১ অক্টোবর: নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতেই উঠে গেল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আন্দোলন।

১৩ নভেম্বর : আরজি করের ঘটনার ১০০ দিন পূর্তি। কলকাতায় মহামিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের।

১৩ ডিসেম্বর : আজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিনে ছাড়া পেয়ে গেলেন। গ্রেপ্তারির ৯০ দিন পরেও তাঁদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। সেই কারণেই দু'জনের জামিন মঞ্জুর করল শিয়ালদা আদালত।

২৩ ডিসেম্বর : ডাক্তারদের ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

৯ জানুয়ারি : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণ-খুনে রায় ঘোষণার দিন জানাল শিয়ালদা আদালত। আগামী ১৮ জানুয়ারি হতে পারে রায় ঘোষণা।

Bangla News news of west bengal news in west bengal cbi RG Kar Case RG Kar Case Sanjay Roy sandip ghosh Bengali News Today RG Kar Medical College
Advertisment