Kali Puja 2024-Firecrackers: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল (Kahidikul) গ্রাম থেকে উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরের মোচপোল, দক্ষিণের চম্পাহাটি, নুঙ্গি। বাজির আগুনে পুড়েছে বহু গ্রাম। প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। তবুও চকোলেট বা পপ পপের চোরাগোপ্তা বিক্রি যে একেবারে হচ্ছে না, তা নয়। তবে এবার চিনা পটকার আমদানি নেই বললেই চলে। এরি পাশাপাশি শব্দ দূষণহীন সবুজ আতসবাজি মন কেড়েছে ক্রেতাদের। এবার এসেছে নানা ধরনের নতুন বাজিও (Firecrackers)।
টালা, শহিদ মিনার, বেহালা ও কালিকাপুরে এবারও বসেছে বাজিবাজার। দীর্ঘ দিন ধরে বাজির কারবার করে আসছেন সন্দীপ বসু। পরিবেশবান্ধব আতসবাজির কারখানা রয়েছে তাঁর। সন্দীপ বসু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "এবার বাজির বাজার কাঁপাচ্ছে ড্রোন চড়কা ও আম্ব্রেলা ফুলঝুড়ি। একেবারে নতুন ধরনের এই দুটি বাজি কিনছে ক্রেতারা। তবে তুবড়ির চাহিদাও তুঙ্গে। চিনা বাজি এবার বাজারে নেই।"
আম্ব্রেলা ফুলঝুড়ি বা ড্রোন চড়কি কী?
সন্দীপ বসু বলেন, "বাজির বাজারে এবার নয়া আকর্ষণ আম্ব্রেলা ফুলঝুড়ি। লাল, সাদা, সুবজ রঙবেরঙের ফুলঝুড়ি লোকে কিনছে। একটা কাঠিতে আগুন দিলেই অটোমেটিক ৬টা কাঠি ধরে যায়। তারপর ছাতার মতো দেখতে হয়। এটাই আম্ব্রেলা ফুলঝুড়ি। নতুনত্ব না থাকলে আকর্ষণ বাড়বে না। স্বাভাবিক ভাবে ড্রোনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি থাকে। চড়কি বাজিতেও নতুনত্ব থাকছে। এবার ড্রোন চড়কিও ভালো বাজার দখল করেছে। নীচে ঘুরতে ঘুরতে খোলা আকাশে ৮-১০ ফুট ওপরে গিয়ে চড় চড় ঘুরতে শুরু করবে এই চড়কি। তাই ড্রোন চড়কি। এই বাজির যথেষ্ট আকর্ষণ আছে বাজারে।"
আরও পড়ুন- Kali Puja 2024: নেপথ্যে বর্গী হানার রোমহর্ষক ইতিহাস! দুর্গাকালী আরাধনার সূচনা-পর্ব অবাক করবে
বাজি বাজারে তুবড়িরও খুব চাহিদা রয়েছে। মাটির বদলে এখন কাগজের তুবড়ি। মাটি থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ২২-২৪ ফুট ওপরে উঠবে তুবড়ি। তবে বরাবর এই বাজির চাহিদা থাকে। দমদমের মানস রায় তুবড়ি, ড্রোন চড়কি, আম্ব্রেলা ফুলঝুড়ি-সহ একাধিক আতসবাজি কিনেছেন। মানস বলেন, "অলোর বাজি পোড়ালে বাচ্ছাদের ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। শব্দবাজি ব্যবহার একেবারে নয়। কালীপুজোর রাতে একটাই আতঙ্ক, বিকট শব্দবাজি নিয়ে উল্লাস।"
আরও পড়ুন- Digha: কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার 'নতুন রুট'! বাম্পার প্ল্যান! নিমেষে পৌঁছোতে পারেন সমুদ্রনগরীতে
এত নিত্য নতুন ধরনের বাজি বাজারে এলেও শব্দবাজির প্রতি কিছু ক্রেতার ঝোঁক থেকেই গিয়েছে। কালীপুজোর রাতে প্রতি বছরই তা টের পাওয়া যায়। শব্দদানব খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে এই বাংলায়। দেদার ফুটতে থাকে চকোলেট বোম। রাজ্যের নানা দিকে বড়সড় দুর্ঘটনার পরও পপ পপের প্রতি আকর্ষণও রয়ে গিয়েছে অনেকের।